|
|
|
|
সেচ ও নিকাশির সমস্যা এলাকায় |
বাউড়িয়ায় জমি-জটে আটকে খাল সংস্কার |
রমাপ্রসাদ গঙ্গোপাধ্যায় • কলকাতা |
শুরুর হয়েও বন্ধ হয়ে গেল খাল সংস্কারের কাজ।
প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রের খবর, রাধানগর-বাউড়িয়া খাল সংস্কারের কাজ শুরু হয়েছিল বছর খানেক আগে। কিন্তু মাস তিন চলার পরে কাজ বন্ধ হয়ে যায়। এই অচলাবস্থা চলছে গত দশ মাস ধরে। খালটির সংস্কার বন্ধ হয়ে যাওয়ার ফলে এক দিকে যেমন সেচের সমস্যা হচ্ছে। অন্য দিকে, বেহাল হয়ে পড়েছে শহরের নিকাশি ব্যবস্থা।
কেন এই পরিস্থিতি?
উলুবেড়িয়া পুরসভা সূত্রের খবর, খাল সংস্কারের কাজ শুরু হয়েছিল গত বছরের জুন মাসে। কিন্তু কাজ শুরু হওয়ার কয়েক দিন পরেই স্থানীয় কিছু বাসিন্দা বিক্ষোভ শুরু করেন। তাঁদের অভিযোগ, এই খালের ধারে তাঁদের বেশ কিছু জমি রয়েছে। কাজটি হচ্ছে পুরসভা এবং সেচ দফতরের যৌথ উদ্যোগে। ওই বাসিন্দাদের অভিযোগ, সেচ দফতর এবং পুরসভা জমির জরিপ করেনি। তার আগেই তারা খাল সংস্কারের কাজ শুরু করে দিয়েছে। সংস্কারের ফলে তাঁদের বেশ কিছু রায়তি জমি খালের গর্ভে চলে যাচ্ছে বলেও তাঁদের অভিযোগ। এই সব বাসিন্দাদের একাংশ সেচ দফতর, পুরসভা এবং ঠিকা সংস্থার বিরুদ্ধে এইআইআর করেন। এরপরেই কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয় বলে পুরসভা ও সেচ দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে।
খালটি যে এলাকায় অবস্থিত, সেই পুরসভার ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সুরজিৎ দাস বলেন, “সংস্কারের কাজ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এলাকার সেচ ও নিকাশি সমস্যা আপাতত মেটানো গেল না।” যাঁরা অভিযোগ করেছেন, তাঁদের অবশ্য বক্তব্য, সংস্কারের কাজ হোক তা তাঁরাও চান। কিন্তু কাজ শুরুর আগে জমির মাপজোকের কাজটি সেরে ফেলতে হবে।
খালটির দৈর্ঘ্য প্রায় ২ কিলোমিটার। রাধানগর, রঘুদেববাটি, বেলডুবি, সাহাপুর, খাসখামার, চকবেনেখাঁ, রামেশ্বরনগর, রাধানগর হয়ে বাউড়িয়ার কাছে এসে খালটি হুগলি নদীতে মিশেছে। খালটির উপর দিয়ে এক সময়ে নৌকা চলাচল করত। ব্যবসায়ীরা নৌকায় করে পণ্য কিনে আনতেন। কয়েক হাজার বিঘা জমির চাষ হত এই খালের জল ব্যবহার করে। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে খালটি সংস্কার না-হওয়ায় এটি সংকীর্ণ নালার আকার নিয়েছে। তবে জমি-সংক্রান্ত সমস্যা মেটানোর চেষ্টা হচ্ছে বলে দাবি করেছেন পুরসভার চেয়ারম্যান দেবদাস ঘোষ। তিনি বলেন, “জমির সমস্যা মিটলেই ফের সংস্কারের কাজ শুরু হবে।” |
|
|
|
|
|