|
|
|
|
ডানলপ নিয়ে বৈঠক |
মৃত ২৪ শ্রমিকের বকেয়া মেটানোর দাবি ইউনিয়নের |
নিজস্ব সংবাদদাতা • সাহাগঞ্জ |
ঈশান কোণে আশার আলো।
সাহাগঞ্জে ডানলপ কারখানার দরজা খুলতে শুক্রবার শ্রমিক সংগঠনগুলির সঙ্গে বৈঠকে বসলেন কারখানা কর্তৃপক্ষ। ২০০৫ সালের ডিসেম্বর মাসে ডানলপ কারখানার মালিকানা আসে রুইয়া গোষ্ঠীর হাতে। এর পর থেকে একাধিক বার কারখানা বন্ধ হয়েছে। শ্রমিক সংগঠনগুলির দাবি, গত কয়েক বছরে ২৪ জন শ্রমিক মারা গিয়েছেন যাঁদের পরিবার এখনও বকেয়া টাকা পাননি। ওই বকেয়া দ্রুত মেটানোর জন্য এ দিন কারখানা কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন জানিয়েছেন শ্রমিক ইউনিয়নের প্রতনিধিরা। ডানলপ কারখানার তৃণমূল শ্রমিক সংগঠনের সভাপতি বিদ্যুৎ রাউত বলেন, “আমরা বার বারই কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি, ওই ২৪ জন শ্রমিকের পরিবার অসহায় অবস্থায় দিন কাটাচ্ছেন। কোনও বকেয়া টাকা পাননি তাঁরা। আমাদের অনুরোধ, তাঁদের বকেয়া প্রথমে মিটিয়ে পরবর্তী আলোচনা শুরু করুন কর্তৃপক্ষ।”
কর্তৃপক্ষের তরফে অবশ্য এ নিয়ে অবস্থান স্পষ্ট করা হয়নি। ডানলপের ভাইস প্রসিডেন্ট (কমিউকেশন) ধ্রুবজ্যোতি নন্দী বলেন, “কর্তৃপক্ষ কারখানা খুলতে বরাবরই আগ্রহী। সে কথা এর আগেও জানানো হয়েছে। এ দিনের বৈঠকে সেই সদিচ্ছার কথাই ফের জানানো হয়।”
এ দিন কলকাতায় ডানলপের অফিসে সিটু, আইএনটিইউসি এবং আইএনটিটিইউসি-র প্রতিনিধিদের সঙ্গে কর্তৃপক্ষের বৈঠক হয়। কর্তৃপক্ষ কারখানা খোলার ব্যাপারে ‘সদিচ্ছা’র কথা বললেও কারখানা খোলার রূপরেখা কী হবে, দিশা মেলেনি। শ্রমিক সংগঠনগুলি জানিয়েছে, কর্তৃপক্ষের সঙ্গে মাঝে মাঝে বৈঠক হবে। আজ, শনিবার পরবর্তী বৈঠকের দিন স্থির করা হবে।
দুর্গাপুজোর আগে শ্রমিকদের এক মাসের বেতনও দেন কারখানা কর্তৃপক্ষ। তখন নোটিস দিয়ে কারখানা খোলার ব্যাপারে আগ্রহ দেখান কর্তৃপক্ষ। দিলীপবাবু বলেন, “শুধুমাত্র সদিচ্ছা দিয়ে ডানলপের মতো কারখানার দরজা খোলা যায় না। টাকাও লাগে।” ডানলপে সিটুর শ্রমিক সংগঠনের কার্যকারী সম্পাদক বিতান চৌধুরীর কথায়, “আমরা সব শ্রমিক সংগঠনই চাই কারখানা খুলুক। কিন্তু কারখানা ঠিক কী অবস্থায় আছে, তা-ও বিচার করতে হবে। আমরা চাই না আগের মতো কারখানা খুলে ফের বন্ধ হয়ে যাক। আমরা প্রস্তাব দিয়েছি, কর্তৃপক্ষ বিশেষজ্ঞদের এনে কারখানার বাস্তব পরিস্থিতি খতিয়ে দেখুন। কেউ বাধা দেবে না।” |
|
|
|
|
|