|
|
|
|
গডকড়ী-ছায়া কাটাতে তৎপর হল বিজেপি
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি |
নিতিন গডকড়ীর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠায় কিছুটা ব্যাকফুটে গিয়েছিল বিজেপি। কিন্তু, সংসদের অধিবেশন ও কয়েকটি রাজ্যে বিধানসভা ভোট এগিয়ে আসায় আর চুপ করে থাকতে রাজি নয় তারা। যে সব বিষয় সামনে আসছে তা নিয়েই ইউপিএ সরকারকে তীব্র আক্রমণ করার কৌশল নিয়েছেন বিজেপি নেতৃত্ব।
গত কাল সনিয়া ও রাহুল গাঁধীর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছেন এনডিএ জোটের সদস্য সুব্রহ্মণ্যম স্বামী। সেই অভিযোগকেই আজ হাতিয়ার করেছেন অরুণ জেটলি।
গত কাল রান্নার গ্যাসের দাম ২৬ টাকা বাড়িয়েও কংগ্রেসের মধ্যে কোন্দলের জন্য রাতে তা স্থগিত করা হয়। দলীয় সূত্রে খবর, হিমাচল প্রদেশ নির্বাচনের মুখে এই ধরনের সিদ্ধান্তের খেসারত দিতে হতে পারে আঁচ করেই এই রকম ভোলবদল। এই বিষয়টি নিয়েও কংগ্রেসকে আক্রমণ করেছে বিজেপি। জেটলির বক্তব্য, গ্যাসে ভর্তুকি কমানোয় এমনিতেই মানুষ চাপে পড়েছেন। তার উপরে আবার গ্যাসের দাম বাড়াচ্ছে সরকার। হিমাচলপ্রদেশের ভোটের জন্য বিষয়টি স্থগিত রাখা হয়েছে। ভোট পেরোলেই দাম বাড়বে। তাই মানুষের উচিত বিধানসভা ভোটে কংগ্রেসকে শিক্ষা দেওয়া।
টুজি কেলেঙ্কারি নিয়ে যৌথ সংসদীয় কমিটির তদন্তের সময়ে প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহ এবং কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরমকে ডাকার দাবি জানিয়েছিল বিজেপি। তাঁদের সেই দাবি না মেটায় কমিটি ছেড়ে বেরিয়ে যান বিজেপি নেতারা। কিন্তু, এ বার সংসদীয় কমিটির বৈঠকে যোগ দিতে ইচ্ছুক তাঁরা। কারণ, কমিটির জেরায় টুজি কেলেঙ্কারিতে প্রধানমন্ত্রীর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন প্রাক্তন ক্যাবিনেট সচিব কে এম চন্দ্রশেখর।
এক শীর্ষ বিজেপি নেতার বক্তব্য, চন্দ্রশেখরের বক্তব্য নিয়ে মনমোহনকে চাপে ফেলা যাবে। সরকার পক্ষ মনমোহন ও চিদম্বরমকে আড়াল করতে চাইলেও অসন্তোষের নোট দিয়ে প্রতিবাদ জানাতে পারবে বিজেপি। কমিটিতে না থাকলে তা করা সম্ভব নয়। |
|
|
|
|
|