তৃণমূলের দু’টি গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষে তিন জন আহত হয়েছেন খণ্ডঘোষ হাটতলায়। তাঁদের মধ্যে প্রশান্ত মাঝি নামে এক সমর্থকের আঘাত গুরুতর। শাবলের আঘাত লাগায় তাঁকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। আহতের আত্মীয় শ্রীকান্ত মাঝির অভিযোগ, “শুক্রবার সকালে আমার ভাই ও কয়েক জন তৃণমূল সমর্থক হাটতলায় একটি চায়ের দোকানে বসে ছিলেন। দলের প্রাক্তন ব্লক সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন মনির অনুগামী কিছু সমর্থক আচমকা তাঁদের উপরে চড়াও হয়।” |
খণ্ডঘোষ ব্লক যুব তৃণমূল সভাপতি প্রভঞ্জন সেন অভিযোগ করেন, “শুক্রবার বিকেলে কিছু লোক খন্ডঘোষ থানার কাছে আমাদের দলের নামে বিজয়া সম্মিলনী করছিল। কিন্তু জেলা নেতাদের অনুমতি নেওয়া হয়নি। ব্লকের নেতাদেরও জানানো হয়নি। এ নিয়ে দু’পক্ষের বচসার পরে মোয়াজ্জেম ও প্রণব তায়ের লোকেরা হামলা চালিয়েছে। খণ্ডঘোষ থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।” খণ্ডঘোষ থানা সূত্রে বলা হয়েছে, ঘটনার তদন্ত চলছে। আপাতত পরিস্থিতি শান্ত। মোয়াজ্জেম অবশ্য দাবি করেন, “আমাদের নামে মিথ্যে অভিযোগ হচ্ছে। এই হামলায় আমার অনুগামীদের কেউ জড়িত নন।”
|
বাড়ি ফেরার পথে ম্যাটাডরের ধাক্কায় মৃত্যু হল এক বৃদ্ধের। চালককে ধরে গণপিটুনি দিল জনতা। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ছোট নীলপুরের কুচুলপুকুরে ঘটনাটি ঘটে। মৃতের নাম অসিত দে (৫৯)। বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে তাঁকে ‘মৃত’ ঘোষণা করা হয়। পুলিশ জানায়, ম্যাটাডর চালক মদ্যপ অবস্থায় বেশ কয়েক জনকে ধাক্কা মারে। শেষে ছোট নীলপুরের একটি পুকুরের কাছে গাড়িটি উল্টে যায়। গণপিটুনিতে জখম চালককে বর্ধমান মেডিক্যালে ভর্তি করানো হয়েছে।
|
বাড়ি থেকে টাকা ও গয়না চুরির ঘটনা ঘটল কালনা ২ ব্লকের চাগ্রাম এলাকায়। বৃহস্পতিবার রাতের ঘটনা। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই বাড়ির কর্তা সৃষ্টিধর ঘোষ ও তাঁর স্ত্রী প্রতিমাদেবী একটি ঘরে ঘুমোচ্ছিলেন। অন্য ঘরে ছিল আলমারি-সহ নানা জিনিসপত্র। সৃষ্টিধরবাবুর অভিযোগ, শুক্রবার সকালে উঠে দেখেন, অন্য ঘরের শিকল ভেঙে টাকা ও গয়না নিয়ে গিয়েছে চোরেরা। পুলিশ জানায়, তদন্ত চলছে।
|
মানবাধিকার কমিশনের কর্মী পরিচয়ে টাকা তোলার অভিযোগে দু’জনকে ধরল পুলিশ। বৃহস্পতিবার কালনার ঘটনা। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের নাম ভুটান বিশ্বাস ও প্রহ্লাদ হালদার। ভুটানের বাড়ি উত্তর চব্বিশ পরগনায়। প্রহ্লাদ কালনার মধুবন এলাকার বাসিন্দা। অভিযোগ, বেশি টাকা ফেরতের প্রতিশ্রুতি দিয়ে তারা টাকা তুলছিল। ভুয়ো কাগজপত্র দেখিয়ে তারা নিজেদের মানবাধিকার কর্মী দাবি করত বলে অভিযোগ। |