|
|
|
|
পুজোর ছুটি নিয়ে কর্তৃপক্ষের দ্বন্দ্ব |
নিরাপত্তার স্বার্থে স্কুল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত কুলটিতে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • আসানসোল |
পুজোর ছুটির মেয়াদ নিয়ে স্কুল পরিচালন সমিতি ও প্রধান শিক্ষকের সিদ্ধান্তের মধ্যে পার্থক্য ছিল। তা নিয়ে গোলমালের জেরে শিক্ষক-শিক্ষিকা ও পড়ুয়াদের ‘নিরাপত্তার জন্য’ ৪ নভেম্বর পর্যন্ত স্কুলের পঠন-পাঠন বন্ধ রাখল স্কুল পরিচালন সমিতি। কুলটির মিঠানি উচ্চবিদ্যালয়ের পরিচালন সমিতির তরফে শুক্রবার বিজ্ঞপ্তি দিয়ে এই সিদ্ধান্ত জানানো হয়। একই সঙ্গে ছুটি ঘোষণাকে কেন্দ্র করে পরিচালন সমিতি ও প্রধান শিক্ষকের মধ্যে বিবাদের জেরে উদ্ভুত পরিস্থিতি নিয়ে তদন্ত দাবি করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দ্বারস্থ হয়েছেন দু’পক্ষই।
স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে, স্কুলের প্রধান শিক্ষক বৃন্দাবন পাল বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানিয়েছিলেন, ৪ নভেম্বর পর্যন্ত ছুটি থাকবে স্কুল। খুলবে ৫ নভেম্বর। অন্য দিকে, পরিচালন সমিতির বৈঠকে গৃহীত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সমিতির সম্পাদক নন্দদুলাল চট্টোপাধ্যায় পাল্টা বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানান, স্কুল ছুটি থাকবে ২৯ অক্টোবর পর্যন্ত। খুলবে ৩০ অক্টোবর। বিজ্ঞপ্তি ও পাল্টা বিজ্ঞপ্তিকে কেন্দ্র করে বিভ্রান্তি দেখা দেয় পড়ুয়া ও অভিভাবকদের মধ্যে।
এর পরে ৩০ অক্টোবর পরিচালন সমিতির নির্দেশমতো স্কুলের প্রায় ১৬ জন শিক্ষক শিক্ষিকা স্কুলে আসেন। স্কুল সূত্রে খবর, তাঁরা এবিটিএ প্রভাবিত। কিছু পড়ুয়াও স্কুলে আসে। বৃহস্পতিবারেও ওই শিক্ষক শিক্ষিকারা স্কুলে আসার পর অভিভাবকদের একাংশ বেশ কিছুক্ষণ তাঁদের স্কুলে তালা বন্ধ করে রাখেন। তাঁদের অভিযোগ, নিয়ম বহির্ভূতভাবে স্কুলে এসেছেন ওই শিক্ষক-শিক্ষিকারা। পরে পুলিশ গিয়ে তাঁদের মুক্ত করে। এর পরেই ৪ অক্টোবর পর্যন্ত স্কুল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেন পরিচালন সমিতি। নন্দদুলালবাবুর দাবি, “বেশ কিছু বাইরের লোকজন শিক্ষক-শিক্ষিকাদের মারধরের হুমকি দিচ্ছেন। নিরাপত্তার কারণে আমরা স্কুল বন্ধ রেখেছি।” তিনি জানান, বিষয়টি পুলিশকে ও জেলা স্কুল পরিদর্শককে জানানো হয়েছে। তাঁর কথায়, “আমরা জেলা স্কুল পরিদর্শককে বিষয়টি তদন্তের জন্য অনুরোধ করেছি।” প্রধান শিক্ষক বৃন্দাবন পাল জানান, তাঁর অনুমতি ছাড়া স্কুলের তালা খুলে কী ভাবে পঠন-পাঠন শুরু হল, তা নিয়ে জেলা স্কুল পরিদর্শকের কাছে তদন্তের আর্জি জানিয়েছেন। তাঁর কথায়, “স্কুলের নিরাপত্তা বজায় রাখতে প্রয়োজনে আমি আইনি সহায়তা নেব।” ঘটনায় উদ্বিগ্ন জেলা স্কুল পরিদর্শক নীলিমা গিরি। তিনি জানান, তদন্তকারী দল পাঠিয়ে সবিস্তার খোঁজখবর নেওয়া হবে। |
|
|
|
|
|