পঞ্চায়েত ভোটের আগে ভাঙনের মুখে গ্রেটার কোচবিহার পিপলস পার্টি (জিসিপিপি)। বুধবার দলের সভাপতি বংশীবদন বর্মনের বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ তুলে আহ্বায়ক পদ তো বটেই। দলের সদস্যপদ থেকেও ইস্তাফার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করলেন আনোয়ার হোসেন। ওই ঘটনায় রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। গ্রেটার কোচবিহার পিপলস পার্টির সম্পাদক রাজীব রায় বলেন, “আনোয়ার হোসেন দল থেকে ইস্তাফার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন। লিখিত পদত্যাগপত্র পাঠানোর কথা বলেছেন। বিষয়টি নিয়ে দলের কেন্দ্রীয় কমিটিতে আলোচনা হবে।” জিসিপিপি সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০০৫ সালে কোচবিহার রাজ্যের দাবিতে বংশীবদনবাবুর নেতৃত্বে গ্রেটার কোচবিহার পিপলস অ্যাসোসিয়েশনের অনশন আন্দোলন ঘিরে গোলমাল হয়। দুই আন্দোলনকারী সহ এক আইপিএস এবং দুই পুলিশ কর্মী মারা যায়। পুলিশ খুন সহ একাধিক অভিযোগে বংশীবদনবাবুর বিরুদ্ধে মামলা রুজু করে। ২০০৬ সালে তিনি আত্মসমর্পণ পরেন। এর পরে গ্রেটার কোচবিহার পিপলস অ্যাসোসিয়েশন ভাগ হয়। বংশীবদনবাবুর অনুগামীরা গ্রেটার কোচবিহার ডেমোক্রেটিক পার্টি গঠন করেন। রাজ্যে পালা বদলের পরে গত ডিসেম্বর তিনি জামিনে ছাড়া পেয়ে এপ্রিল মাসে নতুন দল গ্রেটার কোচবিহার পিপলস পার্টি গঠন করে পঞ্চায়েত ভোটে লড়াই করার কথা ঘোষণা করেন। দলের আহ্বায়ক হন আনোয়ার হোসেন। ওই ঘটনার ছয় মাসের মাথায় আহ্বায়কের সঙ্গে বংশীবদনবাবুর তিক্ততা বাড়ে। আনোয়ার হোসেন বলেন, “বংশীবদনবাবু স্বেচ্ছাচারী হয়ে উঠেছেন। দলে আলোচনা না করে নিজের গ্রাম জরাবাড়ির বাড়িতে বসে খুশি মতো সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন। এটা মেনে নিতে পারছি না। তাই দল ছাড়ার কথা সম্পাদককে জানিয়েছি। লিখিত পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে দেব।” যদিও গ্রেটার কোচবিহার পিপলস পার্টির সভাপতি বংশীবদনবাবু অভিযোগ অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, “আনোয়ার দলীয় শৃঙ্খলা ভেঙেছেন। ওই কারণে মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠকে আহ্বায়ক পদ থেকে সরিয়ে সাধারণ সদস্য করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।” |