বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে এক যুবককে খুন করার অভিযোগে নিহতের দুই বন্ধুকে গ্রেফতার করল পুলিশ। বুধবার সকালে রায়গঞ্জের ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের ইন্দিরা কলোনিতে ঘটনাটি ঘটেছে। পুলিশ জানায়, ধৃতদের নাম কল্যাণ বারুই ও পাপন সরকার। ওই এলাকাতেই তাদের বাড়ি। বাসিন্দারা দুই যুবককে আটকে মারধর করার পর পুলিশের হাতে তুলে দেন। এদিন সকালে কালিয়াগঞ্জের কুনোর এলাকার একটি জমি থেকে এলাকার বাসিন্দা পেশায় দিনমজুর সমীর কুন্ডু’র (২২) দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তাঁকে মাথায় ভারী এবং শরীরের বিভিন্ন অংশে ধারাল অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। খুনের ঘটনার তদন্তে নেমে কালিয়াগঞ্জ থানার পুলিশ। রায়গঞ্জের ডিএসপি জ্যোতিষ রায় বলেন, “মদ বা জুয়া খেলার টাকা নিয়ে গোলমালের বিষয়টি দেখা হচ্ছে। পাশাপাশি, এক মহিলার বিষয়টিও সামনে এসেছে। তদন্ত চলছে।” নিহতের বাবা পরিতোষবাবু, দাদা প্রবীরবাবু ও ভাই সুজিতবাবুর সঙ্গে পঞ্জাবের লুধিয়ানায় দিনমজুরির কাজ করেন। পুজোর আগে তাঁরা দুই মাসের ছুটি কাটানোর জন্য বাড়িতে ফিরে আসেন। পরিতোষবাবু বলেন, “কল্যাণ, পাপন ও প্রতিবেশী আরেক যুবক সমীরকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায়। ছেলে বাইক নিয়ে যায়। রাতভর সমীর বাড়ি না ফেরায় এদিন সকালে তিনজনকে ধরা হয়। বাসিন্দাদের চাপে তারা ঘটনার কথা স্বীকার করেছে। ওই সময় একজন পালায়।” পরিতোষবাবুর অনুমান, বাইকটি লুঠ করে বিক্রি করার চেষ্টা ব্যর্থ হওয়ায় ছেলেকে ওরা খুন করে থাকতে পারে। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশের অনুমান, মদ ও জুয়ার আসর থেকেই সমীরের সঙ্গে অভিযুক্তদের গোল দেখা দিতে পারে। এ ছাড়াও স্থানীয় এক মহিলার সঙ্গে সমীর সহ বাকি তিন অভিযুক্তের ঘনিষ্টতা তৈরি হয়েছিল। তার জেরেই খুনের ঘটনা কী না তাও পুলিশ খতিয়ে দেখছে। নিহতের বাইকটিও স্থানীয় এক বাসিন্দার হেফাজত থেকে উদ্ধার হয়েছে। তাকেও পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করছে। রায়গঞ্জ পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান তথা এলাকার কাউন্সিলর রণজকুমার দাস বলেন, “খুনের ঘটনায় জড়িতদের কঠোর শাস্তির দাবি করেছি।” পুলিশ জানিয়েছে, পলাতক অভিযুক্তের খোঁজ চলছে। |