নানা মহলের সমালোচনার মুখে অবশেষে চিকিৎসা বর্জ্য আলাদা ভাবে ফেলতে উদ্যোগী হল রায়গঞ্জ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। বুধবার বিকালে হাসপাতালের তরফে বিজ্ঞপ্তি জারি করে হাসপাতালের নার্স, স্বাস্থ্য কর্মী, আয়া ও সাফাইকর্মীদের সতর্ক করলেন কর্তৃপক্ষ। শুধুমাত্র বিজ্ঞপ্তি জারি করতে কেন ১০ দিন লেগে গেল তা নিয়ে এদিন হাসপাতালের অন্দরেই নানা প্রশ্ন উঠেছে। সুপার অরবিন্দ তান্ত্রি বলেন, “মুখে অনেক বার বলেছি। কাজ হয়নি। লিখিত ভাবে সতর্ক করলাম। আর দু’দিন দেখব। তারপরও কারও কর্তব্যে গাফিলতি ধরা পড়লে শোকজ করে সাময়িক বরখাস্ত করা হবে। কী ভাবে হাসপাতাল চত্বর থেকে আবর্জনা সরানো যায় তা দেখা হচ্ছে।” |
হাসপাতাল চত্বর পরিদর্শনে পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান। ছবি: তরুণ দেবনাথ। |
হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির সদস্য অরিন্দম সরকার বলেন, “হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের একাংশ রাজ্য সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্য উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে কর্মীদের ওপর নজরদারি চালাচ্ছেন না। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত অপেক্ষা করব। তার মধ্যে হাসপাতালে দূষণ সমস্যা সমাধান না হলে হাসপাতাল সুপারকে বদলি করতে যা যা করতে হয় তাই করব।” এদিন আনন্দবাজার পত্রিকায় হাসপাতাল চত্বরে দূষণের খবর প্রকাশিত হতেই হাসপাতাল সুপারের অফিস সংলগ্ন মাঠে স্থানীয় ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের একাংশকে নিয়ে চিকিৎসার বর্জ্য ও সাধারণ আবর্জনার স্তূপ ঘুরে দেখেন রায়গঞ্জ পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান রণজকুমার দাস। পুর কর্তৃপক্ষ এ দিনও বর্জ্য-আবর্জনা সরাতে কোনও পদক্ষেপ করতে পারেনি। রণজবাবু বলেন, “নজরদারির অভাবে হাসপাতাল কর্মীরা গত ১০ দিন ধরে চিকিৎসার বর্জ্য ও সাধারণ আবর্জনা একসঙ্গে মিশিয়ে ফেলছেন। এ সব আবর্জনা পুরসভার ডাম্পিং গ্রাউন্ডে ফেললে সংক্রমণ ছড়ানোর আশঙ্কা রয়েছে। বৃহস্পতিবারের মধ্যে এই সমস্যার সমাধান না হলে এলাকার বাসিন্দাদের সঙ্গে নিয়ে সুপারকে অনির্দিষ্টকালের জন্য ঘেরাও করব।” |