প্রশাসনের প্রতিশ্রুতি দুই ভাইকে
নিজস্ব সংবাদদাতা • বালুরঘাট |
গঙ্গারামপুরের অতিকায় বালক দুই ভাই রাম লক্ষ্মণের খাবারের সমস্যা মেটাতে উদ্যোগী দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা প্রশাসন। বুধবার সংবাদপত্রে দুই ভাইয়ের কথা প্রকাশিত হতে তৎপর হয় প্রশাসন। জেলাশাসক দুর্গাদাস গোস্বামী বলেন, “‘দিনমজুর ওই পরিবারের বিপিএল তালিকায় নাম নেই। খাদ্য দফতরকে তাদের বিপিএল কার্ড দিয়ে গণবন্টন ব্যবস্থায় অর্ন্তভুক্তকরতে বলা হয়েছে। সস্তায় চাল সরবরাহের বিষয়টিও দেখা হচ্ছে।” দুই ভাইয়ের চিকিৎসার বিষয়ে কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক সতীনাথ মুখোপাধ্যায় আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। এদিন তিনি কলকাতা থেকে টেলিফোনে বলেন, “এসএসকেএমের বহির্বিভাগে ওই শিশু দুটিকে আনা হলে আমি চিকিৎসা করব।” গঙ্গারামপুরের তৃণমূল বিধায়ক সত্যেন রায় বলেন, “আনন্দবাজার পত্রিকায় ওই দুই ভাইয়ের বিষয়টি জানতে পারলাম। ওদের সব রকম সাহায্য করা হবে। এসএসকেএমে ওদের চিকিৎসা করানোর চেষ্টা করব।” দক্ষিণ দিনাজপুরের জেলা কংগ্রেস সভাপতি নীলাঞ্জন রায় বৃহস্পতিবার রাম লক্ষ্মণের গ্রামে যাবেন।
|
শিকল সরিয়ে চিকিৎসা শুরু
নিজস্ব সংবাদদাতা • বালুরঘাট |
প্রায় দু’বছর পরে শৃঙ্খলমুক্ত হয়ে চিকিৎসার সুবিধা পেলেন মানসিক ভারসাম্যহীন বধূ সাবিত্রী হেমব্রম। দক্ষিণ দিনাজপুরের হিলি থানার কিসমতদাপট এলাকার ওই বধূকে বুধবার হিলির যুগ্ম বিডিও শুভাশিস মজুমদার বালুরঘাট হাসপাতালের মানসিক ওয়ার্ডে ভর্তি করান। বিয়ের পর সাবিত্রীদেবী মানসিক ভারসাম্য হারান। তার স্বামী গোবিন্দ মুর্মু বংশীহারী থেকে বছর তিনেক আগে শ্বশুড়বাড়ি হিলিতে স্ত্রীকে রেথে চলে যান। বধূর মা নয়নী মার্ডি মেয়ের পাগলামীর জেরে তিনি বাধ্য হয়ে কুঁড়ে ঘরের মধ্যে তাঁকে শিকল দিয়ে বেধে রাখেন। প্রায় দুই বছর ধরে শিকলবন্দি হয়ে ছিলেন। খবর পেয়ে এগিয়ে আসেন প্রশাসনিক কর্তারা।
|
হাসপাতাল পাল্টে রক্ষা আড়াইশো রোগীর
সংবাদসংস্থা • নিউ ইয়র্ক |
স্যান্ডির দাপটে ওদের মাথায় ছিল একটাই চিন্তা। যে ভাবেই হোক, বাঁচাতে হবে রোগীদের। নিউ ইয়র্ক ইউনিভার্সিটির লাঙ্গন মেডিক্যাল সেন্টারের চিকিৎসক, নার্স এবং সব কর্মী তাই ছুটে বেড়াচ্ছিলেন। প্রবল ঝড়বৃষ্টির জেরে তাদের হাসপাতালের বেসমেন্ট ভেসে গিয়েছে। আলো নেই। থেমে গিয়েছে লিফট। ছাদের জেনারেটরও বৃষ্টির জলে বন্ধ। সদ্যোজাতদের জন্য রাখা ভেন্টিলেটরও কাজ করছিল না। ২০টি শিশু-সহ হাসপাতালের ২৫০ রোগীকে তাই দ্রুত অন্য হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করাটাই ছিল লাঙ্গন মেডিক্যাল সেন্টারের কর্মীদের চ্যালেঞ্জ। চিকিৎসক অ্যান্ড্রু ব্রটম্যান জানালেন, মঙ্গলবার সকালের মধ্যে সেই কাজ তাঁরা করে ফেলেছেন।
|
উধাও রোগী
নিজস্ব সংবাদদাতা • ঘাটাল |
ঘাটাল মহকুমা হাসপাতাল থেকে উধাও হয়ে গেলেন চিকিৎসাধীন এক রোগী। বুধবার সকালে অনেক খোঁজাখুঁজির পরেও দুর্গাচরণ ভাণ্ডারি নামে হাওড়ার বাগনানের ওই বাসিন্দার সন্ধান না মেলায় পুলিশে খবর দেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। নার্ভের সমস্যা নিয়ে গত রবিবার হাসপাতালে মেডিসিন ওয়ার্ডে ভর্তি হন দুর্গাচরণবাবু। সুপার অনুরাধা দেব বলেন, “এ দিন সকালে হাসপাতালের কর্মীরা তাঁকে দেখতে না পেয়ে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। পরে পুলিশে খবর দেওয়া হয়।” |