ছুটির মজুরি নিয়ে মতবিরোধ |
বন্ধ মেটেলি চা বাগান |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মালবাজার |
পুজোর ছুটির মজুরি দেওয়ার দাবি নিয়ে মতবিরোধে বন্ধ হয়ে গেল ডুয়ার্সের মেটেলি চা বাগান। বুধবার ভোরে কর্তৃপক্ষ বাগান ছেড়ে চলে যান। শ্রমিকরা সাইরেন বাজছে না দেখে কারখানায় খোঁজ নিতে গিয়ে বাগান বন্ধের কথা জানতে পারেন। দশমীর পর দিন অর্থাৎ ২৫ অক্টোবর শ্রমিকরা পূর্ণদিবস ছুটি পেলেও সেদিনের দৈনিক ভাতা কর্তৃপক্ষ দিতে অস্বীকার করেন। বাগানের নিয়ম অনুসারে, অষ্টমী ও নবমী এই দুদিন ছুটি থাকে। ওই দুদিনকে ‘পেড হলিডে’ হিসেবে গন্য হয়। দশমীর দিন ‘আনপেড হলিডে’ থাকে। মেটেলি চা বাগানে দশমীর পর দিন ২৫ অক্টোবরকেও ‘পেড হলিডে’ হিসেবে বিবেচনা করতে শ্রমিক ইউনিয়ন দাবি জানিয়েছিল। মূলত আদিবাসী বিকাশ পরিষদের চা শ্রমিক সংগঠন প্রোগ্রেসিভ টি ওয়ার্কার্স ইউনিয়ন এই দাবিকে সামনে রেখে বাগানে গত শনিবার, ২৭ অক্টোবর গেট মিটিং করে। বুধবার মেটেলি চা বাগানের শ্রমিকদের পাক্ষিক বেতন দেওয়ার দিন ধার্য ছিল। |
|
ছবিটি তুলেছেন দীপঙ্কর ঘটক। |
২৫ অক্টোবরের দৈনিক বেতন না দিলে বড় গোলমাল হতে পারে আশঙ্কায় বাগান ছা়ড়ে কর্তৃপক্ষ। ভোর বেলায় বাগান ছাড়ার সময় ম্যানেজার ভি এস রাওয়ালের গাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগ ওঠে। মেটেলি থানায় রাওয়াল সাসপেনসন অফ ওয়ার্ক এর নোটিশ জমা দেন। গাড়ি ভাঙচুরেরও অভিযোগ জমা দেন। এদিকে প্রোগ্রেসিভ টি ওয়ার্কার্স ইউনিয়ন এর পক্ষ থেকে এই অভিযোগ অস্বীকার করা হয়। সংগঠনের মেটেলি ব্লক সভাপতি গণেশ চিক বরাইক এবং মেটেলি চা বাগানের ইউনিটের সহ সভাপতি রেহান মিন্জরা জানান, বাগান কর্তৃপক্ষ নীরবে বাগান ছেড়েছেন। মঙ্গলবার রাত ৩টে অবধি কারখানায় কাজ হয়েছে। তখনও বাগান বন্ধ হওয়ার আঁচ পাওয়া যায়নি। দুই নেতার দাবি, “ছুটির টাকা বকেয়ার বিষয়ে এমন কোন তীব্র আন্দোলনও হয়নি। যার জেরে কর্তৃপক্ষকে বাগান ছাড়তে হবে।” এদিন বাগানের অচলাবস্থা কাটাতে তারা মালবাজারের মহকুমাশাসককে স্মারকলিপি জমা দেন। এদিকে মালবাজারের সহকারী শ্রম কমিশনার বলদেব মণ্ডল ২ নভেম্বর মালবাজারে তার দফতরে চা বাগান নিয়ে ত্রিপাক্ষিক বৈঠক ডেকেছেন। ওই দিনই মেটেলি চা বাগানের জট কেটে যাবে বলে বলদেববাবু আশা প্রকাশ করেন। |
|