অবৈধ নির্মাণে কঠোর ব্যবস্থা
রে বাইরে চাপের মুখে পড়ে শহরের অবৈধ নির্মাণগুলির ক্ষেত্রে এ বার কড়া ব্যবস্থা নিতে চাইছেন শিলিগুড়ি পুর কর্তৃপক্ষ।
নকশা অনুমোদনের আগেই নির্মাণ কাজ শুরু করায় ১১টি ভবন তৈরির বিষয় নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। বামেরা তো বটেই কংগ্রেস এবং তৃণমূলের অনেক কাউন্সিলরও ওই ভবনগুলির নির্মাণ কাজ নিয়ে বোর্ড মিটিঙে সরব হন। তার জেরেই আটকে রাখা হয় নকশাগুলি। ওই সমস্ত নির্মাণ কাজগুলির বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে তা ঠিক করতে পুরসভার আইনজীবী সেলের সাহায্য চাওয়া হয়। অন্তত ২ মাস আগে তাদের মতামত চাওয়া হলেও সম্প্রতি আইনজীবী সেলের তরফে জানানো হয়েছে অধিকাংশ ভবনগুলি নিয়ম না মেনে নকশা অনুমোদনের আগেই কাজ শুরু করেছে। অনেক ক্ষেত্রে নির্মাণকাজ অনেকটা করাও হয়েছে। সে সমস্ত অবৈধ নির্মাণ ভেঙে দেওয়ার সুপারিশ করেছেন তাঁরা। গোটা চারেক নির্মাণ কাজ সে ভাবে শুরু না হওয়ায় তাদের ক্ষেত্রে জরিমানা ধার্য করে ছাড় দেওয়ার কথা ভাবার জন্যও আইনজীবী সেলের তরফে বলা হয়েছে।
তবে জরিমানা নিয়ে তাদের ছাড় দিলে বাকিদের ক্ষেত্রে ব্যবস্থা নিতে সমস্যা হতে পারে বলে মনে করছেন মেয়র পারিষদ এবং আধিকারিকদের একাংশ। মেয়র গঙ্গোত্রী দত্ত বলেন, “ওই ১১ টি নির্মাণ কাজের ক্ষেত্রে কী ব্যবস্থা নেওয়া উচিত সে ব্যাপারে আইনজীবী সেলের মতামত মিলেছে। শীঘ্রই মেয়র পারিষদদের সঙ্গে আলোচনা করে এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তবে আমরা অন্যায়ের সঙ্গে কোনও আপস করব না। অবৈধ ভাবে কেউ কিছু করে থাকলে তা মেনে নেওয়ার প্রশ্নই নেই।” পাশাপাশি ওই ১১টি নির্মাণ ছাড়াও অভিযোগ মেলার পর পুরসভার নিষেধ উপেক্ষা করে যারা অবৈধ নির্মাণ করেছেন তাদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছেন কর্তৃপক্ষ। বিল্ডিং বিভাগের মেয়র পারিষদ সীমা সাহা জানিয়েছেন, অভিযোগ পেয়ে অনেক ক্ষেত্রে নির্মাণ কাজ স্থগিত রাখতে বলা হয়েছিল। অথচ বিভিন্ন সময় এমনকী পুজোর দিনগুলিতেও তাদের অনেকে পুরসভার ছুটি থাকার সুযোগ নিয়ে নির্মাণ কাজ করেছেন। সেগুলির অবৈধ অংশ অবিলম্বে নোটিশ পাঠিয়ে ভেঙে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। সে ক্ষেত্রে কোনও রাজনৈতিক রং দেখা হবে না বলেই জানানো হয়েছে। দলীয় ভাবে কংগ্রেস, তৃণমূলের তরফেও একই বার্তা দেওয়া হয়েছে। তারাও এ ব্যাপারে সহমত পোষণ করেন।
জেলা তৃণমূলের সভাপতি তথা উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেবও বিভিন্ন সময় শহরের অবৈধ নির্মাণ নিয়ে প্রকাশ্যে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তার জেরে দুই এক বার অভিযান শুরু কলেও তা মাঝপথে বন্ধ করে দেওয়া হয়। তা নিয়েও অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন গৌতমবাবু।
শহরের অবৈধ নির্মাণ নিয়ে সরব হয় কংগ্রেসের কাউন্সিলরদের একটা বড় অংশ। এমনকী দলীয় নেতৃত্বের কাছে এ ব্যাপারে ক্ষোভ প্রকাশ করায় বিল্ডিং বিভাগের মেয়র পারিষদের পদে থাকা সীমা দেবীকে সরানোর দাবিও ওঠে। পরিস্থিতি সামাল দিতে পুজোর পর সে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথাও ঠিক হয় বলে দলেরই একটি সূত্রে জানা গিয়েছে। অথচ এখন সে ব্যাপারে দলীয় নেতৃত্ব কিছু না জানানোয় ফের কাউন্সিলরদের মধ্যে তা নিয়ে গুঞ্জন শুরু হয়েছে। জেলা কংগ্রেস সভাপতি শঙ্কর মালাকার বলেন, “অবৈধ বিল্ডিংয়ের বিরুদ্ধে পুর কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নিলে আমরা সে ব্যাপারে সহমত। আশা করি শীঘ্রই বাসিন্দারা তা দেখতে পাবেন।”



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.