বেহাল সড়ক মেরামতের দাবিতে বুধবার আলিপুরদুয়ারে জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের দফতর ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখায় তৃণমূলের কর্মী সমর্থকরা। সকাল সাড়ে ১১টা থেকে প্রায় আধ ঘন্টা ওই আন্দোলন চলে। দফতরের কর্তারা ডিসেম্বর মাসের মধ্যে কাজ শুরু করার আশ্বাস দিলে বিক্ষোভ উঠে যায়। যদিও জাতীয় সড়ক দফতরের আলিপুরদুয়ারের বাস্তুকার একে সিংহ ওই বিষয়ে সংবাদমাধ্যমকে কিছু জানাতে অস্বীকার করেন। তৃণমূল কর্মীদের অভিযোগ, বেহাল জাতীয় সড়কের জন্য ডুয়ার্সের পর্যটন শিল্প মার খাচ্ছে। পুজোর আগে বলা হয়েছিল পর্যটন মরশুমের আগে রাস্তা মেরামত করা হবে। কিন্তু কাজ হয়নি। ইতিমধ্যে জঙ্গলে পর্যটকদের যাতায়াত শুরু হয়েছে। |
খানাখন্দে ভরা রাস্তা দেখে তাঁরা ক্ষোভে ফেটে পড়ছেন। দলের রাজ্য কমিটির অন্যতম সম্পাদক মৃদুল গোস্বামী বলেন, “বেহাল রাস্তার জন্য এ বার অনেকে ডুয়ার্সে আসতে চাইছে না। পর্যটন ব্যবসা মার খাচ্ছে। এটা মেনে নেওয়া যায় না। তাই নিরুপায় হয়ে জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের স্থানীয় অধিকারিকের দফতর ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখানো হয়।” তৃণমূল নেতৃত্ব জানান, এর আগে হাইকোর্টের বিচারপতি রাস্তার বেহাল দশা দেখে অসন্তোষ প্রকাশ করেন। কিছুদিন আগে বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় ডুয়ার্সে বেড়াতে যান। রাস্তার পরিস্থিতি দেখে তিনি জয়ন্তী ঘুরে দেখার পরিকল্পনা বাতিল করেন। এ দিন ঘেরাও অন্দোলনের মুখে পড়ে জাতীয় সড়ক বিভাগের কর্তারা তৃণমূল নেতৃত্বকে জানান, বীরপাড়া থেকে হাসিমারা এবং দমনপুর থেকে মজিদখানা পর্যন্ত ৩১ নম্বর জাতীয় সড়ক মেরামতে ৩৮ কোটি টাকা মঞ্জুর হয়েছে। ডিসেম্বর মাসের মধ্যে কাজ হবে। |
আলিপুরদুয়ার টাউন ব্লক তৃণমূল সভাপতি মিহির দত্ত বলেন, “হাসিমারা থেকে বীরপাড়া, দমনপুর থেকে মজিদখানা, আলিপুরদুয়ার সোনাপুর থেকে ফালাকাটা জাতীয় সড়কের বেহাল দশার জন্য পথ দুর্ঘটনা লেগেই আছে। রাস্তার ঝাঁকুনিতে গাড়ি বিকল হচ্ছে। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকার কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না। দ্রুত মেরামতের কাজ শুরু না হলে ফের আন্দোলনে নামব।” |
ছবি দু’টি তুলেছেন নারায়ণ দে। |