রক্তমাংসের সুবোধ রায় তাদেরই লোক ছিলেন। রুপোলি পর্দার ঝুংকু-র সাফল্যকেও নিজেদের মতো করে ব্যবহার করতে চাইছে সিপিএম!
চট্টগ্রামের সশস্ত্র বিদ্রোহের কনিষ্ঠতম সৈনিক, প্রয়াত সুবোধবাবু ওরফে ঝুংকুর দৃষ্টিকোণ থেকে দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের ওই পর্বটিকে ধরতে চেয়ে ‘চিটাগং’ ছবিটি তৈরি করেছেন বেদব্রত পাইন। যেখানে দেখানো হয়েছে, চট্টগ্রামের বিদ্রোহী পরে তেভাগা আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়ছেন। লক্ষ্মীপুজোর দিন জীবনে প্রথম বার মাল্টিপ্লেক্সে গিয়ে ছবিটি দেখে এসেছেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক বিমান বসু। সঙ্গে বিরোধী দলনেতা সূর্যকান্ত মিশ্র। বিমানবাবুরা এখন দলের তরুণ নেতৃত্বকে পরামর্শ দিয়েছেন, ওই ছবির শিক্ষাকে নবীন প্রজন্মের জন্য কাজে লাগানো উচিত। সেই মতোই আসরে নামছে এসএফআই। |
বিমানবাবুদের সঙ্গেই ছবিটা দেখতে গিয়েছিলেন সিপিএমের ছাত্র সংগঠনের দুই নেতা ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় ও দেবজ্যোতি দাস। তাঁরা ঠিক করেছেন, দক্ষিণ কলকাতার একটি প্রেক্ষাগৃহে সংগঠনের ছেলেমেয়েদের ছবিটি দেখতে বলবেন। শো শুরুর আগে গৌতম দেবের মতো সিপিএমের রাজ্য নেতাদের কাউকে কাউকে হাজির করে নবীন প্রজন্মের জন্য ভোকাল টনিক-সংক্রান্ত সংক্ষিপ্ত বার্তা দেওয়ারও ভাবনাচিন্তা হচ্ছে। উদ্যোগ বাস্তবায়িত হলে সিপিএমের সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ডে অভিনব ঘটনা হবে, সন্দেহ নেই! এসএফআই-এর সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক ঋতব্রতের কথায়, “সুকান্ত ভট্টাচার্যের ‘চট্টগ্রাম’ থেকে বেদব্রত পাইনের ‘চিটাগং’। সুবোধ রায়, গণেশ ঘোষ। এ যে আমাদেরই ঐতিহ্য, এটাই আমরা বোঝাতে চাই আমাদের সংগঠনকে।”
বিমান-সূর্যদের হল-এ টেনে নিয়ে আসার কৃতিত্ব যে তাঁরই, তা মানতে নারাজ পরিচালক বেদব্রত। তিনি বললেন, “না, না! আমার কিছু নেই এতে! ওঁরা নিজেরাই ঠিক করেছেন।” |