বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার তালিকা |
|
বিনোদ জুৎসি |
রাজ্যে প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে চার শতাংশের নাম এখনও ভোটার তালিকায় ওঠেনি। নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে তাই এ বার বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার তালিকায় নাম তোলা হবে। ডেপুটি নির্বাচন কমিশনার বিনোদ জুৎসি বুধবার কলকাতায় এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, রাজ্যে ভোটার তালিকায় নাম তোলা ও সংশোধনের শেষ দিন ৩১ অক্টোবর থেকে বাড়িয়ে ৮ নভেম্বর করা হয়েছে। তবে চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশিত হবে নির্ধারিত দিনেই, অর্থাৎ আগামী ৫ জানুয়ারি। জুৎসি এ দিন রাজ্যের সব জেলার নির্বাচন আধিকারিকদের সঙ্গে ভিডিও সম্মেলন করে বলেন, বুথ স্তরের অফিসারেরা (বিএলও) বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার তালিকায় নাম নেবেন। কাজ চলবে চলতি বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত। বিএলও-রা খসড়া ভোটার তালিকার সঙ্গে মিলিয়ে দেখবেন, কোন ভোটার মারা গিয়েছেন বা স্থানাস্তরে গিয়েছেন। খসড়া ভোটার তালিকায় থাকা ওই সব নাম কমিশন সরাসরি বাদ দিয়ে দেবে। রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী অফিসার সুনীল গুপ্ত জানান, জঙ্গিপুর লোকসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচন থাকায় ১ অক্টোবর থেকে ওই লোকসভা কেন্দ্রের সাতটি বিধানসভা এলাকায় ভোটার তালিকা সংশোধনের কাজ শুরু করা যায়নি। গত মঙ্গলবার থেকে তা শুরু হয়েছে। চলবে ২৭ নভেম্বর পর্যন্ত। চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশিত হবে আগামী ২১ জানুয়ারি।
|
বাম আমলের ক্ষুদ্র শিল্পে দুর্নীতির তদন্তের সিদ্ধান্ত |
বাম আমলে ক্ষুদ্র শিল্প দফতরে নানা দুর্নীতির তদন্ত করবে বর্তমান সরকার। অর্থ দফতরকে ওই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। বুধবার মহাকরণে ক্ষুদ্র শিল্প দফতরের আধিকারিক ও একাধিক তন্তুবায় সমবায়ের কর্মকর্তাদের নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়েছে। শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেছেন, “আগের সরকারে ক্ষুদ্র শিল্প দফতরে পাহাড়-প্রমাণ দুর্নীতি হয়েছে। এমনও দেখা গিয়েছে, কাঁচামাল কেনা হয়নি, টাকা মিটিয়ে দেওয়া হয়েছে।” তিনি জানান, কনফেড, বেনফেডের কাজকর্ম নিয়েও তদন্ত হবে। ক্ষুদ্র শিল্প দফতরকে চাঙ্গা করতে মাসে এক বার করে সংশ্লিষ্ট আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁদের ব্যবসায়িক পরিকল্পনা, তাঁতিদের আর্থিক উন্নতি এবং রাজ্যজুড়ে এক লক্ষ কর্মসংস্থান তৈরির লক্ষে কী পদক্ষেপ করা যায়, ১৫ দিনের মধ্যে তা বিস্তারিত ভাবে জানাতে বলা হয়েছে বিভাগীয় অফিসারদের। পার্থবাবু জানান, ওই দফতরের অধীনে এক সঙ্গে ৪৮টি ক্লাস্টারের কাজ চলছে। এর মধ্যে বারুইপুরে সার্জিক্যাল ক্লাস্টারের কাজ শেষ হয়েছে। আরও আটটি শেষের মুখে। |