অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির ধাক্কায় ত্রাহি ত্রাহি অবস্থা কৃষ্ণনগরের জগদ্ধাত্রী পুজো কমিটিগুলির। পুজোর বাজেট করতে বসে চমকে উঠছেন তাঁরা। প্রতিমা থেকে মণ্ডপ, আলোকসজ্জা থেকে দেবীর ভোগ, সবকিছুতেই লাফিয়ে বাড়ছে বাজেট। তার উপরে আছে ঘট বিসর্জনে শোভাযাত্রার খরচও। কয়েকটি পুজো কমিটি তাদের বাজেট গতবছরের তুলনায় এক লক্ষ টাকা পর্যন্ত বাড়াতে বাধ্য হয়েছেন। দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির চাপে পড়ে চাষাপাড়া বুড়িমা পুজো কমিটি গতবারের তুলনায় এবার প্রায় দশ লক্ষ টাকার বাজেট বেশি করেছে বলে দাবি। নিজস্ব অর্থভান্ডার থেকে শুরু করে মানতের সোনার গহনা, প্রণামীর অর্থ এবং সর্বপরি ভক্তের সংখ্যার দিক দিয়ে সকলের থেকে অনেকটাই এগিয়ে চাষাপাড়ার বুড়িমা। ফলে বাজেটেই বিশাল পরিমাণ অর্থ বৃদ্ধির ধাক্কা এই পুজো কমিটি সামলে নিলেও যাদের সেই সামর্থ্য নেই সমস্যায় পড়েছেন তারা। কারণ অন্যান্যবারের মতো পুজোর জৌলুস ধরে রাখতে চাইলে স্বাভাবিকভাবেই মোটা টাকার বাজেট বেড়ে যাচ্ছে। কিন্তু অতিরিক্ত অর্থ সংগ্রহ হবে কোথা থেকে? কৃষ্ণনগরের এক পুজো কমিটির কর্মকর্তা বলেন, ‘‘একে ধারাবাহিক অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির ফলে দুর্বিসহ হয়ে উঠছে সাধারণ মানুষের জীবন সাধারণভাবে খেয়ে পড়ে বেঁচে থাকাটাই সাধারণ মানুষের কাছে কঠিন হয়ে পড়ছে। স্বাভাবিকভাবেই তাই তাদের উপর আর নতুন করে চাঁদার বোঝা চাপানো সম্ভব হচ্ছে না। ফলে এ বার অতিরিক্ত বাজেটের চাপ কিভাবে সামলাব বুঝতে পারা যাচ্ছে না।’’ এই সমস্যা থেকে বেরনোর জন্য অনেকেই সদস্য চাঁদা বাড়ানোর দিকে গুরুত্ব দেওয়ার পাশাপাশি বিজ্ঞাপন সংগ্রহের দিকে ঝুঁকেছেন। চাষাপাড়া বুড়িমা কমিটির সম্পাদক গৌতম ঘোষ বলেন, ‘‘এটা ঠিক দশ লক্ষ টাকাটা একটা বিশাল অঙ্ক। কিন্তু আমাদের ক্ষেত্রে তেমন একটা সমস্যা হবে না। কারণ বুড়িমার নিজস্ব স্থাবর অস্থাবর যা সম্পত্তি আছে তা থেকেই অনেকটাই সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।’’ কিন্তু যাদের সেই সামর্থ্য নেই কি করবেন তারা? বিপুল পরিমাণ বাজেটের বোঝা নগেন্দ্রনগর যুবগোষ্ঠীর অন্যতম কর্মকর্তা স্বপন ঘোষ বলেন, ‘‘এবার বাজেটে প্রায় ষাট হাজার টাকা বেড়েছে। কোথা থেকে এত টাকা আসবে বুঝতে পারছি না। অথচ পিছিয়ে আসার কোন জায়গা নেই।’’ তিনি জানান, সদস্যদের বলা হয়েছে বেশি করে চাঁদা দিতে। |