মুর্শিদাবাদ পুরসভাকে অবশেষে বস্তিবিহীন শহর গড়ে তোলার ব্যাপারে উদ্যোগী হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। সেই মত পুর-এলাকার ১৬টি ওয়ার্ডের ৮২টি বস্তিকে চিহ্নিত করে ওই বস্তিবাসী নাগরিকদের আর্থ-সামাজিক অবস্থা-সহ বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহের কাজ শুরু করেছে পুর-কর্তৃপক্ষ। বস্তিবিহীন শহর গড়ে তোলার জন্য কেন্দ্রীয় সরকার প্রাথমিক ভাবে ৫৮ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করেছে। তার মধ্যে পুরসভা ২৭ লক্ষ টাকা পেয়েও গিয়েছে। ‘সাপোর্ট টু ন্যাশনাল পলিসিজ ফর দি আরবান পোভার্টি রিডাকশন’-এর আওতায় বস্তিবিহীন শহর গড়ে তোলার ব্যাপারে পরীক্ষামূলক ভাবে কেন্দ্রীয় সরকার ভারতের ২০টি শহরকে বেছে নিয়ে প্রকল্প তৈরি করে। তার মধ্যে রাজ্যের একমাত্র শহর হিসেবে মুর্শিদাবাদের নাম রয়েছে। মুর্শিদাবাদের পুরপ্রধান কংগ্রেসের শম্ভূনাথ ঘোষ বলেন, “পরে রাজীব গাঁধী আবাস যোজনা খাতে রূপায়িত করে ওই প্রকল্পের আওতায় ভারতের ১২৭টি শহরকে বেছে নেওয়া হয়েছে। তার মধ্যে রাজ্যের ৫০টি শহর রয়েছে যেখানে বস্তি এলাকা বলে কোনও কিছু থাকবে না। বস্তিবিহীন শহর গড়ে তোলার ব্যাপারে মুর্শিদাবাদ পুরসভার নাম নথিভুক্ত করার ব্যাপারে অবশ্য অধীর চৌধুরীর বিশেষ ভাবে উদ্যোগী হওয়ায় তা সম্ভব হয়েছে।” পুরপ্রধানের কথায়, “স্যাটেলাইটের মাধ্যমে বস্তি এলাকার সীমানা চিহ্নিত করে মানচিত্র তৈরি থেকে বস্তির প্রতিটি বাড়ির কর্তাকে চিহ্নিত করা, নাগরিকদের যাবতীয় তথ্য সংগ্রহ করে পরিকল্পনা তৈরি করতে হবে। পরে বস্তি এলাকা থেকে নাগরিকদের অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে গিয়ে তাঁদের জন্য গৃহনির্মাণ থেকে গৃহ-সংস্কার করার পাশাপাশি পানীয় জল সরবরাহ, রাস্তা তৈরি, বিদ্যুতের বন্দোবস্ত, জলনিকাশি ব্যবস্থা গড়ে তুলে পরিকাঠামোগত উন্নয়ন ঘটানো হবে। পরে ওই নাগরিকদের সামাজিক মান উন্নয়নের জন্য সরকারি সমস্ত প্রকল্প কার্যকরী করার কথাও ওই প্রকল্পের আওতায় করা হবে।” যদিও ২০১৩ সালের মার্চের মধ্যে পরিকল্পনা তৈরি করে রিপোর্ট পাঠানোর কথা ওই প্রকল্পে বলা হয়েছে। পুরপ্রধান বলেন, “বস্তিবাসী অনেকেই কাজের সন্ধানে জেলার বাইরে রয়েছেন। তাঁদের সম্বন্ধে সমস্ত তথ্য সংগ্রহ করতে অসুবিধার মুখে পড়তে হচ্ছে পুর-কর্মীদের। ফলে ১৬টি ওয়ার্ডের সমস্ত বস্তি এলাকার বাসিন্দাদের যাবতীয় তথ্য সংগ্রহের কাজ নির্দিষ্ট ওই সময়ের মধ্যে পরিকল্পনা শেষ করে রিপোর্ট পাঠানো সম্ভব হবে না। এজন্য রিপোর্ট পাঠাতে বাড়তি সময় চাওয়া হয়েছে।” |