টুকরো খবর
ধান কাটতে বাধা, নালিশ কেশপুরে
এক ভাগচাষিকে ধান কাটতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠল কেশপুরে। কেশপুরের ইছাইপুর গ্রামের এই ঘটনাতেও প্রকাশ্যে এসেছে তৃণমূলের গোষ্ঠী বিবাদ। বুধবার কেশপুর থানায় লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন ভাগচাষি শেখ আনোয়ার আলি। অভিযোগ জানানো হয়েছে জেলা পুলিশ সুপারকেও। পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। তবে তৃণমূলের কেশপুর ব্লক সভাপতি তপন চক্রবর্তী ও দলের ব্লক যুব সভাপতি শ্যামল আচার্য বলেন, “এই ধরনের ঘটনার কথা জানা নেই। খোঁজ নিয়ে দেখব।” শেখ আনোয়ার জানিয়েছেন, জমিটি ছিল জামবনি গ্রামের হামিদ আলির। তবে কয়েক পুরুষ ধরে তাঁরাই ওই জমিতে চাষ করছেন। দাদু শেখ হরসতুল্লা, তাঁর ছেলে শেখ আজিদের পর এখন চাষ করছেন আনোয়ার। ১৯৬২ সালে বর্গা রেকর্ডও হয়। এ বছরও ওই জমিতে ধান বুনেছেন আনোয়ার। সোমবার তিনি ধান কাটতে যান। কিছুটা ধান কাটার পরেই স্থানীয় দুই তৃণমূল নেতা আজফার আলি মির্জা ও মন্তাজ আলি মির্জা দলবল নিয়ে গিয়ে তাঁকে বাধা দেয় বলে অভিযোগ। শেখ আনোয়ারের কথায়, “গরিব মানুষ। স্ত্রী, সন্তানদের খাওয়াব কী? আমিও তৃণমূল করি। কিন্তু স্থানীয় কিছু নেতার খারাপ কাজের প্রতিবাদ করায় আমাকে ধান কাটতে বাধা দেওয়া হচ্ছে।” দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, নেপাল ঘোষ-গোলাম মোর্তাজা গোষ্ঠীর লোক আনোয়ার। এই গোষ্ঠীই ‘প্রতিবাদী মঞ্চ’ গড়ে কেশপুরে দলীয় নেতৃত্বের দুর্নীতি, জোরজুলুমের প্রতিবাদ করেছিল। গোলাম মোর্তাজা বলেন, “আনোয়ার আমাদের সমর্থন করেছিলেন বলেই এই অবস্থা। সরকার গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার কথা বলছে, আর কিছু নেতা গণতন্ত্রকে হত্যার চেষ্টা করছে।”

রাস্তা সংস্কারের দাবি, অবরোধ
সরকারি ভাবে অর্থ বরাদ্দ হওয়া সত্ত্বেও এগরা থেকে খড়াই মোড় পর্যন্ত রাস্তার হাল না ফেরায় বুধবার সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখালেন এলাকাবাসী। শেষমেষ পূর্ত দফতরের আধিকারিকেরা শুক্রবার থেকে রাস্তার কাজ শুরু করার আশ্বাস দিলে পুলিশি মধ্যস্থতায় অবরোধ উঠে যায়। এগরা-বাজকুল রাস্তার এগরা থেকে খড়াই মোড় পর্যন্ত ৮ কিলোমিটার অংশটি দীর্ঘ দিন ধরে বেহাল। এলাকাবাসী, পরিবহণ সংগঠনগুলি বারেবারে বিক্ষোভ দেখালেও কাজ হয়নি। মাস ছয়েক আগে রাস্তা সংস্কারের আশ্বাস দেয় প্রশাসন। কিন্তু কাজ আর হয়নি। এলাকাবাসী ফের আন্দোলন করলে খড়াই মোড় থেকে পঁচেট মোড় পর্যন্ত চার কিলোমিটার রাস্তা ও পরে পঁচেট মোড় থেকে দক্ষিণ খাড় পর্যন্ত দেড় কিলোমিটার রাস্তার গর্ত পাথর দিয়ে ভরিয়ে প্রাথমিক পর্যায়ের কাজ হয় শুধু। তারপর আর কাজ হয়নি। সমস্যার কথা মেনে নিয়ে পূর্ত দফতরের কাঁথি হাইওয়ে ডিভিশনের অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার অরবিন্দ দে জানান, এই ৮ কিলোমিটার রাস্তার জন্য ৩ কোটি ১৯ লক্ষ টাকা বরাদ্দ হয়েছে। কিন্তু টাকা পেতে সমস্যা হওয়ায় ঠিকাদারকে টাকা দেওয়া যায়নি। তাই ঠিকাদার কাজ বন্ধ করে দেন। দফতরের অনুরোধে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার শুক্রবার থেকে কাজ শুরু করতে সম্মত হয়েছেন।

লরির ধাক্কায় মৃত্যু প্রৌঢ়ের
লরির ধাক্কায় মৃত্যু হল এক প্রৌঢ়ের। মৃতের নাম সতীশ বেরা (৫৯)। বাড়ি বসনছড়া পঞ্চায়েতের হরিসংহপুরে। এ দিন ভোরে সাইকেলে করে বস্তা ভর্তি সব্জি নিয়ে চন্দ্রকোনা বাজারে বিক্রি করতে যাচ্ছিলেন সতীশবাবু। চন্দ্রকোনা শহরের গোঁসাইবাজারে ঘাটাল-চন্দ্রকোনা সড়কে পাথর বোঝাই একটি লরি তাঁকে ধাক্কা মেরে চলে যায়। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় সতীশবাবুর। মৃতদেহটি ময়না-তদন্তের জন্য ঘাটালে পাঠিয়েছে পুলিশ। লরির খোঁজ চলছে। এ দিনই বিকেলে চন্দ্রকোনার রামজীবনপুরে বাইপাস সংলগ্ন আমদান মোড়ে লরির ধাক্কায় মৃত্যু হয় অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রের। মৃত পলাশ কোটাল (১৪) রামজীবনপুর পুরসভার পুরাতন বাজারের বাসিন্দা। পুলিশ জানিয়েছে, বন্ধুদের সঙ্গে রাস্তার লরি আটকে কালীপুজোর চাঁদা তুলছিল পলাশ। আরামবাগগামী একটি দ্রুতগতির লরি না দাঁড়িয়ে পলাশকে ধাক্কা মেরে চলে যায়। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় পলাশের। ওই দলের আর কেউ জখম হয়নি। লরিটিকেও ধরা যায়নি।

ডিলার বদল, ঘেরাও প্রধান
কেরোসিন ডিলার বদলে দেওয়ার প্রতিবাদে পঞ্চায়েত প্রধান, উপপ্রধান ও কর্মচারীদের অফিসে তালা ঝুলিয়ে ঘেরাও করার অভিযোগ উঠেছে একদল গ্রামবাসীর বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার কাঁথি ৩ ব্লকের লাউদা গ্রাম পঞ্চায়েতের ঘটনা। সকাল থেকে ঘেরাও চলার পরে বিকেলে কাঁথি ৩ ব্লকের যুগ্ম সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক সৌমিত্র প্রধান মারিশদা থানার পুলিশবাহিনী নিয়ে ঘটনাস্থলে যান। পরে গ্রামবাসীদের বুঝিয়ে প্রধান অতিথিপ্রসন্ন মান্না, উপপ্রধান কল্যাণী কাণ্ডার-সহ আটক কর্মচারীদের ঘেরাও মুক্ত করেন। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, লাউদা পঞ্চায়েতের কামারদা গ্রামের বাসুদেব জানা দীর্ঘ কয়েকবছর ধরে স্থানীয় বনমালীচট্টা, পশ্চিম কামারদা, সাঁকাবাই প্রভৃতি গ্রামে কেরোসিন সরবরাহ করতেন। সম্প্রতি কোনও কারণ না দেখিয়ে তাঁকে বাদ দিয়ে অন্য এক জনকে ডিলারশিপ দেওয়া হয়। এরই প্রতিবাদে এ দিন গ্রামবাসীদের একাংশ পঞ্চায়েত অফিস ঘেরাও করেন। ব্লক অফিস থেকে অবশ্য এটি খাদ্য সরবরাহ দফতরের বিষয় বলে জানিয়ে দেওয়া হয়। খাদ্য সরবরাহ দফতর শুক্রবার বৈঠক ডেকেছেন বলে কাঁথি ৩ ব্লক উন্নয়ন আধিকারিক প্রদীপ্ত বিশ্বাস জানিয়েছেন।

ট্রেন থেকে পড়ে মৃত্যু
চলন্ত ট্রেন থেকে পড়ে গিয়ে মৃত্যু হল এক যুবকের। মঙ্গলবার এই ঘটনা ঘটেছে দক্ষিণ-পূর্ব রেলের হাওড়া-খড়্গপুর শাখায় মেচেদা স্টেশনের কাছে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম কানাইলাল ঘোষ (২৯)। তাঁর বাড়ি কোলাঘাট থানার মানুয়া গ্রামে। কলকাতার বাগবাজারে একটি মিষ্টির দোকানে কাজ করতেন কানাইলাল। মঙ্গলবার দুপুরে হাওড়া থেকে পাঁশকুড়াগামী লোকাল ট্রেনে চেপে বাড়ি ফিরছিলেন কানাই। বিকেল ৪টা নাগাদ মেচেদা স্টেশনের কিছুটা আগে দরজার কাছে দাঁড়িয়ে থাকা কানাই নীচে পড়ে যান। রেলপুলিশ কানাইকে উদ্ধার করে উলুবেড়িয়া হাসপাতালে ভর্তি করে। পরে তাঁকে কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। বুধবার ভোরে সেখানেই মৃত্যু হয়।

অজ্ঞাতপরিচয়ের দেহ
অজ্ঞাতপরিচয় এক ব্যাক্তির মৃতদেহ উদ্ধার হল ঘাটাল মহকুমা হাসপাতাল চত্বরের প্রতীক্ষালয়ে। বুধবার সকালে হাসপাতালের রোগীর আত্মীয়-পরিজনেরাই প্রথমে দেহটি দেখতে পান। খবর পেয়ে ঘাটাল থানার পুলিশ এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না-তদন্তের জন্য নিয়ে যায়। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের বয়স আনুমানিক ৪০। পরনে ছিল সাদা জামা ও কালো রঙের প্যান্ট। স্থানীয় লোকজন ওই ব্যক্তিকে আগে দেখেননি। কী ভাবে মৃত্যু হলতা নিয়েও পুলিশ ধন্দে।

স্বামীর জেল
পণের দাবিতে এক বধূকে পুড়িয়ে মারার অভিযোগে স্বামী, দেওর ও ননদকে ১৪ দিনের জেল হাজতের নির্দেশ দিলেন বিচারক। গত রবিবার রামনগর থানার বীরকূল গ্রামে আল্পনা সাউ নামে ওই বধূ অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা যান। পুলিশ তাঁর স্বামী নিমাই সাউ, দেওর নিতাই সাউ ও ননদ মামনি সাউকে গ্রেফতার করে মঙ্গলবার আদালতে তোলে।

জয়ী পানিপারুল
বিভূতিভূষণ মাইতি স্মৃতি পিএসএ কাপ ফুটবল প্রতিযোগিতায় দ্বিতীয় দিনের খেলায় জয়ী হল পানিপারুল। বুধবার কলকাতার ঢাকুরিয়া শহিদ প্রীতি সঙ্ঘের মুখোমুখি হয়েছিল টুর্নামেন্টের আয়োজক পানিপারুল স্পোর্টস অ্যাকাডেমি।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.