বন্দরনামা |
|
|
বন্দর: এবিজি দু’টি বার্থ মিলিয়ে দিনে ৪০ হাজার টন মাল খালাস করতে পারে। গত আর্থিক বছরে করেছিল ৫৫ লক্ষ টন। প্রতি টনে বন্দরের রোজগার ১৫২ টাকা। অন্য বার্থে দিনে ৫ হাজার টন পণ্য খালাস হয়। প্রতি টনে বন্দরের আয়
মাত্র ৬০ টাকা। |
|
|
রফতানিকারী: একটি জাহাজ যত বাড়তি সময় দাঁড়াবে, ততই ‘ডেমারেজ চার্জ’ দিতে হবে রফতানিকারীকে। হলদিয়ায় এই চার্জ দৈনিক টনপ্রতি ১১০ টাকা। আর কোনও জাহাজ যদি এক দিনের মধ্যে পণ্য খালাস করে, তা হলে জাহাজ সংস্থা উল্টে রফতানিকারীকে টনপ্রতি ৩৭ টাকা হারে ‘ডেসপ্যাচ মানি’ দেবে। এবিজি-র দুই বার্থে জাহাজ এলে রফতানিকারীকে কখনও ‘ডেমারেজ চার্জ’ দিতে হয়নি। বরং তারা ‘ডেসপ্যাচ মানি’ পেত। |
|
জাহাজ সংস্থা:
এবিজি স্বয়ংক্রিয় যন্ত্রের সাহায্যে মাল খালাস করায় জাহাজকে এক দিনের বেশি থাকতে হয় না বন্দরে। তারা মাল খালাস করে ফের মাল ভরে রওনা দিতে পারে। তাই জাহাজ সংস্থাগুলি এবিজি-র বার্থ দু’টিই পছন্দ করত।
|
|
ভাবমূর্তি: বিদেশের অধিকাংশ মালবাহী জাহাজ ডেকে ক্রেন বহন করে না। ফলে জাহাজের ওজন কমে যায়। তারা বেশি মাল বহন করতে পারে। হলদিয়া বন্দরে এবিজি-র দুই বার্থেই এত দিন ওই সব জাহাজ আসত। এবিজি চলে গেলে তারা আর হলদিয়া বন্দরে আসবে না। |
|
|
শিল্পসংস্থা: নেপাল, ভুটান এবং সমগ্র পূর্ব ও
উত্তর-পূর্ব ভারত হলদিয়ার উপরে
নির্ভরশীল। হলদিয়ায় জাহাজ আসা কমলে
এই এলাকার শিল্পসংস্থাগুলিও ক্ষতিগ্রস্ত
হবে। কারণ, তাদের তখন মাল আনতে
হবে ওড়িশার পারাদ্বীপ অথবা
ধামড়া বন্দর থেকে। তাতে পরিবহণ
খরচ অনেকটাই বাড়বে। |
|
(সূত্র: কলকাতা বন্দর) |
|
|
এই ভাবে শিল্প সংস্থাগুলি বাংলা ছেড়ে গেলে বিনিয়োগকারীদের কাছে ভুল বার্তা যাবে। বিষয়টি মীমাংসার প্রয়োজন ছিল।
এন কে পারমার, আইওসি আধিকারিক
|
এ ভাবে বাণিজ্যিক সংস্থা রাজ্য থেকে চলে গেলে বাংলার ক্ষতি হবে। শিল্পের পরিবেশ না থাকলে ক্যাম্পাসিং-এও প্রভাব পড়বে।
স্নেহাশিস নাথ, ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্র
|
এবিজি ফ্যাক্সে চিঠি পাঠিয়েছিল। কিন্তু কখনও কেউ আমার সঙ্গে সাক্ষাতে বা ফোনে কথা বলেননি। এ থেকেই বোঝা যাচ্ছে ওঁদের কাজ করার মানসিকতা ছিল না।
পারভেজ আহমেদ সিদ্দিকি, পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসক
|
এবিজি হলদিয়ায় থাকলে বন্দরের স্বাভাবিক ভাবেই লাভ হত। বন্দরের স্বার্থ সুরক্ষিত থাকলেই শ্রমিকদের স্বার্থ সুরক্ষিত হবে। আমরা সব সময়ই শ্রমিক স্বার্থের পক্ষে।
সুদর্শন মান্না, সিটু নেতা
|
এবিজি কম দরে টেন্ডার নিয়ে লোকসান করেছে। তাই হলদিয়া ছেড়ে চলে গিয়েছে। বন্দরের দু’টি বাদে বাকি সব বার্থে কাজ চলছে। শ্রমিকদের দায়িত্ব আমাদের। বন্দরে স্বর্ণযুগ ফিরে আসবে।
শিবনাথ সরকার, আইএনটিটিইউসি নেতা |
|