ইস্টবেঙ্গল-৩ (লালরিনডিকা, রবিন, কেভিন)
বিএনআর-০ |
আই লিগে প্রথম দলে জায়গা হয় না। কিন্তু কলকাতা লিগে মেওয়ালাল-আপ্পালারাজুদের স্মৃতি জড়ানো বিএনআরের বিরুদ্ধে সুযোগ আসতেই ঝলমলে সৈকত-রাজুরা। যুবভারতীতে নভোনীল বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছেলেদের উড়িয়ে ৩-০-র মসৃণ জয় আনল লাল-হলুদের ভারতীয় ব্রিগেড।
প্রথম দলে না থাকার যন্ত্রণাকে খাঁচায় আটক সিংহের মতো হৃদয়ে লালন-পালন করতে শেখো। সুযোগ পেলে খাঁচা থেকে সেই ক্ষুধার্ত সিংহকে পারফরম্যান্সের জ্যাকেট পরিয়ে মাঠে নামিয়ে দাও বলতেন আটান্নর বিশ্বকাপজয়ী পেলে-গ্যারিঞ্চাদের কোচ ফিওলা। মর্গ্যানের দলের প্রথম দলে ব্রাত্য কেভিন-সুবোধ-ভাসুমরাও কি ফিওলার সেই দর্শন মাথায় নিয়ে বুধবার যুবভারতীতে নেমেছিলেন? |
মাঝমাঠে সুবোধ-ভাসুম-কেভিন-ডিকাদের পাসিং এবং আক্রমণাত্মক ফুটবলের সৌজন্যে গোল পেতে দেরি হয়নি ইস্টবেঙ্গলের। ১১ মিনিটে সুবোধের কর্নার বিএনআর ডিফেন্ডারদের পায়ে লেগে ফেরার সময় আলতো শটে ১-০ করেন বক্সের মাথায় দাঁড়ানো লালরিনডিকা। তবে গোল পাওয়ার পর সে ভাবে প্রথমার্ধে আর দানা বাঁধেনি রবিনদের আক্রমণ। এই সময় অযথা পায়ে বেশি বল রাখছিলেন সুবোধ।
দ্বিতীয়ার্ধে সেই রোগমুক্ত সুবোধ। আর ভাসুমের জায়গায় সঞ্জু এবং বলজিতের জায়গায় লেন নামতেই ফের হাজির হৃদয়ের খাঁচায় পোরা অব্যক্ত যন্ত্রণার সেই সিংহ। ৬১ মিনিটে সৈকতের সেন্টার থেকে রবিনের হেডে দলের দ্বিতীয় গোল তারই ফসল। ৫২ দিন আগে মন্দ আলো এবং আবহাওয়ার কারণে ভেস্তে যাওয়া বিএনআর ম্যাচেই চোট পেয়ে ফেড কাপ থেকে ছিটকে গিয়েছিলেন এই সুদর্শন স্ট্রাইকার। মর্গ্যানের দলের তৃতীয় গোল সঞ্জু-কেভিন যুগলবন্দিতে।
বিদেশিহীন। ভারতীয় ফুটবলার দিয়ে সাজানো দল। তাতেও ৩-০। জয়ের পর তাই চওড়া হাসি মর্গ্যানের মুখে। বললেন, “আমরাই তো গোটা ম্যাচ নিয়ন্ত্রণ করলাম। দ্বিতীয়ার্ধে পরিকল্পনাগুলো ঠিকঠাক কাজ করেছে।” যার সুবাদে গ্রুপে শীর্ষে থাকা প্রয়াগ ইউনাইটেডের চেয়ে দু’ম্যাচ কম খেলেই কলকাতা লিগে চার ম্যাচে ১২ পয়েন্ট মর্গ্যানের দলের।
ইস্টবেঙ্গল: গুরপ্রীত, সৈকত, রাজু, গুরবিন্দর, ভাসুম (সঞ্জু), সুবোধ, কেভিন, লালরিনডিকা (অ্যালভিটো), বলজিৎ (লেন), রবিন। |