ধানের গন্ধে মাঠে হাতি, ছুটেছে ঘুম
হাতিদের দু’টি দলের তাণ্ডবে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন ঝালদা ১ ব্লকের পুস্তি পঞ্চায়েত এলাকার বাসিন্দারা। মহালয়ার কয়েক দিন আগে সুবর্ণরেখা নদী পার হয়ে ঝালদায় ঢুকেছিল ১৮টি হাতির একটি পাল। আর পুজোর দিন তিনেক আগে আরও একটি হাতির পাল হাজারিবাগের দিক থেকে ঢুকে পড়ে ঝালদায়। দুই দলের আক্রমণে আপাতত ঘুম ছুটেছে অযোধ্যা পাহাড়তলির কর্মাডি, নিমডি, হেঁসলা, কনকপুর, ডুঁড়কু, বাঁধডি, রানিডি-সহ আশপাশের গ্রামগুলির বাসিন্দাদের।
নবমীর রাতে কীর্তন সেরে ঘরে ফেরার পথে দাঁতালের সামনে পড়ে প্রাণ খুইয়েছেন স্থানীয় বড়পুরা গ্রামের বাসিন্দা এক কীর্তনীয়া। তাঁর নাম সুশীল গোস্বামী। ষষ্ঠীর দিন ওই এলাকারই কলমা গ্রামের অতুল মাহাতো একটি হাতির আক্রমণে মারাত্মক জখম হন। ঝালদার রেঞ্জ অফিসার মাণিকচন্দ্র রায়ের কথায়, “একটি দলছুট দাঁতালই হামলা চালাচ্ছে। ওই হাতিটিকে ওপারে খেদিয়ে দেওয়ার আগেই জুটে গিয়েছে ১৮টি হাতির আরও একটি দল। এতে বনকর্মীদের মাথা খারাপ অবস্থা।
নষ্ট ধানখেত। ছবি: সুজিত মাহাতো।
স্থানীয় সূত্রের খবর, আগে ঢোকা ১৮টি হাতির দলটি অযোধ্যা পাহাড়ের নীচে ঝালদা-বাঘমুণ্ডির সীমান্তে হেঁসলা পাহাড়ে আশ্রয় নিয়েছে। বাসিন্দাদের কথায়, “রাতে পাহাড় থেকে নেমে হাতির দল জমির ফসল তছনছ করে দিচ্ছে। অথচ এই চাষটুকুই আমাদের সম্বল। ধান নষ্ট হলে খাব কী?” পরে আসা হাতিগুলিও হেঁসলাতে এখন অবস্থান করছে। পুরুলিয়ার ডিএফও অজয়কুমার দাস বলেন, “দু’টো দল কাছাকাছি রয়েছে। আমরা তাদের ফেরত পাঠানোর চেষ্টা করছি।” কর্মাডি গ্রামের বাসিন্দা অনন্ত মাহাতো, তরণী মাহাতো, যোগেশ্বর মাহাতোদের কথায়, “চোখের সামনে ফসল নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। খাব কী?” বন দফতর জানিয়েছে, গ্রামবাসীদের পটকা, জ্বালানি, মশাল দেওয়া হচ্ছে। তাঁরা রাত জেগে পাহারা দিচ্ছেন। ক্ষতিগ্রস্থদের বিধি মোতাবেক ক্ষতিপূরণও দেওয়া হবে।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.