পঞ্চায়েত ভোটের আগে আরামবাগে দলীয় কর্মীদের ‘ঐক্যবদ্ধ’ থাকার নির্দেশ দিলেন তৃণমূল সাংসদ শুভেন্দু অধিকারী।
বুধবার খানাকুলের বলপাই ফুটবল মাঠে দলের এক সভায় হাজির ছিলেন তিনি। বিধানসভা ভোটের পর থেকে আরামবাগ অঞ্চলে বার বারই গোষ্ঠী সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েছে তৃণমূল। মঙ্গলবার শুভেন্দুবাবুর সভার প্রচারে দলের এক গোষ্ঠীর মিছিলে অন্য এক গোষ্ঠীর লোকজন হামলা চালায় বলে অভিযোগ ওঠে। দু’পক্ষের মধ্যে ইট-পাটকেল নিয়ে মারপিট বাধে। জখম হন জনা কুড়ি। শুভেন্দুবাবু এ দিন সভায় জানান, কেন্দ্র সরকার থেকে সমর্থন প্রত্যাহারের পরে সিপিএমের পাশাপাশি কংগ্রেসের বিরুদ্ধেও রাজনৈতিক লড়াই লড়তে হবে তৃণমূলকে। সামনেই পঞ্চায়েত ভোট। এই পরিস্থিতিতে দলের কর্মী-সমর্থকদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। তৃণমূল বিধায়ক পারভেজ রহমান বলেন, ‘‘আমাদের দলের লোকজন নিজেদের মধ্যে সংঘাতে জড়িয়ে পড়ছে। কিন্তু এখন ঐক্যবদ্ধ ভাবে কাজ করতে হবে।” |
১৯৯৮ সালের ৩১ অক্টোবর বলপাই ফুটবল মাঠের পাশেই একটি লাইব্রেরিতে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ৭২ জন তৃণমূল কর্মীর বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের হয়। অভিযোগ মিথ্যা বলে দাবি করেছিল তৃণমূল। ঘটনার প্রতিবাদে এই দিনটি ‘ধিক্কার দিবস’ হিসাবে পালন করে তারা। সেই উপলক্ষেই এ দিন খানাকুলে এসেছিলেন শুভেন্দুবাবু। মঞ্চে তাঁর সঙ্গে হাজির ছিলেন কৃষি বিপণনমন্ত্রী অরূপ রায়, বিধায়ক পারভেজ রহমান, ইকবাল আহমেদ, স্নেহাশিস চক্রবর্তী-সহ দলের বহু নেতা। বাম জমানায় ‘সন্ত্রাসের’ একের পর এক উদারহণ টেনে শুভেন্দুবাবুর দাবি, “এখন রাজ্যে শান্তি ফিরেছে।” এই প্রসঙ্গেই রাজ্যে সাম্প্রতিক সময়ে নানা উন্নয়নেরও ফিরিস্তি দেন তিনি। রাজনৈতিক ঘটনায় নিহত চার তৃণমূল কর্মীর পরিবারকে এ দিন আর্থিক সাহায্য দেওয়া হয়। |