এগারো দিন ধরে বন্ধ বৈদ্যুতিক চুল্লি। নাগরিকদের তা জানানোর ফুসরত মেলেনি। শেষে বুধবার বিকেল থেকে পরিষেবা বন্ধের বিষয়ে এলাকায় মাইকে প্রচার শুরু করল বালি পুরসভা। এ বিষয়ে তাদের যুক্তি, পুরপ্রধান ও সংশ্লিষ্ট ইঞ্জিনিয়ার পুজোর ছুটিতে বাইরে থাকায় প্রচারে দেরি হয়েছে। একই কারণে চুল্লি মেরামতের ব্যবস্থা নিতেও বিলম্ব হয়েছে।
বালি পুরসভা সূত্রে খবর, ২২ অক্টোবর বিকেলে চুল্লিটি চালু অবস্থাতেই সমস্যা দেখা দেয়। তা বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। পুরসভার ইঞ্জিনিয়ার প্রত্যয় বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “চুল্লির বিশেষ ধরনের ইটের কাঠামো ভেঙে গেলে একটি শব অর্ধদগ্ধ অবস্থায় নীচে পড়ে যায়। তার পরেই পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।”
এতদিন পরেও কেন মেরামত করা হল না?
প্রত্যয়বাবু জানান, চালু থাকলে চুল্লির তাপমাত্রা থাকে প্রায় ৯০০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সেটি স্বাভাবিক তাপমাত্রায় (৪০-৫০ ডিগ্রি) আনতে কমপক্ষে পাঁচ দিন লাগে। তার পরেই মেরামতের জন্য কর্মীরা ঢুকতে পারবেন। তিনি আরও বলেন, “ওই কাজ বিশেষজ্ঞ সংস্থাকে দিয়েই করাতে হবে। এ ছাড়া, টেন্ডার ডেকে কাজটা করতে হবে। তাই চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা বলা প্রয়োজন।”
গঙ্গার ধারে বালি পুরসভার পাঠকঘাট শ্মশানে শবদাহের জন্য একটিই বৈদ্যুতিক চুল্লি আছে। বালি, বেলুড়, লিলুয়া, বালির ৪টি পঞ্চায়েত এলাকা-সহ হুগলির ডানকুনি, জনাই, বেগমপুর থেকেও লোকজন আসেন। এই এলাকাগুলির কাছাকাছি এই একটিই বৈদ্যুতিক চুল্লি। হুগলির উত্তরপাড়া কোতরং পুরসভার ভদ্রকালী এলাকায় ও হাওড়া পুরসভার সালকিয়া বাঁধাঘাট এলাকায় বৈদ্যুতিক চুল্লি থাকলেও সেগুলি অনেক দূরে।
তাই আচমকা পরিষেবা বন্ধ হওয়ায় সমস্যায় পড়েছেন শবদাহকারীরা। জানা না থাকায় অনেকেই শ্মশানে এসে চুল্লি বন্ধের কথা জানতে পারছেন। বালির চেয়ারম্যান সিপিএমের অরুণাভ লাহিড়ী বলেন, “ছুটিতে ছিলাম। আজই ফিরেছি। বিষয়টি জানতে পেরে ফোনেই যতটা ব্যবস্থা নেওয়ার নিয়েছি। মানুষের এই সমস্যার জন্য আমরা দুঃখিত। প্রচারও শুরু করেছি।”
কবে মেরামত হবে এই চুল্লি? প্রত্যয়বাবু বলেন, “টেন্ডার ডেকে না কি জরুরি ভিত্তিতে অন্য কোনও পদ্ধতিতে কাজ হবে, তা নিয়ে চেয়ারম্যানের সঙ্গে আলোচনা করা হচ্ছে। তবে এখনও সপ্তাহখানেক সময় লাগবে।” |