নিজস্ব সংবাদদাতা • নলহাটি |
রেশম চাষিদের পশুপালন ঘর তৈরির জন্য বরাদ্দ টাকা অনৈতিক ভাবে বিলি করা হয়েছে। এই অভিযোগের তদন্তের দাবিতে নলহাটি থানায় সম্প্রতি লিখিত আবেদন জানালেন রামেশ্বরপুর গ্রামের রেশম চাষিদের একাংশ। সম্প্রতি তাঁরা জেলা রেশম শিল্প উন্নয়ন আধিকারিক, জেলা সভাধিপতি, জেলাশাসক-সহ সংশ্লিষ্ট ব্লক উন্নয়ন আধিকারিকের কাছে স্মারকলিপিও দিয়েছেন।
চাষি কৃষ্ণদুলাল লেট, ভূপেন লেটদের অভিযোগ, “এলাকার বাসিন্দা তথা পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ আরাধনা হালদার পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির সঙ্গে যোগসাজোস করে ওই ঘর তৈরির টাকা এমন কয়েকজনকে পাইয়ে দিয়েছেন যাঁরা প্রকৃত অর্থে রেশম চাষি নয়। আবার কাউকে দু’বার করে টাকা পাইয়ে দেওয়া হয়েছে। টাকা দেওয়ার ব্যাপারে স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্যদের সঙ্গে কোনওরকম যোগাযোগ না হয়নি।” কয়থা ১ নম্বর পঞ্চায়েতের রামেশ্বরপুর সংসদের সদস্য সিপিএমের যুথিকা দাসের অভিযোগ, “প্রকৃত চাষিদের বঞ্চিত করে পঞ্চায়েত সদস্যকে না জানিয়ে ওই টাকা দেওয়া হয়েছে।” সংশ্লিষ্ট নলহাটি ১ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মাধবেন্দ্র ঘোষাল বলেন, “কারা উপভোক্তা আমরা তা চিহ্নিত করিনি। এ ক্ষেত্রে কী হয়েছে আমার জানা নেই।”
যাঁর বিরুদ্ধে যোগসাজোসের অভিযোগ সেই পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ আরাধনা হালদারের সঙ্গে চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা যায়নি। যদিও নলহাটি ১ ব্লকের রেশম শিল্প সম্প্রসারণ আধিকারিক স্বপন মাইতির দাবি, “যতদূর জানি প্রকৃত উপভোক্তারাই ঘর তৈরির টাকা পেয়েছেন। অভিযোগ যেহেতু উঠেছে তাই বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বিষয়টি তদন্ত করছেন।” |