২৫ বছর পরে ফের গনি পরিবারের একজন সদস্য মন্ত্রী হওয়ায় অকাল হোলিতে মাতল মালদহের কোতোয়ালি। রবিবার দিল্লিতে রাষ্ট্রপতি ভবনে গনি খান চৌধুরীর ভাই আবু হাসেম খান (ডালুবাবু) কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিতেই উচ্ছ্বাসে ভাসলেন গোটা মালদহের কংগ্রেস কর্মীরা। লাড্ডু বিলি করে বাজনা বাজিয়ে আবির খেলাও হল। ঝলঝলিয়া এলাকায় জেলা কংগ্রেস সাধারণ সম্পাদক নরেন্দ্রনাথ তিওয়ারি জায়ান্ট স্ক্রিনে শপথ গ্রহণ দেখানোর ব্যবস্থা করেন। গনি পরিবারের সদস্য তথা কিছুদিন আগে তৃণমূলে যোগ দেওয়া আবু হাসেম খানের ভাগ্নী শাহনওয়াজ কাদরিও মামা শপথ নিতেই উচ্ছ্বসিত হয়ে গাড়ির চালকক দিয়ে আবির ও বাজি আনিয়ে উৎসবে মেতেছেন। তাঁর কথায়, “মামা কেন্দ্রের মন্ত্রী হয়েছেন। আনন্দে আবির খেলছি, বাজি ফাটাচ্ছি। এখানে রাজনীতি টেনে আনা ঠিক হবে নয়।” শপথ নেওয়ার পরে ডালুবাবু দিল্লি থেকে জানান, ১ নভেম্বর মালদহে ফিরে দাদার সমাধিতে ফুল দিয়ে কাজে নামবেন। ১৯৮৬ সালে মন্ত্রিত্ব চলে যাওয়ার পর গনি খান পাঁচবার সাংসদ হলেও মন্ত্রী হতে পারেননি। তা নিয়ে গনি পরিবার ও জেলা কংগ্রেস কর্মী নেতার মধ্যে অসন্তোষ ছিল। রবিবার আবু হাসেম খানকে কেন্দ্রের প্রতিমন্ত্রী করায় সেই অসন্তোষ অনেকটাই যেন কমেছে। তবে ডালুবাবু মন্ত্রী হলেও কতটা কাজ করতে পারবেন তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। দলের জেলা সভানেত্রী তথা নারী ও সমাজ কল্যাণ মন্ত্রী সাবিত্রী মিত্র বলেন, “ডালুবাবু কতটা কী করতে পারবেন তা নিয়ে সংশয় রয়েছে।” |
কংগ্রেস বিধায়ক কৃষ্ণেন্দু চৌধুরী দুদিন আগেই তৃণমূলে যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন। তিনিও সাবিত্রী দেবীর মতোই ডালুবাবু কাজ করতে পারবেন কি না সেই প্রশ্নে সন্দিহান। জেলা কংগ্রেসের সাধারন সম্পাদক নরেন্দ্র নাথ তিওয়ারি অবশ্য আশাবাদী। তিনি মনে করেন, এতে জেলা কংগ্রেস কর্মীরা উজ্জীবিত হবে। জেলা কংগ্রেসর আরেক সম্পাদক অসিত বসু বলেন, “বরকতদার অসমাপ্ত কাজের মধ্যে মেডিক্যাল কলেজ ও ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ চালু হয়ে গিয়েছ। অসমাপ্ত কাজ গঙ্গা ভাঙনের স্থায়ী সমাধান, বিমানবন্দর ও রেলের একটি কারখানা মালদহে গড়ে তুলে জেলার বেকার যুবকদের কর্মসংস্থানের ব্যাপারে ডালুবাবু উদ্যোগী হবেন। এই তিনটি কাজ শেষ করতে পারলেই বরকতদার স্বপ্ন সফল হবে। |