|
|
|
|
মাদক কারবার চলছেই, প্রতিবাদে এলাকাবাসী
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
শহরের বিভিন্ন এলাকায় মাদকের কারবার চলছে। অবাধে বিক্রি হচ্ছে হেরোইন। প্রতিবাদে এ বার সরব হলেন এলাকাবাসীই। রবিবার বিকেলে মেদিনীপুর শহরের পালবাড়ি এলাকায় স্থানীয় বাসিন্দাদের উদ্যোগে এক কনভেনশন হয়েছে। যেখানে ছিলেন মহিলারাও। উপস্থিত সকলেরই বক্তব্য, পুলিশের একাংশের মদতেই শহরে মাদক কারবার চলছে। এর ফলে চুরি-ছিনতাইয়ের ঘটনাও বাড়ছে। পুলিশের অবশ্য বক্তব্য, অবৈধ মাদকদ্রব্য কেনাবেচা বন্ধ করতে বিভিন্ন এলাকায় তল্লাশি চালানো হয়। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপও করা হয়। নজরদারি আরও বাড়ানো হবে।
মেদিনীপুর শহরের বেশ কয়েকটি এলাকায় অবৈধ মাদকদ্রব্য কেনাবেচা চলে। এর মধ্যে পালবাড়ি অন্যতম। শহরের দক্ষিণদিকের এই এলাকায় জনবসতি তুলনায় কম। সেই সুযোগেই এলাকায় মাদকাসক্ত যুবকদের আনাগোনা বাড়ছে বলে অভিযোগ। গত রবিবার এখানে এক যুবককে হাতেনাতে ধরে ফেলেন স্থানীয় মানুষ। ওই যুবক মাদকের কারবার করেন বলে অভিযোগ। সঙ্গে আরও দু’জনকে ধরা হয়। যাঁরা ওই যুবকের কাছ থেকে মাদকদ্রব্য কিনতে এসেছিলেন বলে অভিযোগ। |
|
—নিজস্ব চিত্র। |
পরে তিন জনকেই পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। এলাকার প্রাক্তন কাউন্সিলর সৌমেন খান বলেন, “এলাকার মানুষই তিন জনকে ধরে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছিলেন। পরে থানা থেকে তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়।” তাঁর কথায়, “পুলিশের একাংশের মদতেই শহরে মাদকের কারবার চলছে। এখনই সতর্ক না-হলে পরে পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে।”
পুলিশি নিস্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলেই রবিবার বিকেলে ওই কনভেনশন হয়েছে পালবাড়িতে, স্থানীয় প্রাথমিক স্কুল প্রাঙ্গণে। স্থানীয়দের উদ্যোগে এই কর্মসূচি। কনভেনশনে উপস্থিত সকলে একমত হন, এলাকায় থেকে যে বা যারা মাদকের কারবার করবে, তাদের সঙ্গে কেউ সম্পর্ক রাখবেন না। সহযোগিতা করবেন না। এক বাসিন্দা বলেন, “শুধু মাদক কেনাবেচা নয়, এলাকায় অসামাজিক কাজকর্মও চলছে। কাউন্সিলরের উচিত বিষয়টি নিয়ে পুলিশের সঙ্গে কথা বলা। এ ক্ষেত্রে কাউন্সিলরকেও উদ্যোগী হতে হবে।”
এক সময় খড়্গপুর শহর ও তার আশপাশের এলাকায় প্রায়শই চুরি-ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটত। প্রকাশ্য দিবালোকে দাপিয়ে বেড়াত দুষ্কৃতীরা। এখন অবশ্য সেই পরিস্থিতি নেই। তবে মাঝেমধ্যে চুরির ঘটনা ঘটে মালঞ্চ, খরিদা, রেল এলাকায়। মেদিনীপুর শহরেও ইদানীং বেশ কয়েকটি চুরি-ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। শহরের শরৎপল্লি, বিধাননগর, পালবাড়ি এলাকার বাসিন্দাদের একাংশ উদ্বেগে থাকেন। নেশাগ্রস্ত যুবকদের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ার ফলেই এমন ঘটনা বাড়ছে বলে মনে করেন অনেকে। পরিস্থিতি দেখে দুই শহরে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। বিভিন্ন এলাকায় টহল শুরু হয়েছে। তবে পরিস্থিতির বিশেষ হেরফের হয়নি বলেই অভিযোগ। শহরবাসীর বক্তব্য, প্রয়োজনে পুলিশকে আরও ‘তৎপর’ হতে হবে। অবৈধ মাদক ব্যবসায় জড়িতদের বিরুদ্ধে লাগাতার অভিযান চালাতে হবে। |
|
|
|
|
|