তিব্বতকে চিনের শাসনমুক্ত করার দাবিতে গত এক সপ্তাহের মধ্যে গায়ে আগুন দিয়ে মারা গেলেন পাঁচ তিব্বতি। পশ্চিম চিনের জিয়াহে এলাকার আমুকুহু শহরে শুক্রবার বিকেলে সেওয়াং কেয়াব নামের ২৩ বছরের এক যুবক গায়ে আগুন দেন। পরে তিনি মারা যান। আজ এই তথ্য জানিয়েছে একটি মানবাধিকার গোষ্ঠী।
শুক্রবার সকালে ২৪ বছরের এক তিব্বতি কৃষকও গায়ে আগুন দিয়ে আত্মহত্যা করেন। ওই মানবাধিকার গোষ্ঠী জানিয়েছে, লামো সেটেন নামের ওই কৃষক আমুহুকুর এক সেনা ছাউনির সামনে গায়ে আগুন দেন। চিনের সরকারি সংবাদ মাধ্যমও এই নামের এক ব্যক্তির গায়ে আগুন দিয়ে আত্মহত্যা করার কথা জানিয়েছে। তবে ওই সংবাদ মাধ্যমের দাবি, লামো সেটেন নামের এক গ্রামবাসী হাসপাতালের কাছে আত্মহত্যা করেন। যদিও স্থানীয় জিয়াহে সরকারের পক্ষে এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করা হয়নি।
এই দু’জন ছাড়াও গত এক সপ্তাহের মধ্যে গুনসু প্রদেশের জিয়াহেতে এক পশুপালক, এক কৃষক এবং বছর কুড়ির এক কিশোর গায়ে আগুন লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। এঁরা প্রত্যেকেই স্বাধীন তিব্বতের দাবি জানিয়ে আত্মঘাতী হন। তবে চিনের বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র হং লেই গত এক সপ্তাহের এই পাঁচ জনের আত্মহত্যা প্রসঙ্গে এ দিন বলেছেন, “আমরা যতদূর জানি, এই ধরনের আত্মহত্যার ঘটনার পিছনে দলাই গোষ্ঠীর উস্কানি কাজ করে। নিজেদের রাজনৈতিক উদ্দেশ্য চরিতার্থ করতেই তিব্বতিদের এই ধরনের আচরণে মদত জোগাচ্ছে তারা। তবে এ সব কখনোই সমর্থনযোগ্য নয়।”
তিব্বতে চিনা-শাসনের অবসান চেয়ে আন্দোলন বহু পুরনো। তবে এই দাবিতে গায়ে আগুন দিয়ে আত্মাহুতির ঘটনা প্রথম ঘটে ২০১১ সালের মার্চ মাসে। এঁদের অনেকেরই দাবি ছিল নির্বাসিত ধর্মগুরু দলাই লামাকে দেশে ফিরিয়ে আনতে হবে। বিশেষ করে তিব্বতি-অধ্যুষিত এলাকাগুলিতে এই ধরনের প্রতিবাদের ঘটনা অনেকটাই বেশি। |