টুকরো খবর |
পুজোয় আঁধারে রাজবাড়ি
নিজস্ব সংবাদদাতা • কোচবিহার |
বিকল যন্ত্রাংশ মেরামত না হওয়ায় পুজোর রাতে কোচবিহার রাজবাড়ি অন্ধকারে ডুবে থাকবে। ঠিক কবে নাগাদ ফের রাতের আলো জ্বলবে সেই বিষয়ে স্পষ্ট কিছু জানাতে পারছেন না ভারতীয় পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণের কর্তারা। ওই ঘটনায় স্থানীয় বাসিন্দা ও পর্যটক মহলে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। ভারতীয় পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণের কলকাতার সুপার তপনজ্যোতি বৈদ্য বলেন, “বৃষ্টির জল ঢুকে আলোকসজ্জায় যান্ত্রিক সমস্যা দেখা দিয়েছে। একটি সংস্থাকে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে রিপোর্ট দিতে বলেছি।” কোচবিহারের জেলাশাসক মোহন গাঁধী বলেন, “রাজবাড়ির আলোর সমস্যার কথা কেউ জানায়নি। কেন পুজোর আগে সেটা মেরামত করা হল না খোঁজ নিয়ে দেখব।” রাজবাড়ি সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রায় দু’বছর আগে রাজ্য পর্যটন উন্নয়ন নিগমের আর্থিক সাহায্যে রাজবাড়িতে আলোকসজ্জার ব্যবস্থা করা হয়। প্রতিদিন সন্ধ্যায় এক ঘন্টার জন্য ওই আলোয় ভেসে উঠত গোটা এলাকা। স্থানীয় বাসিন্দা ছাড়াও পর্যটকদের কাছে আলোকসজ্জা আকর্ষণীয় হয়ে ওঠে। কিন্তু যন্ত্রাংশ বিকল হয়ে পড়ায় গত জুলাই মাস থেকে রাতের আলো বন্ধ আছে।
|
চাঁদার জুলুম, অভিযোগ
নিজস্ব সংবাদদাতা • হলদিবাড়ি |
চাঁদা আদায় নিয়ে জুলুম এবং ভাঙচুরের অভিযোগ উঠল এক পুজো কমিটির সদস্যদের বিরুদ্ধে। হলদিবাড়ি শহরে বুধবার। অভিযোগ, ওই পুজো কমিটির সদস্যরা দাবি মতো চাঁদা না পেয়ে একটি বেসরকারি অর্থিক সংস্থার অফিসে ভাঙচুর চালায়। সংস্থার পক্ষ থেকে বুধবার রাতে স্থানীয় পুরসভার এক কাউন্সিলারের ছেলে সমেত ২০ জনের বিরুদ্ধে হলদিবাড়ি থানায় অভিযোগ দায়ের হয়। মাথাভাঙা মহকুমা পুলিশ আধিকারিক সীতারাম সিংহ বলেন, “অভিযুক্তদের খোঁজ চলছে।” অভিযোগ, ঘটনার নেতৃত্বে ছিলেন ১১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সুব্রত বসুর ছেলে সৌমেন। বেসরকারি সংস্থার পক্ষে স্বপন রায় বলেন, “সৌমেনবাবুরা যত টাকা দাবি করেছিলেন সেটা দেওয়া সম্ভব নয় শুনে অফিসে ভাঙচুর চালায়। পুলিশে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।” সৌমেনবাবু অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, “আমি ঘটনাস্থলে ছিলাম না। উদ্দেশ্যমূলক ভাবে আমার নাম জড়ানো হয়েছে।”
|
চাঁদা চেয়ে আটক
নিজস্ব সংবাদদাতা • কোচবিহার |
চাঁদা দিতে রাজি না হওয়ায় প্রায় তিন ঘন্টা শিক্ষকদের স্কুলে আটকে রাখার অভিযোগ উঠেছে একটি পুজো কমিটির সদস্যদের বিরুদ্ধে। শুক্রবার কোচবিহার কোতোয়ালি থানার মোয়ামারি তত্বনাথ হাইস্কুলে ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করেন। পুজো কমিটির সদস্যরা পুলিশ যেতে এলাকা ছেড়ে চলে যান বলে অভিযোগ। জেলা পুলিশ সুপার প্রণব দাস বলেন, “শিক্ষকদের তরফে লিখিত অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” ওই পুজো কমিটির সদস্যরা স্কুলের শিক্ষকদের কাছে ৫ হাজার টাকা দাবি করেছিলেন বলে অভিযোগ। এদিন চাঁদা নিতে গিয়ে ১২টা থেকে স্কুলের গেটে তালা দিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ।
|
অন্ধকার ২ গ্রামে
নিজস্ব সংবাদদাতা • চাঁচল |
গ্রামে বিদ্যুৎ না পৌঁছনোয় এ বারও পুজোয় অন্ধকারে কাটবে মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর-২ ব্লকের উদয়পুর ও সোনাপুর এলাকার বাসিন্দাদের। সার দিয়ে দাঁড়িয়ে খুঁটি। ৯ বছর হয়েছে ওই সব খুঁটিতে তার লাগানো হয়নি। স্থানীয় মশালদহ পঞ্চায়েতের প্রধান খলিল আলি বলেন, “এ বারও আশ্বাস পেয়েছি। কোথায় কী!” মালদহ জেলা পরিষদের বিদ্যুৎ দফতরের কর্মাধ্যক্ষ সৈয়দ মাঞ্জারুল ইসলাম ওই বিষয়ে স্পষ্ট কিছু জানাতে পারেননি। তিনি বলেন, “ওখানে দ্রুত বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা চলছে।”
|
স্কুলের সাহায্যে দান
সংবাদসংস্থা • কোচবিহার |
স্কুলের দুঃস্থ-মেধাবী ছাত্রীদের জন্য ১ লক্ষ টাকা দান করলেন কোচবিহার উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা কল্পনা দে। এই বছরের ফেব্রুয়ারি মাসেই তিনি অবসর নেন।
|
বিডিওকে ‘নিগ্রহ’
নিজস্ব সংবাদদাতা • চোপড়া |
পুজোর আগে বিশেষ ত্রাণের আবেদন খারিজ করে দেওয়ায় বিডিও অতনু মণ্ডলকে নিগ্রহের অভিযোগ উঠেছে বাসিন্দাদের বিরুদ্ধে। শুক্রবার দুপুরে।
|
পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তরফে শারদ শুভেচ্ছা |
|
—নিজস্ব চিত্র। |
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী গৌতম দেবের ছবি দেওয়া হোর্ডিংয়ে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তরফে শারদ শুভেচ্ছা জানানো হয়েছে। অথচ সেই হোর্ডিংয়ে ‘সৌজন্যে সৌমিত্র কুণ্ডু’ লেখা রয়েছে। ঘটনাচক্রে সৌমিত্রবাবু দার্জিলিং জেলা তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক। তিনি সরকারের অনুমতি ছাড়াই ওই কাজ করেছেন বলে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতর সূত্রে জানানো হয়েছে। ঘটনায় বিরক্ত গৌতম দেব। সৌমিত্রবাবুর দাবি, ভুলবশত তাঁর নামের স্টিকার হোর্ডিংয়ে লাগানো হয়েছে।
|
জাল নোট চক্রের দুই চাঁই জালে |
জাল নোট পাচার চক্রের দুই চাঁইকে দক্ষিণ দিনাজপুর থেকে গ্রেফতার করেছে কলকাতা পুলিশের স্পেশ্যাল টাস্ক ফোর্স (এসটিএফ)। যুগ্ম কমিশনার (এসটিএফ) রাজীব মিশ্র জানান, ধৃতদের নাম জিয়াউল হক ওরফে জিয়া এবং জিন্নত শেখ ওরফে তেরু। দু’জনেই মালদহের কালিয়াচকের বাসিন্দা। তারা বাংলাদেশ থেকে জাল ভারতীয় টাকা এনে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে দিত। দক্ষিণ দিনাজপুরের বাগিচাপুরে জইদুর শেখ নামে এক ব্যক্তির বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছিল তারা। সেখান থেকেই বৃহস্পতিবার রাতে ধরা হয় তাদের। |
|