|
|
|
|
১০০ দিনের কাজ |
কটাক্ষ ফিরিয়েও রাজ্যকে টাকা পাঠালেন জয়রাম
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
পুজোর মুখে রাজ্য সরকারের জন্য স্বস্তির খবর! রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি লিখে কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নায়ন মন্ত্রী জয়রাম রমেশ জানিয়ে দিলেন, ১০০ দিনের কাজ প্রকল্পে চতুর্থ কিস্তিতে আরও ৬০১ কোটি ২ লক্ষ টাকা পাঠানো হচ্ছে। তবে অর্থপ্রাপ্তির চিঠির সঙ্গেই এল জয়রামের তরফে মুখ্যমন্ত্রীর জন্য পাল্টা কটাক্ষ!
কিছু দিন আগেই ইউপিএ সরকারকে ‘কোমাচ্ছন্ন’ বলে মন্তব্য করেছিলেন মমতা। মুখ্যমন্ত্রীর সেই মন্তব্যের দিকে ইঙ্গিত করেই জয়রাম শুক্রবার তাঁর চিঠিতে লিখেছেন, ‘কোমাচ্ছন্ন দিল্লি সরকার কতটা সংবেদনশীল, তা বোঝাতে এবং পশ্চিমবঙ্গের মানুষের প্রয়োজনের কথা মনে রেখেই এই টাকা পাঠানো হল’। মমতা-সরকারের প্রতি বৈষম্যমূলক কোনও আচরণ যে কেন্দ্র করতে চায় না, গত সপ্তাহেই লিখিত ভাবে তা বুঝিয়ে দিয়েছিলেন জয়রাম। প্রাপ্ত টাকা রাজ্য খরচ করতে না-পারলে কেন্দ্রীয় বরাদ্দ মিলবে না বলে জানানোর পাশাপাশিই কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী লিখেছিলেন, অনুমোদিত খাতে ১০০ দিনের কাজে টাকার অভাব হবে না। সেই প্রতিশ্রুতিমাফিক কেন্দ্র ৬০০ কোটি টাকা পাঠানোয় খুশি রাজ্য সরকার।
পুজোর আগে শেষ কাজের দিনে টাকা হাতে আসায় স্বভাবতই স্বস্তিতে রাজ্যের পঞ্চায়েতমন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়। ওই প্রকল্পেই ৫৫৮ কোটি টাকা রাজ্য খরচ করতে পারেনি বলে গত সপ্তাহে চিঠি দিয়ে জানিয়েছিলেন জয়রাম। কিন্তু এ দিন টাকার প্রাপ্তি স্বীকার করে সুব্রতবাবু বলেন, “পুজোর মুখে টাকা পাওয়ায় বকেয়া মজুরি দিতে সুবিধা হবে। টাকা পেয়েই বর্ধমান, হুগলি, দক্ষিণ ২৪ পরগনা-সহ বিভিন্ন জেলায় টাকা পাঠিয়ে দিয়েছি। বকেয়া টাকা দ্রুত মিটিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।” পুজোর মুখে এই খাতে টাকা পেয়ে মুখ্যমন্ত্রীও সন্তুষ্ট বলে সরকারি সূত্রের বক্তব্য।
এর আগে এপ্রিল, জুন এবং অগস্টে তিন কিস্তির টাকা পাঠিয়েছিল কেন্দ্র। আগামী সপ্তাহে ফের কেন্দ্রের কাছ থেকে অর্থসাহায্য আসার প্রতিশ্রুতি রয়েছে বলে পঞ্চায়েতমন্ত্রী জানিয়েছেন। সুব্রতবাবুর কথায়, “আরও কিছু বকেয়া রয়েছে। জয়রামের সঙ্গে কথা হয়েছে। আগামী সপ্তাহের মধ্যেই আরও টাকা পাঠাবেন বলে জানিয়েছেন।” |
|
|
|
|
|