|
|
|
|
মণ্ডপের শিল্পও হয়ে উঠুক বাংলার মুখ, উদ্যোগী মুখ্যমন্ত্রী
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
রাজ্যকে দেশ-বিদেশের মানুষের কাছে তুলে ধরতে এ বার পুজোমণ্ডপের শিল্পশৈলীকেও কাজে লাগাতে চায় সরকার। শুক্রবার নিউ আলিপুরের একটি পুজোর উদ্বোধন করতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর এই ইচ্ছের কথা জানান। বিভিন্ন থিমে পুজো করতে গিয়ে তার অঙ্গ হিসেবে পুজো কমিটিগুলি নানা ধরনের শিল্পসামগ্রী তৈরি করে। এ রাজ্যকে তুলে ধরতে সেই শিল্প প্রদর্শনের পাশাপাশি বিক্রির কথাও ভাবছেন মমতা। তিনি বলেন, “সুন্দর সুন্দর থিমের মণ্ডপসজ্জাগুলিকে নিয়ে মেলার আয়োজন করা যায়। শিল্পমেলাতেও এটা হতে পারে। মেলায় ভিন্ রাজ্য থেকে, অন্য দেশ থেকে যাঁরা আসবেন, এই সব শিল্পসৃষ্টি দেখে তাঁরা এখানকার শিল্পীদের কাজের উৎকর্ষ বুঝতে পারবেন।”
গত কয়েক বছর ধরে শহরে থিম-পুজো বেড়েই চলেছে। উঠে আসছে নানা শিল্প। এ বার যেমন উল্টোডাঙার তেলেঙ্গাবাগান অথবা খিদিরপুরের ২৫ পল্লি করেছে লোহার চাদরের শৈল্পিক মণ্ডপ। হাতিবাগান নবীনপল্লিতে চোখের সামনে মসলিন তৈরি দেখতে পাচ্ছেন দর্শনার্থীরা। সুরুচি সঙ্ঘের থিম গোয়া। মণ্ডপসজ্জায় ব্যবহৃত হয়েছে শামুকের খোলস, ঝিনুক প্রভৃতি।
পুজোকর্তারা বলছেন, এত পরিশ্রমে গড়ে তোলা শিল্পগুলি পুজোর পরে হারিয়ে যায়। কালীপুজো বা জগদ্ধাত্রী পুজোর অনেক ক্লাব মণ্ডপগুলি কিনে নিয়ে যায়। বিভিন্ন হোটেলও অন্দরসজ্জার জন্য কিছু কিছু শিল্পকর্ম কিনে নিয়ে যায়। এ থেকে আয় হলেও শিল্পের নিরিখে কিছু লাভ হয় না। তাই মুখ্যমন্ত্রীর এমন ঘোষণায় উল্লসিত পুজোর কর্তা ও শিল্পীরা। এই ভাবনাকে স্বাগত জানিয়ে তাঁরা বলছেন, পুজোর শিল্প এ ভাবে প্রদর্শিত হলে ভবিষ্যতে আরও অনেক ভাল শিল্প ও শিল্পীর দেখা মিলবে। একই সঙ্গে তাঁদের প্রশ্ন, পুজোর পরে এ ধরনের উদ্যোগের আগে পর্যন্ত মণ্ডপগুলিকে কোথায় রাখা হবে?
ক্ষমতায় আসার পরে তৃণমূল সরকার এই শিল্প সংরক্ষণে উদ্যোগী হয়। গত বছর পিতল ও মেহগনি কাঠ দিয়ে প্রতিমা তৈরি করে চমকে দিয়েছিল নাকতলার একটি নামী পুজো কমিটি। বিজয়ার পরে তা বিক্রির জন্য মোটা টাকা দরও উঠেছিল। কিন্তু খোদ মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগে তা ঠাঁই পায় হিডকো-র অফিসে। মমতা মনে করেন, পুজোর শিল্প পুরোটাই এ রাজ্যের শিল্পীদের কীর্তি। তাই দেশ-বিদেশের সামনে এই পুজোর শিল্পকে তুলে ধরা মানে রাজ্যের শিল্পীদেরই তুলে ধরা।
প্রসঙ্গত, এ বার থেকে বিদেশি পর্যটকদের কাছে রাজ্যকে তুলে ধরতে উদ্যোগী হয়েছে সরকার। রাজ্য প্রশাসনের সর্বোচ্চ পদাধিকারী মনে করেন, বিদেশিদের কাছে পুজোর এই ছবি তুলে ধরার পরে তা যদি মেলার আকারে তুলে ধরা না হয়, তা হলে পুরো প্রচেষ্টাটা অসমাপ্ত থেকে যাবে। পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রীর ধারণা, এ মেলা থেকে রাজ্যের ভাঁড়ারেও বেশ কিছু অর্থ ঢোকার সম্ভাবনা রয়েছে।
|
মমতা-সরকারের দেড় বছরে পুস্তিকা |
দেড় বছর পূর্তির মুখে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার নিজেদের গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত এবং সাফল্যের খতিয়ান জানাতে একটি ‘ছোট পুস্তিকা’ প্রকাশ করবে। সেটি বার করার জন্য মুখ্যসচিব সঞ্জয় মিত্র সব বিভাগীয় সচিবকে ২০১১-র মে থেকে ২০১২-র সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তাঁদের দফতরে যে-সব উল্লেখযোগ্য কাজ হয়েছে, তার সারাৎসার পাঠাতে বলেছেন। ৫ নভেম্বরের মধ্যে সেই সব তথ্য মুখ্যমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠাতে হবে। এর আগে মমতা-সরকারের প্রথম ৯০ দিন, ২০০ দিন এবং এক বছরের কাজের খতিয়ান-সহ তিনটি পুস্তিকা বেরিয়েছে।
|
বিচারেও চন্দ্রিমা |
রাজ্যের আইন ও বিচার দফতরের প্রতিমন্ত্রী হলেন চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। শুক্রবার এই সংক্রান্ত ফাইলে সই করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেটি অনুমোদনের জন্য রাজ্যপালের কাছে পাঠানো হয়েছে। চন্দ্রিমাদেবী এখন স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী। তিনি দু’টি দায়িত্বই সামলাবেন বলে সরকারি সূত্রে জানানো হয়েছে। |
|
|
|
|
|