সিনেমার সোনালি দিন দেখাবে আদ্রা |
সপ্তপদীর সেই অমর দৃশ্য মনে আছে? কৃষ্ণেন্দুর পিছনে মোটরবাইকে সওয়ার রিনা ব্রাউন। মন নস্টালজিয়ায় আচ্ছন্ন হলে, দু চোখকে কেন বঞ্চিত করবেন! আদ্রার অগ্রদূত সর্বজনীনের পুজো মণ্ডপে ঢুকলে মনে হবে, যেন কয়েক দশক পিছিয়ে টালিগঞ্জের স্টুডিওপাড়ায় ঢুকে পড়েছেন। চোখের সামনে মোটরবাইকে চড়া উত্তম-সুচিত্রাকে দেখে মনে পড়ে যাবে‘ওই পথ যদি না...।” শেষ নয়, নস্টালজিয়া শুরু এখান থেকেই। খানিক দূরেই রয়েছে নিশিপদ্মের সাবিত্রী, পাশে সন্ন্যাসী রাজার উত্তম, সুপ্রিয়াও। এ সবই যে মাটির মডেলের তা সবাই জানেন। কিন্তু পুরো মণ্ডপটাই যদি আদ্যন্ত শু্যটিংয়ের ফ্লোর হয়ে ওঠে, আর সামনে যদি চিরদিনের স্বপ্নের মানুষগুলো থাকে, যুক্তি যেন সেখানে হার মানে। বাস্তবের মডেল দেখেও মন স্বপ্নপূরণের উচ্ছ্বাসে ভরে ওঠে। পুরুলিয়ার পুজোয় থিমের প্রয়োগে বাস্তবিক ভাবেই অগ্রদূত সার্থক-নামা। প্রতিমা এখানে জঙ্গলমহলের আদিবাসী রমনীর ধাঁচে। আর রঘুনাথপুর শহরের কাছারিপাড়া সর্বজনীনের উদ্যোক্তারা গত বছর থেকেই পরিবেশ রক্ষায় গুরুত্ব দিচ্ছেন। পাটকাঠি, চটের বস্তা ও কাগজের মতো পরিবেশবান্ধব জিনিস দিয়ে শিল্পীর ভাবনায় এখানে দৃষ্টিনন্দনীয় মণ্ডপ তৈরি হয়েছে।
|
বাঘ মেরে মৌজা, পুজো শুরু হরিহরের |
পুজোর হাত ধরে এখানে ইতিহাস ফিরে আসে। এক রাখালের গল্প। জঙ্গল ভরা মাঠঘাটে এক পাল গরু নিয়েই তাঁর দিন কাটত। তবে ডাকাবুকো হিসেবে নামডাক ছিল। বাঘ-ভাল্লুকের হাত থেকে গৃহস্থের গরু-বাছুরগুলোকে রক্ষা করে গোধূলিবেলায় বাড়ি ফেরাতে পারলেই হল। মানবাজারের খাটচিরি গ্রামের হরিহর দিগারের নাম-ডাক পৌঁছে ছিল পাথরমহড়ার রাজা মুকুন্দনারায়ণ দেবের কাছেও। এক রাতে সেই রাজার একটি দুধেল গরু টেনে নিয়ে গিয়েছিল এক বাঘ। রাজার রোষ চাপল সেই বাঘের উপর। তাকে মারতে ডাক পড়ল হরিহরের। কথিত রয়েছে, দেবী দুর্গা সেই বাঘ মেরে হরিহরের সম্মান ফিরিয়ে দেন। মৃত বাঘ দেখে খুশি হয়ে রাজা হরিহরকে একটি নিষ্কর জমির মৌজা দান করেন। গড়গড় করে পরিবারের এই ইতিহাসের কথা শোনাচ্ছিলেন হরিহরের উত্তরসূরী প্রাক্তন শিক্ষক বীরবল মাহাতো। এরপর থেকেই তাঁদের পরিবারে দুর্গাপুজোর শুরু। দুর্গা মন্দিরের দেওয়ালে স্থাপনের উল্লেখ রয়েছে ১০৯৭ বঙ্গাব্দ। এই পুজো অবশ্য এখন সর্বজনীন হয়ে উঠেছে।
|
ছাত্রীকে বিক্রির অভিযোগ ধৃত ৫ |
স্কুলছাত্রীকে গুজরাতে বিক্রি করার অভিযোগে শুক্রবার পুরুলিয়ায় ২ মহিলা-সহ মোট ৫ জনকে ধরল পুলিশ। ১১ সেপ্টেম্বর মানবাজারের কিশোরীটি নিখোঁজ হয়।
|
তালড্যাংরায় বাসে ছিল গরম দুধ ভর্তি কয়েকটি ড্রাম। বাস উল্টে সেই দুধ গায়ে পড়লে জখম হন ১০ যাত্রী। |