|
|
|
|
বিসর্জন পর্ব নির্বিঘ্ন করতে নানা ব্যবস্থা |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
আগামী বুধবার বিজয়া দশমী। শনিবার ঈদ। অধিকাংশ পুজোর বিসর্জনই দশমীতে হয় না। বড় পুজোর উদ্যোক্তারা আরও কটা দিন প্রতিমা রেখে দিতে চান। পুলিশ-প্রশাসনও সেই মতো বিসর্জনের জন্য বাড়তি কটা দিন বরাদ্দ করে। এ বার মাঝে ঈদ থাকায় এই সূচি এই অন্য রকম হয়েছে। পশ্চিম মেদিনীপুরে দুর্গাপ্রতিমা বিসর্জনের জন্য দিন বরাদ্দ হয়েছে বুধ, বৃহস্পতি এবং রবিবার। শুক্র-শনি কোনও বিসর্জন হবে না। জেলার পুলিশ সুপার সুনীল চৌধুরী বলেন, “মাঝে ঈদ থাকায় বিসর্জনের এই দিন ঠিক করা হয়েছে। পুজো কমিটিগুলিকে তা জানিয়েও দেওয়া হয়েছে।”
শারদোৎসবে অনভিপ্রেত ঘটনা এড়াতে জেলা জুড়ে নিরাপত্তা ব্যবস্থাও জোরদার করা হচ্ছে। এ জন্য অতিরিক্ত বাহিনী আনা হচ্ছে জেলায়। যে সব মণ্ডপে বেশি ভিড় হয়, সেখানে পুলিশ মোতায়েন থাকবে। শহরের প্রধান রাস্তা ও মোড়গুলিতেও থাকবে পুলিশ। দর্শনার্থীদের সুবিধার্থে ট্রাফিক সামলাতে বাড়তি বাহিনী নিয়োগ করা হবে। থাকবে মোটর সাইকেল ও গাড়িতে পুলিশের টহলদারি জিপ।
থাকছে শারদ-পুরস্কারের আয়োজনও। মেদিনীপুর পুরসভার পক্ষ থেকে পুজো কমিটিগুলিকে পুরস্কৃত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সেরা পুজোর নির্বাচক মণ্ডলীতে আছেন মহকুমাশাসক অমিতাভ দত্ত । মণ্ডপ, প্রতিমা, পরিবেশ থেকে বিসর্জন সবই খুঁটিয়ে দেখা হবে এ ক্ষেত্রে। বিসর্জন-পর্ব নির্বিঘ্ন করতে তিনটি জায়গায় ক্যাম্প করবে পুরসভা। গোলকুয়াচক, ডিএভি স্কুলের কাছে এবং আমতলা ঘাটে এই ক্যাম্প হবে। যাতে একসঙ্গে একাধিক প্রতিমা বিসর্জন ঘাটে ভিড় না করতে পারে সে জন্যই এই বন্দোবস্ত। একটি প্রতিমার বিসর্জনের পর অন্য প্রতিমার শোভাযাত্রা যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হবে। পুরপ্রধান প্রণব বসু বলেন, “অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে ও সুষ্ঠু ভাবে বিসর্জন পর্ব মেটাতেই ক্যাম্প করা হবে। ক্যাম্প থেকে মাইকে প্রতিটি বিষয় ঘোষণা করা হবে। সেই ঘোষণা মেনেই এগোবে শোভাযাত্রা।” খড়্গপুর পুরসভা অবশ্য এই ধরনের কোনও বন্দোবস্ত করছে না। কেলশহরের পুরবোর্ড নিয়ে এখনও চাপানউতোর চলছে। এর জেরেই বিশেষ কোনও পরিকল্পনা নেওয়া যায়নি বলেই পুরসভা সূত্রের খবর। তবে পুজোর ক’দিন জঞ্জাল সাফাই, বিদ্যুৎ বা পানীয় জলের মতো গুরুত্বপূর্ণ পরিষেবাগুলি যাতে ব্যাহত না হয়, সে দিকে নজর রাখা হবে বলে দায়িত্বপ্রাপ্ত পুরপ্রধান তুষার চৌধুরী জানিয়েছেন। |
|
|
|
|
|