ব্যাট নয়, বলও নয়। হাতে এ বার অন্য গ্লাভস। ক্রিকেটের নয়। বক্সিংয়ের!
৩১ বছরে ক্রিকেটকে গুডবাই জানিয়ে দেওয়া অ্যান্ড্রু ফ্লিনটফ এখন ৩৪। তাতে কী? পেশাদার বক্সিং শুরু করার প্রথাগত বয়সকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে ফ্রেডি ঢুকে পড়ছেন রিংয়ে। সব ঠিকঠাক চললে ৩০ নভেম্বর ম্যাঞ্চেস্টার এরিনায় প্রথম হেভিওয়েট লড়াইয়ে নামতে চলেছেন ইংল্যান্ডের প্রাক্তন অলরাউন্ডার ফ্লিনটফ।
ক্রিকেট ছাড়ার পর থেকেই ফ্লিনটফ অংশ নিয়েছেন নানা রকম অ্যাডভেঞ্চার স্পোর্টসে। কখনও আথেন্স থেকে লন্ডন সাইক্লিং। বেশ কয়েক বার রোয়িং করেছেন ইংলিশ চ্যানেলে। এ সবের মধ্যেই বক্সিংয়ে আসার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন তিনি। ২০০৭-এ ওয়েস্ট ইন্ডিজ বিশ্বকাপের সময় নিউজিল্যান্ডের কাছে হারের পর অতিরিক্ত মদ্যপান করে সহ-অধিনায়কের পদ খুইয়েছিলেন। সেই ফ্রেডি এখন মদ ছুঁয়েও দেখেন না। ৬ ফুট ৩ ইঞ্চির ক্রিকেটার নিজের ওজন ১২ কেজি কমিয়ে এনে ফেলেছেন ১০১ কেজির ঠিক নীচে। যা হেভিওয়েট বক্সিংয়ে নামার পক্ষে আদর্শ। |
তবে এই সব যোগ্যতামানেও খুশি হতে পারেননি ব্রিটিশ বক্সিং বোর্ড অব কন্ট্রোল। মাস খানেক আগেও প্রাক্তন বিশ্ব কমনওয়েলথ চ্যাম্পিয়ন ডেভিড প্রিন্স দাবি করেছিলেন, ফ্লিনটফের বক্সিংয়ে আসাটা স্রেফ চমক। টেস্টে ৩৮৪৫ রান ও ২২৬ উইকেটের মালিক ফ্লিনটফকে এর পর ব্রিটিশ বক্সিং বোর্ডের সামনে এক রকম পরীক্ষা দিতে হয়। নিজের বক্সিংয়ের প্রতি ‘সিরিয়াসনেস’ প্রমাণ করার জন্য। একটা দীর্ঘ ইন্টারভিউ এবং রিংয়ে ফ্রেডির একটি লড়াই দেখার পর আপাতত বোর্ডকর্তারা খুশি। ফ্লিনটফের কথায়, “এটা আমার কাছে একটা সুযোগ। বক্সিং ছোট থেকেই আমার কাছে প্রিয়। দেখতে চাই বক্সিং আমাকে কত দূর নিয়ে যায়।” শুধু কয়েকটা শারীরিক পরীক্ষার অপেক্ষা। তার পরই মিলবে প্রথম লড়াইয়ের ছাড়পত্র। প্রথম পর্যায়ে ফ্লিনটফ পেতে পারেন ১২ মাসের লাইসেন্স। রিংয়ে তাঁর প্রথম প্রতিপক্ষও এখনও ঠিক হয়নি।
ক্রিকেট ছাড়ার দীর্ঘ দিন পর ৪১ বছর বয়সে আর এক ইংলিশ ক্রিকেটার অ্যাডাম হোলিওকে লাইটহেভিওয়েট বিভাগে পেশাদার ভাবে শুরু করেছেন মিক্সড মার্শাল আর্টস। চলতি বছরেই মে মাসে অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ডে ছিল তাঁর প্রথম লড়াই। এ বার ফ্রেডির ঘুঁসি দেখার অপেক্ষা!
|
এক খেলা থেকে অন্য খেলায় তারকা |
ইয়ান বোথাম: আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলার পাশাপাশি ইংল্যান্ডের ফুটবল লিগেও খেলেছেন।
ডেনিস কম্পটন: ইংল্যান্ডের ফুটবল ও ক্রিকেটদুটোরই জাতীয় দলে খেলেছেন। কাউন্টিতে ছিলেন মিডলসেক্সের ক্রিকেটার। ইপিএলে আর্সেনালের ফুটবলার।
অটো হার্সম্যান: অস্ট্রিয়ার হয়ে অলিম্পিকে ফেন্সিং ও সাঁতারে পদক।
বেব জাহারিয়াস: মহিলা গল্ফার, ৪১টি এলপিজিএ ট্যুর ও ১১টি মেজর জয়ীর অ্যাথলেটিক্সে ছিল তিনটি অলিম্পিক পদক।
স্যর জর্জ টমাস: ২১ বারের অল ইংল্যান্ড ব্যাডমিন্টন চ্যাম্পিয়ন। পরে দু’বার দাবায় ব্রিটিশ চ্যাম্পিয়ন।
কার্টিস উডহাউস: বার্মিংহ্যাম সিটি-র হয়ে ইপিএলে খেলার পর এখন বক্সিংয়ে তাঁর জয়-হারের রেকর্ড ১৬-৩।
অ্যালবার্ট অল্ডারম্যান: ক্রিকেটার, যিনি ডার্বি কাউন্টি ও বার্নলির হয়ে ফুটবলও খেলেছেন। |
|