চুনী গোস্বামী বনাম মোহনবাগান কর্তাদের ‘যুদ্ধ’ শুক্রবার তীব্র আকার নিল। যা নিয়ে পুজোর বাজারেও সরগরম ময়দান।
মোহনবাগান সচিব অঞ্জন মিত্রের সঙ্গে মোহনবাগানরত্ন চুনীকে মুখোমুখি বিতর্কে নামার চ্যালেঞ্জ জানালেন কর্তারা। চুনীও পাল্টা বলে দিলেন, “আমি তো এখন রোজ ক্লাবে যাই। কথা বলতে চাইলে বলব। সমস্যা নেই।”
সন্তোষ কাশ্যপ বিদায়ের পর চুনী মন্তব্য করেছিলেন, সুব্রত ভট্টাচার্য বা করিম বেঞ্চারিফাকে কোচ করা হোক। এ দিন সকালে ক্লাব তাঁবুতে সচিবকে পাশে বসিয়ে সাংবাদিক সম্মেলনে অর্থসচিব দেবাশিস দত্ত নাটকীয় ভাবে বলে দিলেন, “সচিবকে ফোন করে চুনীদা বলেছিলেন সুব্রতকে কোচ না করতে। উনি মিডিয়ায় যা বলেন আমাদের কাছে উল্টো কথা বলেন।” যা শুনে আবার চুনী বলে দিচ্ছেন, এ রকম কোনও ফোন তিনি সচিবকে কখনও করেননি। “আমি যদি সুব্রতকে কোচই না চাইব তা হলে কাগজে ওর নাম বলব কেন?”
গত বছর ক্লাবে যখন ডামাডোল তখন কোচকে সাহায্য করতে টেকনিক্যাল কমিটি গড়েছিলেন কর্তারা। চুনী ছিলেন সেই কমিটির চেয়ারম্যান। মোহনবাগান কর্তাদের বক্তব্য, চুনী তাঁর দায়িত্ব পালন করেননি। “কমিটির অন্য দু’জন সদস্য নানা রিপোর্ট দিয়েছেন। কোন ফুটবলারকে দলে নেওয়া উচিত তার তালিকাও দিয়েছেন। চুনী কিছুই করেননি। উল্টে বলেছিলেন সুব্রতর দুর্ব্যবহারের জন্য মাঠে আসতে ভয় পান।”
অর্থসচিব এ কথা বলার কয়েক ঘণ্টা পর মোহনবাগানের ঘরের ছেলে সেই অভিযোগ অস্বীকার করে বলে দেন, “ক্লাবের কেউ আমার কাছে কোনও রিপোর্ট চাননি। ফুটবলার তালিকাও চাননি। আমি কাউকে অপমান করার সুযোগ দিই না। আমি বলেছিলাম সত্যজিৎ-প্রশান্তদের সঙ্গে যেন সুব্রত খারাপ ব্যবহার না করে সেটা দেখতে। আমার সঙ্গে সুব্রত খারাপ ব্যবহার করেছে এ কথা বলিনি।”
প্রয়াগ ম্যাচের পর টোলগের পারফরম্যান্স নিয়ে তীব্র ক্ষোভ জানিয়েছিলেন চুনী। আনন্দবাজারে নিজের কলামে লিখেছিলেন, “টোলগে কোনও স্ট্রাইকারই নয়। এত ঝামেলা করে কাঠখড় পুড়িয়ে এ কোন টোলগেকে পেলাম?” এ দিন চুনীর এই মন্তব্যের কোনও উত্তর দিতে চাননি ক্লাব কর্তারা। পুরো বিষয়টি তাঁরা ছেড়ে দিয়েছেন সদস্য-সমর্থকদের উপর। সহ-সচিব সৃঞ্জয় বসু বলে দিলেন, “টোলগেকে নেওয়া ঠিক হয়েছে কি না বা টোলগে কেমন ফুটবলার সেটা আমরা সদস্য-সমর্থকদের উপর ছেড়ে দিচ্ছি। ওরাই চুনীবাবুর প্রশ্নের জবাব দিয়ে দেবেন।” টোলগেকে নিয়ে তাঁর করা মন্তব্য থেকে অবশ্য চুনী সরতে নারাজ। বলে দিলেন, “টোলগের সে দিনের খেলা দেখে আমি ওই লেখা লিখেছি। ও নিজেকে প্রমাণ করুক।”
করিম বেঞ্চারিফা কোচ হওয়ায় চুনী খুশি হলেও মোহনবাগান আই লিগ চ্যাম্পিয়ন হবে এই আশা করছেন না। বলে দিলেন, “করিম আসায় ভাল হল। মোহনবাগান আই লিগে তিন-চার নম্বরের মধ্যে থাকবে মনে হচ্ছে।” |