|
|
|
|
সরকারি হোম থেকে নিখোঁজ ২ কিশোরী |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
নিরাপত্তার ফাঁক গলে এ বার মেদিনীপুরের বিদ্যাসাগর বালিকা হোম থেকে নিখোঁজ হয়ে গেল দুই কিশোরী। বৃহস্পতিবার রাত থেকে তাদের খোঁজ মিলছে না।
ওই হোম থেকে আগেও বহু আবাসিক পালিয়েছে। এখন সেখানে দু’জন নৈশপ্রহরী আছেন। এলাকায় পুলিশ-ক্যাম্পও আছে। তা সত্ত্বেও কী ভাবে ওই কিশোরীরা পালাল, তা নিয়ে ধন্দ রয়েছে প্রশাসনের একাংশে। তবে ওই হোমের দুই কর্মীকে ‘শো-কজ’ করা হয়েছে।
হুগলির গুড়াপ থেকে পুরুলিয়ার আনন্দমঠ — সাম্প্রতিক কালে একের পরে এক সরকারি হোমে ঢিলেঢালা নিরাপত্তার ছবি প্রকাশ্যে এসেছে। কিন্তু পরিস্থিতি যে বিশেষ বদলায়নি, তা আর এক বার দেখা গেল, বিদ্যাসাগর বালিকা হোমের ঘটনায়। পশ্চিম মেদিনীপুরের অতিরিক্ত জেলাশাসক অরিন্দম দত্ত বলেন, “পুলিশ তদন্ত করছে। বিভাগীয় তদন্তও শুরু হয়েছে। কেউ দোষী প্রমাণিত হলে পদক্ষেপ করা হবে।”
মেদিনীপুরের রাঙামাটির এই হোম থেকে ২০০৯-এর নভেম্বরে দু’দফায় ৯ তরুণী পালায়। ২০১০-এর মার্চে পালায় ১৬ জন। কয়েকজনকে উদ্ধার করা হয়। আদালতের নির্দেশে সেই ঘটনার তদন্ত করছে সিবিআই। তারই মধ্যে ফের দুই কিশোরী নিখোঁজ হওয়ায় অস্বস্তিকর পরিস্থিতিতে পড়েছেন হোম কর্তৃপক্ষ। হোমের সুপার ভারতী ঘোষ অবশ্য এ ব্যাপারে মুখ খুলতে নারাজ।
বৃহস্পতিবার রাত থেকে খোঁজ মিলছে না বছর সতেরোর রুমা ঘোষ ও বছর পনেরোর কল্পনা সিংহের। রুমার বাড়ি নদিয়ার শান্তিপুরে। তাকে খড়্গপুর স্টেশন থেকে উদ্ধার করে রেল পুলিশ। কোর্টের নির্দেশে ২০ মার্চ থেকে এই হোমে ছিল রুমা। কল্পনার বাড়ি খড়্গপুরের জকপুরে। তাকে ঘাটাল হাসপাতালে উদ্দেশ্যহীন ভাবে ঘুরতে দেখে গত ২০ সেপ্টেম্বর হোমে পাঠান ঘাটালের মহকুমাশাসক।
এই হোম থেকে আগে রাতের অন্ধকারে পাঁচিল টপকেই মেয়েরা পালিয়েছিল। কিন্তু ২০১০-এর ঘটনার পরে হোমের সীমানা-প্রাচীর অনেকটাই উঁচু করা হয়েছে। পুলিশ-প্রশাসন সূত্রের খবর, প্রাথমিক তদন্তে পাঁচিল টপকে পালানোর সম্ভাবনাকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে না। ঘটনার তদন্তে শুক্রবার হোমে যান অতিরিক্ত জেলাশাসক অরিন্দম দত্ত, সমাজকল্যাণ দফতরের জেলা আধিকারিক নীহার সামন্ত। বিকেলে জেলাশাসক সুরেন্দ্র গুপ্তের কাছে প্রাথমিক তদন্ত রিপোর্ট জমা পড়েছে। জেলাশাসক সে ব্যাপারে মন্তব্য করতে চাননি। প্রশাসন সূত্রের খবর, বিদ্যাসাগর হোমের মেট্রন শ্যামলী ঘোষ ও সহায়িকা গীতা পাল মাইতিকে ‘শো-কজ’ করা হয়েছে। সদুত্তর না এলে এঁদের সাসপেন্ড করা হতে পারে। চেষ্টা করেও দু’জনের সঙ্গে এ দিন যোগাযোগ করা যায়নি। |
|
|
|
|
|