|
|
|
|
বাঙালিকে চিন্তায় ফেলে কাশ্মীরের হোটেলে হামলা
সংবাদসংস্থা • শ্রীনগর |
পুজোর ছুটি কাটাতে যখন বাঙালির ঢল নেমেছে কাশ্মীরে, ঠিক তখনই সন্ত্রাস ফিরল ভূস্বর্গে।
আজ বিকেলে শ্রীনগরের উপকণ্ঠে একটি হোটেলের সামনে এলোপাথাড়ি গুলি ছোড়ে জঙ্গিরা। গুলিতে নিহত হয়েছেন হোটেলেরই এক কর্মী। আহত আরও দু’জন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, বিকেল ৪টে ২০ নাগাদ পরিমপোরা-পন্থচক বাইপাসের ধারে ওই হোটেলটির সামনে হামলা চালায় চার-পাঁচ জন জঙ্গির একটি দল। পুলিশের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, ওই রাস্তা যাওয়া সেনাবাহিনীর কোনও গাড়ির উপরে হামলা চালানোই ছিল জঙ্গিদের প্রাথমিক লক্ষ্য। কোনও কারণে সেই ছক ভেস্তে গেলে তারা হোটেলটিতে ঢোকার চেষ্টা করে এবং বাধা পায়। তখনই তারা এলোপাথাড়ি গুলি ছুড়তে শুরু করে। হোটেলের মালিকের দাবি, বন্দুকধারীরা হোটেলের চৌহদ্দির মধ্যেও ঢুকে পড়েছিল। তাদের গুলিতে ফারুখ আহমেদ নামে ওই কর্মী নিহত হন। |
|
ঘটনাস্থল ঘিরে ফেলেছে পুলিশ। শুক্রবার শ্রীনগরের শহরতলির এক হোটেলে। ছবি: পিটিআই |
ওই হোটেলটিতেও ভিভিআইপি-দের আনাগোনা লেগে থাকে। সেই কারণেই বেছে বেছে সেটিকে নিশানা করা হল কি না, এমন একটা সন্দেহও গোড়ায় দেখা দিয়েছিল। ছবিটা স্পষ্ট বুঝতে শুরু হয়েছে তদন্ত। চলছে চিরুনি তল্লাশি। এখনও পর্যন্ত কোন জঙ্গি সংগঠন এই আক্রমণের দায় স্বীকার করেনি।
আজকের এই হামলার আগে গত মে মাসে শেষ বার সন্ত্রাসের শিকার হয়েছিল কাশ্মীর। পুরনো শ্রীনগরে আক্রান্ত হয়েছিল সিআরপি। কিন্তু পঞ্চমীর বিকেলে ভূস্বর্গের হোটেলে এই হামলা স্বভাবতই কিছুটা দুশ্চিন্তায় ফেলেছে কাশ্মীরমুখো বাঙালিকে। ২০০৬-এ দেড় মাসের ব্যবধানে পরপর দু’বার খাস শ্রীনগরে বেছে বেছে পর্যটকদের উপর হামলা চালিয়েছিল জঙ্গিরা। প্রাণ গিয়েছিল অন্তত ৭ বাঙালির। কখনও বাসে, কখনও গাড়িতে ছোড়া হয়েছিল গ্রেনেড। কিন্তু গত দু’বছর ধরে আতঙ্কের ছবিটা প্রায় ফিকে হয়ে গিয়েছিল। পর্যটকের ভিড় বাড়ছিল ডাল লেক, পহেলগাঁও, গুলমার্গে। ঠিক এমন সময় খাস শ্রীনগরে না হলেও আজকের এই হামলা। বাঙালি তথা পর্যটকেরা এ বার আতঙ্ককে পাল্টা চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেন কি না, সেটাই দেখার। |
|
|
|
|
|