তেলে ভেজাল ধরায় অফিসারকে পুড়িয়ে মারার চেষ্টা মাফিয়ার
সংবাদসংস্থা • লখনউ |
রেশনের দোকানে ভেজাল মেশানো ডিজেল বিক্রি বন্ধের ‘অপরাধে’ জেলা সরবরাহ আধিকারিককে পুড়িয়ে মারার চেষ্টা করল জনতা। উত্তরপ্রদেশের বদাউনের এই ঘটনায় নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন।
অখিলেশ যাদবের রাজ্যে তেল মাফিয়ার কাজকর্ম নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। কারণ, জেলা সরবরাহ আধিকারিককে আক্রমণ করতে জনতাকে স্থানীয় ব্লক প্রমুখ সুভাষ চন্দ্র গুপ্ত উৎসাহ দেন বলে অভিযোগ। তিনি শাসক সমাজবাদী পার্টির সদস্য।
দেশের বিভিন্ন প্রান্তে সংগঠিত অপরাধচক্রের সরকারি আধিকারিকদের উপরে হামলার ঘটনা নতুন নয়। মহারাষ্ট্র, ছত্তীসগঢ়ে মাফিয়ার হামলায় প্রাণও হারিয়েছেন অফিসাররা। মহারাষ্ট্রের মনমাড়ে তেলে ভেজাল মেশানোর তদন্তে নেমেছিলেন অতিরিক্ত জেলাশাসক যশোবন্ত সোনাওয়ানে। ২০১১ সালে প্রজাতন্ত্র দিবসের আগের দিন মনমাড়ে তাঁকে পুড়িয়ে মারে তেল মাফিয়া। সেই ঘটনার পরেই দেশ জুড়ে তেল মাফিয়ার কাজকর্ম নিয়ে সজাগ হয় কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারগুলি। কিন্তু, তাতে যে পরিস্থিতির বিশেষ পরিবর্তন হয়নি তাই ফের প্রমাণ করে দিয়ে গেল বদাউনের ঘটনা। জেলা সরবরাহ আধিকারিক নীরজ সিংহ জানিয়েছেন, দেহগাভা গ্রামে একটি রেশনের দোকানে ডিজেলে কেরোসিন মিশিয়ে বিক্রি হচ্ছে বলে খবর পান তিনি। |
|
এই গাড়িতেই ভাঙচুর চালায় জনতা। ছবি: পিটিআই |
রেশনের দোকানের মালিক গিরীশ চন্দ্রের বাড়িতে গিয়ে তাঁকে ডিজেলে কেরোসিন মেশাতে দেখেন নীরজ। নীরজ ও তাঁর সহযোগীদের দেখেই পালান গিরীশ। তাঁর দোকানটি বন্ধ করে দেন নীরজ। তার পরেই তাঁর উপরে চড়াও হয় গিরীশের নেতৃত্বাধীন জনতা। হামলাকারীদের মধ্যে মহিলারাও ছিলেন বলে জানিয়েছেন নীরজ। তাঁর অভিযোগ, জনতাকে উৎসাহ দিচ্ছিলেন স্থানীয় সমাজবাদী ব্লক প্রমুখ। নীরজের গায়ে কেরোসিন ছিটিয়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়। তাঁর গাড়িতেও আগুন ধরানোর চেষ্টা করে জনতা। কোনওক্রমে ঘটনাস্থল থেকে পালান নীরজ। পরে গরিব নগর থানায় আশ্রয় নেন নীরজ ও তাঁর সহযোগীরা। উচ্চপদস্থ অফিসারদের ঘটনার কথা জানান তিনি। সুভাষ চন্দ্র ও গিরীশ-সহ ১৫৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। গিরীশ আত্মসমর্পণ করেছেন। টিঙ্কু ও রিঙ্কু নামে আরও দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। |
|