সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অমান্য করার জন্য সহারা গোষ্ঠীর দুই সংস্থার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে বাজার নিয়ন্ত্রক সেবি-কে অনুমতি দিল শীর্ষ আদালত।
গত ৩১ অগস্ট দু’কোটিরও বেশি মানুষের কাছ থেকে তোলা ১৭,৪০০ কোটি টাকা সুদ-সমেত তাঁদের হাতেই ফিরিয়ে দিতে সহারাকে নির্দেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। সে জন্য ১০ দিনের মধ্যে বাজার নিয়ন্ত্রক সেবি-র কাছে লগ্নিকারীদের বিস্তারিত তথ্য ও অ্যাকাউন্টের খুঁটিনাটি জমা দিতেও বলেছিল তাঁরা। সেই সময়সীমা শেষ হয়েছে ১০ সেপ্টেম্বর। এর পর সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অগ্রাহ্য করা হচ্ছে বলে ফের অভিযোগ আনে সেবি। গত ২৮ সেপ্টেম্বর আরও এক বার দ্বারস্থ হয় শীর্ষ আদালতের। সেবি-র সেই আবেদনের ভিত্তিতেই শুক্রবার শেষ পর্যন্ত এই নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট।
যদিও সেপ্টেম্বরে তথ্য দেওয়া হবে বলে আশ্বস্ত করেছিল সহারা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা দেয়নি সংস্থাটি। বরং এ মাসের শুরুতে সুপ্রিম কোর্টের টাকা ফেরতের রায় খতিয়ে দেখার আবেদন জানায় তারা। এ দিনের রায়ে সহারার সমালোচনা করে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, শীর্ষ আদালতের রায় অবশ্যই মেনে চলতে হবে সহারাকে। এমনকী এর পর সংস্থা টাকা ফেরত দিতে না পারলে তাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট বাজেয়াপ্ত করারও অনুমতি দেওয়া হয়েছে সেবি-কে। হাত দিতে পারবে সংস্থার সম্পত্তিতেও।
২০০৮ থেকে ২০১১ সালের মধ্যে ২ কোটি ৩০ লক্ষ মানুষের কাছ থেকে আমানত হিসেবে প্রায় সাড়ে ১৭ হাজার কোটি টাকা সংগ্রহ করে সহারা ইন্ডিয়া রিয়েল এস্টেট কর্পোরেশন ও সহারা হাউসিং ইনভেস্টমেন্ট কর্পোরেশন। তা নিয়ে ২০১১ সালের ৭ জানুয়ারি লগ্নিকারীদের সতর্ক করতে প্রথম বিজ্ঞপ্তি জারি করে সেবি। জানায়, তাদের অনুমোদন ছাড়াই ঋণপত্রের মাধ্যমে ওই টাকা তুলছে সহারার গোষ্ঠীর দুই সংস্থা। সেবি-র এই বিজ্ঞপ্তির যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তোলে সহারা। দুই পক্ষের লড়াই পৌঁছয় শীর্ষ আদালতে। গত দুই বছরের বিবাদের পর শেষ পর্যন্ত অগস্টে সহারাকে লগ্নিকারীদের টাকা ১৫% সুদ-সহ ফেরত দিতে নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট। |