দলের সিদ্ধান্তে তাঁরা ইস্তফা দিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা থেকে। তাঁদের অভিজ্ঞতা যেন রাজ্যের কাজে লাগে, সে কথা মাথায় রেখেই এ বার পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে তাঁদের।
আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে মুকল রায়কে দল সংগঠনের দায়িত্বেই রাখছে। দীনেশ ত্রিবেদী-সহ বাকি ছ’জন প্রাক্তন মন্ত্রীর সম্পর্কে এখনও বিজ্ঞপ্তি জারি না হলেও রাজ্য প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী থাকার সুবাদে সেই সংক্রান্ত একটি কমিটির চেয়ারম্যান হতে চলেছেন শিশির অধিকারী। দীনেশ ত্রিবেদী থাকবেন পর্যটন সংক্রান্ত একটি কমিটিতে। সংখ্যালঘু উন্নয়ন সংক্রান্ত কমিটির চেয়ারম্যান হচ্ছেন সুলতান আহমেদ। সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় ও সৌগত রায় পাচ্ছেন যথাক্রমে নগরোন্নয়ন ও শিল্প সংক্রান্ত কমিটির দায়িত্ব। সুন্দরবন এলাকার সাংসদ চৌধুরীমোহন জাটুয়া। সেই এলাকার উন্নতিতে গড়া কমিটির চেয়ারম্যান করা হচ্ছে তাঁকে।
তৃণমূলের ছয় মন্ত্রী ইস্তফা দেওয়ার পর দিনই মহাকরণে তাঁদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন মমতা বন্দোপাধ্যায়। ছিলেন আর এক প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী দীনেশ ত্রিবেদীও। ঠিক হয়, কোনও লাভজনক পদে না রেখে দীনেশ-সহ ছ’জনের মন্ত্রিত্বের অভিজ্ঞতাকে রাজ্যের উন্নতিতে ব্যবহার করা হবে। কাকে কোন ধাঁচের কমিটি বা সংস্থার শীর্ষ পদের দায়িত্ব দেওয়া যায় তা খোঁজার দায়িত্ব দেওয়া হয় তৎকালীন মুখ্যসচিব সমর ঘোষকে। |