...গন্ধ এসেছে
উপস্থাপনায় নতুনত্বই এ বার তুরুপের তাস
লকাতার পুজো মানে যেন ইডেন গার্ডেন্সের মহারণ। তবে এই মহারণ টি-২০ নয়, পাক্কা পাঁচ দিনের টেস্ট ম্যাচ। এই টেস্ট ম্যাচের ‘টিআরপি’ সব কিছুকেই ছাপিয়ে যায়। ষষ্ঠী থেকে দশমী, পাঁচটা দিন পুজোর উদ্যোক্তারা সেরার লড়াইয়ে একদিনও এক ইঞ্চি জমি ছাড়তে রাজি নন। কেউ চায় ইয়র্কার দিয়ে বিপক্ষকে বোল্ড করতে। কেউ আবার একেবারে স্কোয়ার ড্রাইভ মেরে বল সীমানার বাইরে পাঠিয়ে দেয়।
কার হাতে কী অস্ত্র রয়েছে, তা খুল্লাম খুল্লা স্বভাবতই জানান না সংগঠকেরা। তবে হাতের সব ক’টা তাস না দেখালেও কে এ বার কতটা ঝড় তুলতে চলেছেন, সেই আভাস তাঁরা খানিকটা দিয়ে রাখেন। বিষয়ে অভিনবত্ব না উপস্থাপনায় নতুনত্বের ছোঁয়া? কে কোথায় মাত করতে চলেছে?
যেমন মানিকতলার সিমলা রোডের লালাবাগান নবাঙ্কুর। তাদের মণ্ডপে এ বার উঠে আসবে গোটা একটা শরৎকাল। এমনিতেই শহরে স্বাভাবিক নিয়মে দেখা পাওয়া যায় না বর্ষার। এর পরে হঠাৎ করে হয়তো এসে যাবে শীত। তা হলে কী ঋতু-মানচিত্র থেকে হারিয়ে যেতে বসেছে শরৎকাল? কোথায়ই বা দেখা মিলবে শরতের পেঁজা তুলোর মতো মেঘ বা কাশফুলের? এ সব কিছুই তারিয়ে তারিয়ে উপভোগ করতে গেলে আসতে হবে লালাবাগান নবাঙ্কুরে। পুজোর কর্তারা জানাচ্ছেন, প্যারাসুটের কাপড় দিয়ে বানানো হচ্ছে শরতের মেঘ। মণ্ডপে বিভিন্ন ব্রাশের কারুকাজে ফুটে উঠবে কাশফুল, শিউলিফুল।
এই কলকাতা শহরেই এককালে রাস্তায় দেখা যেত পাল্কি, গরুর গাড়ি। কয়েক বছর আগে পর্যন্তও শহর দাপিয়ে বেড়াত দোতলা বাস। আজকের গতি-সর্বস্ব জীবনে এ সব যানবাহনের দেখাই পাওয়া যায় না। তার বদলে এখন ঝাঁ-চকচকে বিদেশি গাড়ি। ভূগর্ভে মেট্রো। যানবাহনের এই বিবর্তনই এ বার পাথুরিয়াঘাটা পাঁচের পল্লি সর্বজনীনের মূল ভাবনা। এই ভাবনার নাম ‘কালের যাত্রাপথ’। সংগঠকদের দাবি, বাড়ির ফেলে দেওয়া নানা জিনিস যেমন পেন্সিল কাটার কল, পুরনো পেনসিল, কোল্ড ড্রিঙ্কের বোতল দিয়ে সেজে উঠবে যাত্রাপথ। প্রতিমা, আলো, মণ্ডপসজ্জা সব কিছুর মিশেলে ফুটে উঠবে বিবর্তনের মুখ।
দক্ষিণ ভারতের মন্দির তো কলকাতার পুজোমণ্ডপে বহু বারই হয়েছে। কিন্তু জগৎ মুখার্জি পার্ক এক নম্বর ওয়ার্ড সাধারণ দুর্গোৎসব ও প্রদর্শনীর সংগঠকদের দাবি, তাঁদের তৈরি দক্ষিণ ভারতের মন্দির এ বার সব দিক থেকেই ব্যতিক্রমী হয়ে উঠবে। মন্দিরের ৪২টি পিলারে থাকবে দেবদেবীর মূর্তি। মন্দিরের ভিতরের পরিবেশ তৈরি হবে দক্ষিণ ভারতীয় ঘরানায়। আদতে বালির তৈরি মন্দিরটি দেখে মনে হবে যেন পাথর কেটে বানানো।
উত্তর কলকাতার হালসীবাগান দুর্গোৎসব কমিটির পুজোমণ্ডপে গেলে পৌঁছে যাওয়া যাবে কর্নাটকের চান্নাপাটনা গ্রামে। স্থানীয় ভাষায় একে বলা হয় খেলনার গ্রাম।
ভেষজ রং ব্যবহার করে গ্রামে তৈরি হয় কাঠের পুতুল, চিরুনি, রংবেরঙের চুড়ি।
এমন নানা ধরনের খেলনা দিয়ে হবে মণ্ডপসজ্জা। পুরো পুজোয় দেখা যাবে চান্নাপাটনা গ্রামের লোকশিল্প। সাড়ে আটশো বছরেরও বেশি সময় ধরে পিপলির শিল্পীরা বুনে চলেছেন রংবেরঙের অসাধারণ সব অ্যাপ্লিক-এর শিল্পকর্ম। দেশে-বিদেশে সর্বত্রই এই অ্যাপ্লিকের কদর রয়েছে। তবে অনেকেই হয়তো এই অসাধারণ শিল্পকর্মের সঙ্গে পরিচিত নন। হরি ঘোষ স্ট্রিট সর্বজনীন দুর্গোৎসব দর্শনার্থীদের পরিচয় করাবে এই শিল্পকর্মের নানা কোলাজের সঙ্গে। পুজোমণ্ডপ সেজে উঠবে রঙিন অ্যাপ্লিক ও আলোর মায়ায়।

মৃত দুই সেনাকর্মী
স্ট্যান্ডে দাঁড়ানো বাসে মোটরবাইক ধাক্কা মারায় মৃত্যু হল আরোহী দুই সেনাকর্মীর। রবিবার, তারাতলা টাঁকশালের সামনে। মৃতদের নাম বিনোদকুমার উর্গি (২৮) এবং কে আর সিংহ (৩০)।
 
 
 


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.