যত্রতত্র পার্কিং-এ জেরবার মালদহ শহর। এতে প্রতিদিন বাড়ছে যানজট। রথবাড়ি, রাজমহল রোড, কেজি সান্যাল রোড-সহ শহরের প্রধান রাস্তার উপর পার্কিং-এর জেরে অতিষ্ট শহরের মানুষ। অভিযোগ, তার উপর দিনের পর দিন বেড়ে চলেছে বেআইনি স্ট্যান্ডও। সমস্যার কথা স্বীকার করে নিয়েছেন ইংরেজবাজার পুরসভার চেয়ারম্যান কৃষ্ণেন্দু চৌধুরী। তিনি বলেন, “শহরের পার্কিং সমস্যা সমাধান করতে রথবাড়ি কাছে একটি ডোবা ভরাট করে সেখানে পার্কিংজোন গড়ে তোলা হচ্ছে। সেখানে ৪০০ গাড়ি একসঙ্গে দাঁড়াতে পারবে। পুরাতন হাসপাতালের নিচে আন্ডারগ্রাউন্ড পার্কিং জোন করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। ওইখানে পার্কিংজোনের কাজ শেষ হলে রাজমহল রোড, সিমেট্টি রোডের পাকিং সমস্যা মিটে যাবে।” মালদহ শহরের বুক চিড়ে গিয়েছে চারলেনের ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক। অভিযোগ, রথবাড়িতে মালদহ কলেজ অডিটোরিয়াম লাগোয়া জাতীয় সড়কের একটি রাস্তা দখল করে গজিয়ে উঠেছে ম্যাক্সিট্যাক্সি স্ট্যান্ড। উল্টোদিকে রথবাড়ি পুলিশ ফাঁড়ির সামনেও জাতীয় সড়কের একটি লেন আটকে গড়ে উঠেছে অটো স্ট্যান্ড। শুধু তাই নয়, জাতীয় সড়ক থেকে পার্কিংজোন তোলার ব্যাপারে পুরসভা কিংবা জেলা প্রশাসন কেউ কোনও উদ্যোগ নেয়নি বলে অভিযোগ। রথবাড়ির কাছে মালদহ মানিকচক রাজ্যে সড়কের উপর উড়ালপুলের উপর গড়ে উঠেছে ছোটগাড়ির স্ট্যান্ড। এতে উড়ালপুলের উপর প্রতিদিনই যানজটের মুখে পড়তে হচ্ছে শহরবাসীকে। বাসিন্দারা জানান, শহরের ফুটপাতের অধিকাংশ দখল হয়ে গিয়েছে। রাজমহল রোড, ফোয়ারা মোড়-সহ একাধিক রাস্তায় ফুটপাত বেদখল হয়ে গিয়েছে। সিটুর জেলার সহা-সভাপতি ইন্দ্রজিৎ মিত্র বলেন, “মালদহ শহরের যেখানে সেখানে পার্কিংজোন গড়ে তুলে পুরসভা টাকা আদায় করছে। শহরের ট্রাফিক ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। পুরসভার কোনও উদ্যোগ চোখে পড়ছে না।”
|
বধূ নির্যাতনের অভিযোগে এক প্রধান শিক্ষককে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। ধৃতের নাম হরেন্দ্রনাথ পাল। তিনি হরিশ্চন্দ্রপুরের তুলসিহাট্টা হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক। মঙ্গলবার ধৃতকে পুলিশ আদালতে তুললে বিচারক জামিন না মঞ্জুর করে তাঁকে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। ধৃত ওই প্রধান শিক্ষক গত বিধানসভা নিবার্চনে মালতিপুর বিধানসভা কেন্দ্রের বিজেপির প্রার্থী ছিলেন। ধৃত শিক্ষক কালিন্দ্রী হাইস্কুলের সহকারি শিক্ষক থাকাকালীন প্রায় ১০ বছর আগে মালদহ শহরের মালঞ্চপল্লীর রীতা পালকে বিয়ে করেছিলেন। তাঁদের কোনও সন্তান ছিল না।
|
গত ২৪ ঘণ্টায় ৬ সেমি জল বেড়েছে। মঙ্গলবারও মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর ও রতুয়ায় অসংরক্ষিত এলাকায় বিপদসীমার উপর দিয়েই বইছে ফুলহার। জল না কমায় দুটি এলাকার ১০টি গ্রামের জলবন্দি বাসিন্দাদের ভোগান্তি কমেনি। সেচ দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ফুলহারের জলস্তর দাঁড়িয়েছে ২৭.৮০ মিটারে। যা অসংরক্ষিত এলাকায় বিপদসীমা থেকে ও সংরক্ষিত এলাকায় হলুদসীমা থেকে ৪৭ সেন্টিমিটার বেশি। গঙ্গার জলস্তরের উপর আপাতত ফুলহারের জলস্তর নির্ভর করছে বলে সেচ দফতর জানিয়েছে।
|
ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধি, রান্নার গ্যাসে ভর্তুকি ছাঁটাই ও খুচরো ব্যবসায় বিদেশি বিনিয়োগের কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে জেলাজুড়ে আন্দোলনে নেমেছে তৃণমূল কংগ্রেসের শ্রমিক সংগঠন আইএনটিটিইউসি। গত রবিবার থেকে রায়গঞ্জ-সহ জেলার নয়টি ব্লকে সংগঠনের তরফে অনির্দিষ্টকালের জন্য অবস্থান বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। |