প্রলোভন দেখিয়ে ‘পাচার’, জলপাইগুড়িতে ধৃত দুই
লদিবাড়ি লাগোয়া বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী সাতকুঁড়া এলাকা থেকে ৫ জনকে দিল্লিতে নিয়ে গিয়ে প্রায় ২০ হাজার টাকা কমিশন পেয়েছিল সাতকুড়াই বাসিন্দা লিবিন কিসপুট্টা। ভিনরাজ্যে কাজের প্রলোভন দেখিয়ে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগে ধৃত লিবিনকে জেরা করে পুলিশ জানতে পেরেছে, নিজের দুইবোন-সহ এলাকার তিন মধ্যবয়সী যুবককে মাস পাঁচেক আগে দিল্লিতে কাজে নিয়ে গিয়েছিল লিবিন। কিন্তু গত জুলাই মাসে সাতকুড়ার এক নাবালিকা মেয়েকে দিল্লিতে নিয়ে যাওয়ার পরেই বিষয়টি জানাজানি হয়। সেই সূত্রে পুলিশের হাতে ধরা পড়ে লিবিন ও তার এক সঙ্গী।
চলতি বছরের জুলাই মাসের শেষের দিকে সাতকুড়াই বাসিন্দা মালতি মালপাহাড়ি নামে এক নাবালিকাকেও দিল্লি নিয়ে যায় লিবিন। তার পর থেকে সেই মালতির সঙ্গে টেলিফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও যোগাযোগ করতে পারেনি মালতির বাবা গঙ্গা মালপাহাড়ি। লিবিনকে ফোন করলে সে জানায় মালতি প্রতিমাসে প্রতিমাসে কাজের টাকা সাতকুড়ার বাড়িতে পাঠাবে। মালতির বাবা গঙ্গা বাবুর অভিযোগ, টাকা পাঠানো তো দূরের কথা, গত তিন মাসে মেয়ের সঙ্গে টেলিফোনেও একবারও যোগাযোগ করে দেয়নি লিবিন। সে কারণেই মালতিকে দিল্লিতে নিয়ে গিয়ে বিক্রি করে দেওয়া হতে পারে বলে সন্দেহ হয় গঙ্গাবাবুর। পড়শিদের বিষয়টি জানালে তাঁরাও দিল্লিতে লিবিনের সঙ্গে যোগাযোগ করেন।
অভিযোগ, তিন মাসে অন্তত ১০ বার লিবিনের সঙ্গে যোগাযোগ করলে প্রতিবারই সে সাতকুড়ায় ফিরে এসে বিস্তারিত জানাবে বলে পড়শিদের জানায়। লিবিন সম্প্রতি টেলিফোন ধরাও বন্ধ করে দেয় বলে অভিযোগ। এর পরেই সাতকুড়া থেকে আরও কিছু যুবক দিল্লিতে কাজে যাবে বলে লিবিনকে জানিয়ে টোপ ফেলে বাসিন্দারা। সেই মত গত রবিবার লিবিন আরও এক ব্যক্তিকে সঙ্গে নিয়ে সাতকুড়ায় এলে এলাকাবাসী তাদের ধরে পুলিশের হাতে তুলে দেন। ধৃত লিবিন ও তাঁর সঙ্গীকে মঙ্গলবার সিআইডির অফিসারেরাও জেরা করেছেন।
জলপাইগুড়ির সদর ডিএসপি প্রভাত চক্রবর্তী বলেন, “জলপাইগুড়ি কোতোয়ালি থানা থেকে দিল্লিতে একটি পুলিশের দল পাঠানো হচ্ছে। যাদের দিল্লিতে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। লিবিনের মোবাইল ফোনে কল রেকর্ড পরীক্ষা করা হবে। তিনি যে ব্যক্তির হয়ে কাজ করতেন তার ঠিকানা নেওয়া হয়েছে। দিল্লি পুলিশকেও বিস্তারিত জানানো হবে।”
দিল্লির পাঞ্জাবিপাড়া এলাকার রাজীব তাঁতি নামে এক ব্যাক্তির হয়ে কাজ লিবিন কাজ করত বলে পুলিশ জেনেছে। দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে মহিলা ও পুরুষদের নিয়ে এসে রাজীব তাঁতি নামে সেই ব্যাক্তি বিভিন্ন বাড়িতে পরিচারিকার কাজ অথবা দোকান কারখানার কাজ করার জন্য শ্রমিক, কর্মী সরবারহের কাজ করত বলে লিবিন পুলিশকে জানিয়েছে। লিবিনের থেকে ফোন নম্বর নিয়ে পুলিশের তরফে মালতির সঙ্গে বাবা গঙ্গাবাবুর যোগাযোগ করিয়ে দেয়। দিল্লিতে এক চিকিৎসকের বাড়িতে সে পরিচারিকার কাজ করছে বলে মালতি জানিয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানানো হয়েছে, মালতিকে দিল্লি গিয়ে ফিরিয়ে আনা হবে। ভিন রাজ্যে কাজ দেওয়ার নাম করে নিয়ে গিয়ে যুবক-যুবতীদের বিক্রি করে দেওয়ার কোনও চক্রের সঙ্গে লিবিন জড়িত কি না তা দেখতেই দিল্লি যাচ্ছে জেলা পুলিশের দলটি।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.