কোনও নকশা অনুমোদন না-করেই শিলিগুড়ির সুভাষপল্লিতে একটি বাড়ির নির্মাণ কাজের অভিযোগ ওঠায় ৩ দিনের মধ্যে তা ভেঙে দিতে নির্দেশ দিলেন পুর কর্তৃপক্ষ। মঙ্গলবার অভিযোগকারী এবং অভিযুক্ত উভয়পক্ষকেই পুরসভায় ডেকে তাদের বক্তব্য শোনা হয়। সুভাষপল্লির বাসিন্দা মহুয়া চৌধুরীর বাড়ির একাংশে অবৈধ নির্মাণের অভিযোগ ওঠায় এর পরেই তা ৩ দিনের মধ্যে ভেঙে দিতে বলা হয়েছে।
মহুয়াদেবী অবশ্য এ ব্যাপারে এ দিন কিছু বলতে চাননি। বিল্ডিং বিভাগের মেয়র পারিষদ সীমা সাহা বলেন, “কোনও রকম নকশা ছাড়াই নির্মাণ কাজ করা হচ্ছিল। বরো অফিসেও অভিযোগ জানানো হয়েছিল। ৩ দিনের মধ্যে ওই অবৈধ নির্মাণ ভাঙতে বলা হয়েছে। অন্যথায় পুরকর্মীরা গিয়ে তা ভেঙে দেবেন।”
পুরসভা সূত্রেই জানা গিয়েছে, সুভাষপল্লির সুকুমার রায় রোডের বাসিন্দা মহুয়াদেবী কোনও রকম নকশা অনুমোদন ছাড়াই বাড়ির একাংশে নির্মাণ কাজ করছেন বলে অভিযোগ জানান প্রতিবেশী সুবীর পাল, শেখর পালরা। গত ১৭ সেপ্টেম্বর তারা ৩ নম্বর বরো অফিসে অভিযোগ জানান। তার পরেও নির্মাণ কাজবন্ধ করা হয়নি দেখে সম্প্রতি পুরসভার মেয়র, বিল্ডিং বিভাগের মেয়র পারিষদ, এলাকার কাউন্সিলর সকলের কাছেই অভিযোগ জানানো হয়। মহুয়াদেবী দাবি করেছিলেন, অভিযোগ ওঠার পর বরো অফিস থেকে পুরসভার আধিকারিকরা তাঁর বাড়ির নির্মাণ কাজ দেখে গিয়েছিলেন। এর পর বরো অফিস থেকে তাঁকে কংক্রিকেটর কয়েকটি স্তম্ভ সরিয়ে কাজ করার কথা জানানো হয়েছিল। সেই মতো তিনি নির্মাণ কাজ করছিলেন। বরো অফিস থেকে কী করে নকশা ছাড়া এ ভাবে নির্মাণ কাজের অনুমতি দেওয়া হয়েছে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। মহুয়াদেবীর ওই কাজের পিছনে একটি বিশেষ রাজনৈতিক দলের মদতও রয়েছে বলে অভিযোগ। কেন না গত শনিবার পুরসভায় সুবীরবাবুরা অভিযোগ জানান। তা সত্ত্বেও ওই দিন রাতেই নির্মিয়মাণ অংশে ছাদের ঢালাই করা হচ্ছিল বলে অভিযোগ। সুবীরবাবুরা পুলিশে অভিযোগ জানালে পুলিশ গিয়ে নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেয়। ৩ নম্বর বরো কমিটির চেয়ারম্যান নিখিল সাহানি বলেন, “বরোতে অভিযোগ জানানোর পর উভয়পক্ষকে নিয়েই বৈঠক করা হয়েছিল। নকশা ছাড়া নির্মাণ কাজের প্রশ্নই নেই। আমরা কোনও অনুমতি দেইনি। নির্মাণ কাজ করা হবে না বলে উভয়পক্ষকে নিয়ে আলোচনায় ঠিক হয়েছিল। তার পরেও নির্মাণ কাজ করা ঠিক হয়নি।” |