ঘুড়ি উৎসবকে ঘিরে মাততে শুরু করেছে শহর শিলিগুড়ি। মঙ্গলবার শিলিগুড়ি জার্নালিস্ট ক্লাবে সাংবাদিক বৈঠক করেন পর্যটন দফতরের যুগ্ম সচিব সুনীল অগ্রবাল। সেখানে উপস্থিত ছিলেন ইস্টার্ন হিমালয়ান ট্রাভেল অ্যান্ড ট্যুর অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশনের কর্মকতারা। সচিব জানান, দেশের নানা প্রান্ত থেকে ১৯ জন নানা রমকের ঘুড়ি নিয়ে উৎসবে অংশ নেবেন। এদের মধ্যে গুজরাটের ৬ জন, মহারাষ্ট্রের ৬ জন এবং অন্ধ্রপ্রদেশের ২ জন যোগ দেবেন। এ ছাড়া পশ্চিমবঙ্গের ৫ জন উৎসবে যোগ দেবেন। ওই তালিকায় উত্তরবঙ্গের শিলিগুড়ি থেকে রথীন পাল নামে এক শিক্ষকও রয়েছেন।
সুনীলবাবু বলেন, “পর্যটকদের তরাই, ডুয়ার্স ও পাহাড়ের প্রতি আকৃষ্ট করতেই ঘুড়ি উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই তা নিয়ে সাড়া পড়েছে। ইতিমধ্যেই ভিন রাজ্যের ২ জন শিলিগুড়ি পৌঁছেছে।” তিনি জানান, কাল, বৃহস্পতিবার মাটিগাড়ার উত্তরায়ণ সংলগ্ন ক্রিকেট মাঠে ওই উৎসব হবে। উৎসবের উদ্বোধন করবেন পর্যটন মন্ত্রী রচপাল সিংহ। থাকবেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেব, বনমন্ত্রী হিতেন বর্মন।
ওইদিন সকাল থেকে অনুষ্ঠান শুরু হবে। ঘুড়ি ওড়ানোর পাশাপাশি চলতে থাকবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। আদিবাসী নৃত্য রয়েছে। ছোট ছাত্রছাত্রীদের জন্য বসে আঁকো প্রতিযোগিতাও হবে। প্রায় ৬০০ জন ছাত্রছাত্রী বসে আঁকো প্রতিযোগিতায় অংশ নেবেন বলে আশা করছেন আয়োজকরা। সেখান থেকে সিকিমের তিয়ানচেনখান পবর্তশৃঙ্ঘে যাত্রা শুরু করবেন নর্থবেঙ্গল এক্সপ্লোরার্স ক্লাব এবং কলকাতার হিমাপথিক সংস্থার একটি ১২ জনের দল। ওই দলে চন্দনা বিশ্বাস নামে একজন মহিলাও রয়েছেন। সুনীলবাবু বলেন, “প্রথমবার ঘুড়ি উৎসব হচ্ছে। কোনও প্রতিযোগিতা করা হচ্ছে না। অংশগ্রহণকারী সবাইকে সম্মানিত করতে পুরষ্কার তুলে দেওয়া হবে।” অনুষ্ঠান শেষে আতসবাজির প্রদর্শনী করা হবে।
ওই পর্যটন সংস্থার সাধারণ সম্পাদক দীপক গুপ্তা, সদস্য দেবাশিস চক্রবর্তী সাংবাদিক বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। দীপকবাবু বলেন, “ঘুড়ি উৎসব নিয়ে ব্যপক সাড়া পড়েছে। এর মধ্যেই বহু জায়গা থেকে ফোন পাচ্ছি। বহু জায়গায় আলোচনায় শুনছি। ওই উৎসব উত্তরবঙ্গে পর্যটনের ক্ষেত্রে অনেক সহায়ক হবে।” |