হুডখোলা জিপসি না ছোটগাড়ি পর্যটকেরা কোন গাড়িতে চড়ে গরুমারায় জঙ্গল সাফারিতে যাবেন তা নিয়ে গাড়ির মালিকদের মতবিরোধে সাফারি চালু রাখা নিয়েই প্রশ্নচিহ্ন দেখা দিয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে লাটাগুড়ি রেঞ্জ অফিস থেকে প্রথমে ২০টি জিপসিকে সাফারির অনুমতি দেওয়ার পর বাকি পর্যটকদের ছোট গাড়িতে করে জঙ্গলে যেতে বলা হয়। একাংশ পর্যটক জিপসি ছাড়া যাবেন না বলে জানান। বনকর্মীরা ছোট গাড়ির কথা বলায় জিপসি’র মালিক চালকেরা রেঞ্জ অফিসে বিক্ষোভ দেখান। পরিস্থিতি সামাল দিতে পরে আরও ৬টি জিপসিকে অনুমতি দিয়ে সমস্ত পর্যটককেই হুডখোলা জিপসিতে জঙ্গল সাফারিতে পাঠায় বন দফতর।জলপাইগুড়ি বনবিভাগের ডিএফও বিদ্যুৎ সরকার বলেন, “দুই সংগঠনের সঙ্গে আলোচনা করেই ২০টি জিপসি গাড়ি ও ১৫ টি পেট্রোলচালিত ছোট গাড়ির কথা বলা হয়েছিল। আজ, বুধবার আলোচনা করে জট কাটানোর চেষ্টা করা হবে।”
বন দফতর সূত্রের খবর, জলপাইগুড়ি বনবিভাগ পরিচালিত ওই সাফারিতে একবারে ৩৫টি গাড়ি জঙ্গলে ঢুকতে পারে। প্রতিটি গাড়িতে পর্যটকের সংখ্যাও ৬ জন ঠিক করে দেওয়া হয়েছে। গরুমারা জাতীয় উদ্যানের ভিতরে হুডখোলা জিপসি গাড়ি ছাড়া অন্য সমস্ত গাড়িতে পর্যটকদের ঢোকা নিষিদ্ধ হলেও জলপাইগুড়ি বনবিভাগের এলাকায় জঙ্গল সাফারিতে কড়াকড়ি নেই। পেট্রোল চালিত যে কোনও ভাড়ার গাড়িকেই সেখানে ঢুকতে দেওয়া হয়। সম্প্রতি একটি বৈঠকে ঠিক হয় ৩৫টির গাড়ির ভিতরে ২০টি জিপসি ও ১৫টি ছোট গাড়িকে জঙ্গল সাফারিতে ঢোকার অনুমতি দেওয়া হবে। জিপসি মালিক সংগঠনের সভাপতি বাপি চন্দ বলেন, “চুক্তির বাইরে পর্যটকদের পছন্দই শেষ কথা। পর্যটকেরা ছোট গাড়িতে যেতে চাইলে আপত্তি করতাম না। কিন্তু পর্যটকেরা জিপসি গাড়ির দাবি জানানোর পর কেন তাঁদের ছোট গাড়িতে যেতে বলা হচ্ছে বোঝা যাচ্ছে না।” ছোট গাড়ির সংগঠনের কোষাধ্যক্ষ রতন অধিকারি বলেন, “জিপসিগুলির অধিকাংশই ২০ বছরের পুরানো। তাছাড়া জঙ্গল সাফারির জন্যে ছোটগাড়ির ব্যাপারে জিপসি মালিকরা রাজিও হয়েছিলেন। আজ তারা কেন বিক্ষোভ করলেন বোঝা যাচ্ছে না।” |
