কোচবিহারের ১১২টি ‘পকেট রুটে’ ছোট গাড়ি চালুর বন্দোবস্ত করতে উদ্যোগী হয়েছে জেলা প্রশাসন। জেলার ১২টি ব্লকের বিডিওদের পাশাপাশি সমস্ত বিধায়কদের থেকে পরামর্শ নিয়ে নতুন ওই সব পকেট রুটের তালিকা চূড়ান্ত করা হয়েছে। ইতিমধ্যে বিজ্ঞপ্তি জারি করে পারমিটের জন্য আগ্রহীদের আবেদনপত্র জমা নেওয়ার কাজও চলছে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে চলতি বছরেই শতাধিক নতুন রুটে ছোট গাড়িতে যাতায়াতের সুবিধে পাবেন ওই সব প্রত্যন্ত এলাকার বাসিন্দা ও নিত্যযাত্রীরা। কোচবিহারের জেলাশাসক মোহন গাঁধী বলেন, “বাসিন্দাদের চাহিদা, বেকারদের কর্মসংস্থান ও জেলার প্রত্যন্ত সমস্ত এলাকায় যোগাযোগ চাঙা করার কথা মাথায় রেখেই ওই পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। শতাধিক নতুন রুট চিহ্নিত করে চালক সহ ৮ আসনের ছোট গাড়ি চলাচলের জন্য রুট পারমিট দেওয়ার ব্যাপারে প্রক্রিয়াও অনেকটা এগিয়েছে।” প্রশাসন সূত্রেই জানা গিয়েছে, চিহ্নিত রুটগুলির মধ্যে কোচবিহার-১ ব্লকের বিভিন্ন এলাকার ২০টি রুট রয়েছে। এরমধ্যে বাবুরহাট, নিউকোচবিহার স্টেশন, পসারীহাট থেকে দেওয়ানহাট হয়ে হাড়িভাঙা, পিলখানা রোড, লঙ্কাবড়, কদমতলা, তল্লিগুড়ি, ফলিমারীর মত রুট রয়েছে। কোচবিহার-২ ব্লকে ৮ টি রুটের মধ্যে রয়েছে রাজারহাট, পুন্ডিবাড়ি, বাণেশ্বর, ঘোসকাডাঙা, খোলটা মত রুট। দিনহাটা-১ ও ২ ব্লকের ৬ টি রুটের নাম ওই তালিকায় রয়েছে। সিতাইয়ে সাগরদিঘি, সাগরদিঘি ঘাট, হরিবোলাঘাটের মত ৫টি রুট রয়েছে। তুফানগঞ্জ-১ ব্লকে ১৫ টি ও তুফানগঞ্জ-২ ব্লকে ৭ টি রুট রয়েছে। এ ছাড়া মাথাভাঙা-১,২ ও শীতলখুচি ব্লকের ২২ টি রুট রয়েছে। ২৯ টি রুট রয়েছে মেখলিগঞ্জ ও হলদিবাড়ি ব্লক এলাকার। প্রশাসন সূত্রেই জানা গিয়েছে, মূলতঃ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, স্বাস্থ্যকেন্দ্র ও প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনায় চালু হওয়া রাস্তাগুলিকে ওই যোগাযোগ ব্যবস্থায় গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। পুজোর আগেই রুটের আবেদন খতিয়ে দেখে তাঁদের মধ্যে প্রতিরুটে একজন আবেদনকারীকে অফার লেটার দেওয়া হবে বলে ঠিক হয়েছে। জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিক জানান, প্রশাসনের তরফে অফার লেটার পাওয়ার তিন মাসের মধ্যে সংশ্লিষ্ট আবেদনকারীকে গাড়ি কিনে রাস্তায় নামাতে হবে। তারপরেই চূড়ান্ত রুট পারমিট দেওয়া হবে। কোচবিহারের আঞ্চলিক পরিবহণ আধিকারিক আফতাব আহমেদ বলেন, “১১২টি রুটের পারমিটের জন্য ৫৮২টি আবেদন পত্র জমা পড়েছে। নিয়মমেনেই দ্রুত ওই সব রুটে ছোট যান চলাচল শুরুর চেষ্টা হচ্ছে।” |