নিজস্ব সংবাদদাতা • বালুরঘাট |
দক্ষিণ দিনাজপুরের বংশীহারীর অতিকায় তরুণী সিদ্দিকা পারভিনের পাশে দাঁড়াল কংগ্রেস। দিল্লির এইম্স হাসপাতালে ভর্তি করে সিদ্দিকার চিকিৎসার পাশাপাশি তাঁর জন্য প্রতি মাসে পরিবারের হাতে জেলা কংগ্রেস থেকে ১০ হাজার টাকা তুলে দেওয়া হবে বলে দলের তরফে ঘোষণা করা হয়েছে। মঙ্গলবার বিকালে প্রদেশ কংগ্রেস সাধারণ সম্পাদক ওমপ্রকাশ মিশ্র এবং জেলা কংগ্রেস সভাপতি নীলাঞ্জন রায়ের নেতৃত্বে কংগ্রেসের একটি দল সিদ্দিকার বাড়িতে গিয়ে উন্নত চিকিৎসা এবং ভরণপোষণের দায়িত্ব গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছে। এতে মেয়েকে নিয়ে নতুন করে আশার আলো দেখতে শুরু করেছেন তাঁর পরিবারের লোকজন। পিটুইটারি গ্রন্থিতে টিউমারের আক্রান্ত হতদরিদ্র পরিবারের তরুণী সিদ্দিকার শরীর ক্রমশ বেড়ে যাওয়ায় বর্তমানে তিনি সোজা হয়ে দাঁড়াতে পারেন না। সারাদিন শুয়েবসে তাঁর দিন কাটছে। বর্তমানে তার দৈর্ঘ্য ৮ ফুট ছাড়িয়েছে। অসুস্থ সিদ্দিকার চিকিৎসার সমস্ত ভার রাজ্য সরকার নেবে বলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেন। বালুরঘাট হাসপাতাল থেকে তৃণমূলের বিধায়ক তথা কারামন্ত্রী শঙ্কর চক্রবর্তীর উদ্যোগে সিদ্দিকাকে কলকাতার এসএসকেএম হাসাপাতালে নিয়ে ভর্তি করানো হয়। খাট, খাবার ও চিকিৎসার সমস্যার কথা বলে তাঁকে বাড়ি ফিরিয়ে আনেন পরিবারের লোকজন। এদিন বিকাল ৪টা নাগাদ ওমপ্রকাশবাবুরা বংশীহারীর শ্রীরামপুর গ্রামে সিদ্দিকাদের বাড়িতে যান। সেখান থেকেই মালদহের দুই সাংসদের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলে দিল্লিতে সিদ্দিকার ভর্তির ব্যবস্থা করেন ওমপ্রকাশবাবু। জেলা কংগ্রেস সভাপতি নীলাঞ্জনবাবু বলেন, “সিদ্দিকার নামে ওয়েবসাইট খোলা হচ্ছে। তাতে ওঁর অসুখ ও পারিবারিক অবস্থা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য দিয়ে আর্থিক সহায়তার আবেদন জানানো হবে। পাশাপাশি আমরাও প্রতিমাসে সাহায্য করব।” সিদ্দিকার পরিবারের লোকজনের বক্তব্য, চোখের সামনে মেয়েটা মরতে বসেছিল। এদিনের পর নতুন আশার আলো দেখা গেল। কংগ্রেসের এই উদ্যোগের পর রাজ্যের কারামন্ত্রী শঙ্করবাবু বলেন, “কলকাতার এসএসকেএমে গুরুত্ব দিয়েই সিদ্দিকার চিকিৎসা হচ্ছিল। অপারেশনের দিনও ঠিক হয়েছিল। কিন্তু ওঁরা কিছুতেই অপারেশনে রাজি ছিল না। তাই ফিরিয়ে আনে। আমাদের কিছু করার ছিল না।” |