নিজস্ব সংবাদদাতা • আরামবাগ |
মহকুমা হাসপাতালের ঘরে বসে সঙ্গীসাথীদের নিয়ে মদ্যপানের আসর বসানোর অভিযোগ উঠল এক তৃণমূল কর্মীর বিরুদ্ধে। হাসপাতালের কর্মীরাই এই দৃশ্য দেখতে পান। মঙ্গলবার এই ঘটনায় আরামবাগ মহকুমা হাসপাতালে মোতায়েন পুলিশকর্মী বা হাসপাতালের সুপার এসে পৌঁছনোর আগেই অবশ্য বোতল নিয়ে আসর গুটিয়ে এলাকা ছেড়েছেন অভিযুক্ত তৃণমূল কর্মী সুজিত বন্দ্যোপাধ্যায় ওরফে বাপন। পড়ে ছিল কয়েকটি খালি গেলাস। বাপনের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন সুপার নির্মাল্য রায়। ঘটনার ‘নিন্দা’ করে স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক কৃষ্ণচন্দ্র সাঁতরা বলেন, “এই সব অসামাজিক ছেলেরা দলের কেউ নয়। পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করুক। হাসপাতালে অবাঞ্ছিত কেউ যাতে ঢুকতে না পারে, সে ব্যাপারে সুপারকে কঠোর হতে বলা হবে।” তদন্ত হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
ঘটনার সময়ে নির্মাল্যবাবু ছিলেন জরুরি বিভাগে। হাত দশেক দূরেই ‘মাইনর ওটি’-র ঘর। সেখানেই মদ্যপানের আসর বসেছিল বলে অভিযোগ। গোটা ঘটনায় ‘স্তম্ভিত’ সুপার। তিনি বলেন, “রোগীদের ভিড়ের মধ্যে মিশে কখন ওরা ঢুকে পড়েছে বোঝাই যায়নি। কর্মীদের কাছ থেকে যখন খবর পেলাম, তত ক্ষণে পালিয়েছে।”
বাপনের অবশ্য দাবি, “আমি ওই ঘরে মদ খাইনি। কয়েক জনের সঙ্গে গল্প করছিলাম। রোগীদের সাহায্য করার জন্য দলই আমাকে হাসপাতালের দায়িত্ব দিয়েছে। সেই দায়িত্ব আমি সৎ ভাবে পালন করছি। আমার বিরুদ্ধে চক্রান্ত করে মিথ্যা অভিযোগ আনা হয়েছে।
হাসপাতালে বাপনের ‘অবাধ গতিবিধি’ নিয়ে আগেও অভিযোগ উঠেছে। মাস কয়েক আগে রোগীদের জন্য রান্না করা খাবার জোর করে খাওয়ার ঘটনায় তাঁর নাম জড়ায়। প্রতিবাদ করায় রান্না ও পরিবেশনের কাজে যুক্ত কয়েক জনকে মারধর করা হয় বলেও অভিযোগ। সে বার অবশ্য ঘটনাটি থানা-পুলিশ পর্যন্ত গড়ায়নি। |