নিজস্ব সংবাদদাতা • আলিপুরদুয়ার |
সরকারি যোগান না থাকায় বাইরে থেকে স্যালাইন কিনতে হচ্ছে মহকুমা হাসপাতালের রোগীর আত্মীয়দের। হাসপাতাল সূত্রের খবর, শিশু ও জননী সুরক্ষা প্রকল্পের আওতায় স্থানীয় দোকান থেকে স্যালাইন কিনে শিশু ও প্রসুতি বিভাগে দিলেও পুরুষ ও মহিলা বিভাগে স্যালাইনের যোগান দিতে পারছেন না কর্তৃপক্ষ। স্বাস্থ্য দফতরের কর্তাদের সঙ্গে কথা বলে দ্রুত পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার জন্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন মহকুমা শাসক তথা রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান অমলকান্তি রায়। হাসপাতালে স্যালাইন বিনামূল্যে দেওয়া হলেও বর্তমান পরিস্থিতিতে রোগীর আত্মীয়দের বাজার থেকে ৫০-৬০ টাকা করে স্যালাইনের বোতল কিনতে হচ্ছে। জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক স্বপন সরকার বলেন, “কয়েকটি হাসপাতালে স্যালাইনের স্টক মাস খানেক আগে শেষ হয়েছে। মূলত স্যালাইনের যোগান না থাকাটাই সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। যে সংস্থা স্যালাইন সরবরাহ করেন, তাঁরা কলকাতায় সরবরাহ করলেও এখানে তা করছেন না। বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।” স্বপনবাবু জানান, ২০১২ এপ্রিল থেকে ২০১৩ মার্চ পর্যন্ত সরবরাহকারী সংস্থার হাসপাতালে স্যালাইন জোগান দেওয়ার কথা। তাঁরা কেন তা পাঠাচ্ছেন না তা বোঝা যাচ্ছে না। পরিস্থিতি সামাল দিতে স্থানীয় স্তরে দরপত্র ডেকে কিছু স্যালাইন কিনব। হাসপাতালের সুপার সুজয় বিষ্ণু জানান, মাস খানেক ধরে এই অবস্থা চলছে। কিছুদিন আগে কামাখ্যাগুড়ি প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র থেকে কিছু স্যালাইন আনা হয়েছিল। শিশু ও জননী সুরক্ষা প্রকল্পের আওতায় দোকানন থেকে স্যালাইন কিনে শিশু ও প্রসুতি বিভাগে দেওয়া হচ্ছে। মূল সমস্যা হচ্ছে পুরুষ মেডিক্যাল, পুরুষ শল্য ও মহিলা মেডিকেল বিভাগে। সেখানে রোগীদের আত্মীয়দের স্যালাইন কিনতে হচ্ছে। ১২ হাজার স্যালাইনের বোতলের বরাতও দেওয়া হয়েছে। কিছু ওষুধের ঘাটতিও রয়েছে। স্বাস্থ্য দফতরে জানানো হয়েছে। হাসপাতালে যে সংস্থ্যা স্যালাইন সরবরাহ করে, সে সংস্থার প্রতিনিধি শিলাদিত্য মজুমদার জানান, ইনদওর থেকে এক গাড়ির কম স্যালাইন সরবরাহ করা সম্ভব নয়। এক গাড়িতে কম করে ২৫ হাজার বোতল স্যালাইন থাকে। আলিপুরদুয়ার মহকুমা হাসপাতাল কেবলমাত্র ১২ হাজার বোতল চেয়েছে। যা দেওয়া সম্ভব নয়। তবে জলপাইগুড়ি থেকে আমারা ১ লক্ষ বোতলের বরাত পেয়েছি। দ্রুত কিছুটা আলিপুরদুয়ারে দেওয়া হবে। গোটা বিষয়টিই স্বাস্থ্য কর্তারা জানেন। |