তৃণমূল ইউপিএ ছাড়লেও পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গে বঞ্চনা করা হবে না, গত কালই এই আশ্বাস দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। আজ রাজ্য কংগ্রেস নেতৃত্বকে একই আশ্বাস দিলেন মনমোহন সিংহের মন্ত্রিসভার অন্য সতীর্থরাও। রাজ্যের উন্নয়নের প্রশ্নে এক দিকে যেমন কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী জয়রাম রমেশ আগামী ১৬ অক্টোবর লালগড়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, তেমনই রেলমন্ত্রী সি পি জোশী জানিয়েছেন, বাংলার রেল প্রকল্পগুলি বন্ধ হওয়ার প্রশ্ন নেই। সেগুলি যেমন এগোচ্ছে সে ভাবেই চলবে।
সামনেই রাজ্যের পঞ্চায়েত নির্বাচন। সেই নির্বাচনে বামেদের ধাঁচেই কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগ তুলে সরব হওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে তৃণমূল নেতৃত্বের। পাল্টা রণকৌশল ঠিক করতে আজ দিল্লিতে একাধিক কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে বসেন রাজ্যের সদ্য-প্রাক্তন মন্ত্রী মানস ভুঁইয়া ও অন্যান্য কংগ্রেস নেতা। ঠিক হয়, রাজ্যের উন্নয়নে কেন্দ্র এ যাবৎ কী ভাবে এগিয়ে এসেছে, সেই খতিয়ান সামনে রেখেই জনগণের কাছে ভোট চাইবে দল।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দেড় বছরের শাসনে অন্যতম সাফল্য জঙ্গলমহলে শান্তি ফিরিয়ে আনা। কিন্তু সে কৃতিত্ব যে একা তৃণমূলের নয়, তা-ও কংগ্রেস এখন প্রচারে আনতে চলেছে। দলীয় নেতৃত্ব জানিয়েছে, মাওবাদী উপদ্রুত এলাকায় শান্তি ফিরিয়ে আনতে কেন্দ্রও যে সদর্থক ভূমিকা নিয়েছে, তা স্থানীয় মানুষের কাছে তুলে ধরতেই অক্টোবরে লালগড় যাবেন জয়রাম রমেশ। মানসবাবু বলেন,“ওই এলাকার উন্নয়নে প্রচুর কেন্দ্রীয় প্রকল্পে ইউপিএ সরকার অর্থ বরাদ্দ করে এসেছে। রাজ্য সরকার শুধু সেগুলি রূপায়ণ করেছে। কেন্দ্রের এই ইতিবাচক ভূমিকার কথা এখন রাজ্যের মানুষের সামনে তুলে ধরাই লক্ষ্য হবে রাজ্য কংগ্রেসের।”
জয়রামের পাশাপাশি এ দিন রেল মন্ত্রকের অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী সি পি জোশীকেও কলকাতা ও খড়্গপুরে আসার আমন্ত্রণ জানান প্রদেশ কংগ্রেসের নেতারা। রাজ্যের রেল প্রকল্পগুলির ভবিষ্যৎ নিয়ে জোশীর কাছে দরবার করা হয়। বৈঠকের শেষে জোশী বলেন, “বাজেটে পাশ হওয়া কোনও প্রকল্প বন্ধ হওয়ার প্রশ্ন নেই। ইউপিএ সরকার বাংলার স্বার্থে ওই প্রকল্প রূপায়ণের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। মেট্রো নির্মাণের ক্ষেত্রেও গাফিলতি হবে না।” |