|
|
|
|
তৃণমূলের উদ্যোগে বাবু বসুর স্মরণসভা |
বরুণ দে • দহিজুড়ি (বিনপুর) |
ঝাড়খণ্ডী নেতা বাবু বসুর স্মরণসভা হল যুব তৃণমূলের উদ্যোগে। মঙ্গলবার বিকেলে দহিজুড়ির এই সভায় উপস্থিত ছিলেন পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়নমন্ত্রী সুকুমার হাঁসদা, সাংসদ তথা যুব তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি শুভেন্দু অধিকারী প্রমুখ। যাঁর স্মরণে সভা, সেই বাবুর পরিবারের লোকজন অবশ্য ছিলেন না। তৃণমূলের সঙ্গে বাবু বসুর কী যোগ? সুকুমারবাবুর ব্যাখ্যা, “আমাদের মা-মাটি-মানুষের সরকার এই হত্যার বিরুদ্ধে। হত্যার প্রতিবাদেই সভার আয়োজন করা হয়েছে।” বক্তব্য রাখতে গিয়ে শুভেন্দুও বলেন, “বাবু বসু তৃণমূলের নেতা ছিলেন না। এই এলাকার ঝাড়খন্ড পার্টির নেতা ছিলেন। তবে তিনি মানুষের হয়ে লড়াই করেছেন। জঙ্গলমহলকে হার্মাদ মুক্ত করার চেষ্টা করেছেন।” |
|
ছবি: রামপ্রসাদ সাউ। |
২০১১ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর বিনপুরের দহিজুড়ে চকে শ্যালকের দোকানের সামনেই খুন হয়েছিলেন ‘ঝাড়খণ্ড জনমুক্তি মোর্চা’র (জেজেএম) রাজ্য সম্পাদক বাবু। তাঁর ঘনিষ্ঠ মহলের বক্তব্য, ওই সময়ই তৃণমূলে যোগ দেওয়ার ব্যাপারে দলের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে তাঁর কথাবার্তা চলছিল। এ দিন শুভেন্দুও বলেন, “জঙ্গলমহলকে অস্ত্রমুক্ত করার আহ্বান করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। উন্নয়নের বার্তা দিয়েছিলেন। নেত্রীর এই বার্তায় আশ্বস্ত হয়েছিলেন বাবু। তিনি মন্ত্রীর (পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়নমন্ত্রী) সান্নিধ্যে এসেছিলেন। আমাদের দলে যোগ দেওয়ার ইচ্ছাপ্রকাশ করেছিলেন।” সাংসদের দাবি, বিষয়টি ‘চক্রান্তকারী’রা জেনে যাওয়ার ফলেই সম্ভবত খুন হতে হয়েছে বাবুকে। শুভেন্দুর কথায়, “চক্রান্তকারীরা ভেবেছিল, বাবু বসু যদি তৃণমূলে যোগ দেন, তাহলে আমাদের দাদাগিরি শেষ হয়ে যাবে। তাই মাওবাদীদের নাম করে হার্মাদদের মদত নিয়ে খুন করা হয়েছে ওই নেতাকে।” এ দিনের সভা থেকে আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনে জঙ্গলমহল জুড়ে ঘাসফুল ফোটানোর আহ্বান জানান তিনি।
তবে বছর ঘুরলেও বাবু বসু খুনের মামলায় এখনও চার্জশিট জমা দিতে পারেনি পুলিশ। নির্দিষ্ট সময়ে চার্জশিট জমা না পড়ায় ধৃত ৪ জন অভিযুক্তই জামিন পেয়েছেন। এ দিকে, এ দিনই অন্য মামলায় জেলবন্দি বদ্রুকে বাবু খুনে যুক্ত করা হয়েছে। এই মামলায় ১৪ দিন জেল হেফাজত হয়েছে বদ্রুর। দহিজুড়িবাসী বক্তব্য, পুলিশ দ্রুত প্রকৃত অপরাধীদের গ্রেফতার করুক। স্থানীয় বাসিন্দাদের উদ্যোগেও এ দিন বাবুর স্মরণসভা হয়েছে। হয়েছে মৌন মিছিল। |
|
|
|
|
|